রুবায়েত হোসেন, খুবি
আর্থিক সচ্ছলতা, গতিশীলতা ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়। মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয় নারীদের। এই সংখ্যা প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এর মাধ্যমে অনেক নারী সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। ঋণ পরিশোধের হারেও পুরুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে নারীরা।
তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা ঋণ পেলেও মূলত তা খরচ করেন পুরুষেরা। অনেক ক্ষেত্রে ঋণের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা নির্ধারণ করে দেন বাড়ির পুরুষেরা। এর পেছনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো, প্রথা ও রীতিনীতির প্রভাব রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কমবেশি জানলেও তা সমাধানে তারা আগ্রহী নয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ড. সারা নাইনার ও ড. সামান্থি জে. গুনাওয়ার্দানা যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন। এতে মূলত খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার নারীরা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারছেন কিনা তা খুঁজে দেখা হয়।
গবেষণায় নারীদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোয় যদি নারীদের কাজের প্রাপ্য স্বীকৃতি না দেওয়া হয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে নারীদের একক দায়িত্বের পরিবর্তন না ঘটে, তবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কারণ, এ বিষয়গুলো নারীদের আর্থিক ও অন্যান্য ক্ষমতায়নকে সরাসরি বাধাগ্রস্ত করে। তাই নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতে সাংস্কৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এসব মনোভাবকে পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
গবেষকদের দাবি, ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি সমাধান না করে বরং নারীর ক্ষমতায়নের প্রমাণ হিসাবে হাই লোন রিকভারি (উচ্চ ঋণ পুনরুদ্ধার) হারের ওপর জোর দিচ্ছে। এটি নিশ্চিত করার জন্য শ্রমের লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন, চলাফেরার সীমাবদ্ধতা এবং লজ্জার ধারণাগুলোর মধ্যে নারীদের কাঠামোগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে। তারা নারীর ক্ষমতায়নের মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তাদের মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এ বিষয়ে খুবির সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমি মনে করি ক্ষুদ্রঋণের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এর উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে, যখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোকে অনুধাবন করে নারীদের অবস্থান ও দুর্বলতাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পগুলো পরিচালনা করবে।’
আর্থিক সচ্ছলতা, গতিশীলতা ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়। মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয় নারীদের। এই সংখ্যা প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এর মাধ্যমে অনেক নারী সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। ঋণ পরিশোধের হারেও পুরুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে নারীরা।
তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা ঋণ পেলেও মূলত তা খরচ করেন পুরুষেরা। অনেক ক্ষেত্রে ঋণের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা নির্ধারণ করে দেন বাড়ির পুরুষেরা। এর পেছনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো, প্রথা ও রীতিনীতির প্রভাব রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কমবেশি জানলেও তা সমাধানে তারা আগ্রহী নয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ড. সারা নাইনার ও ড. সামান্থি জে. গুনাওয়ার্দানা যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন। এতে মূলত খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার নারীরা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে নিজে ব্যবহার করতে পারছেন কিনা তা খুঁজে দেখা হয়।
গবেষণায় নারীদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোয় যদি নারীদের কাজের প্রাপ্য স্বীকৃতি না দেওয়া হয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে নারীদের একক দায়িত্বের পরিবর্তন না ঘটে, তবে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কারণ, এ বিষয়গুলো নারীদের আর্থিক ও অন্যান্য ক্ষমতায়নকে সরাসরি বাধাগ্রস্ত করে। তাই নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতে সাংস্কৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এসব মনোভাবকে পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
গবেষকদের দাবি, ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি সমাধান না করে বরং নারীর ক্ষমতায়নের প্রমাণ হিসাবে হাই লোন রিকভারি (উচ্চ ঋণ পুনরুদ্ধার) হারের ওপর জোর দিচ্ছে। এটি নিশ্চিত করার জন্য শ্রমের লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন, চলাফেরার সীমাবদ্ধতা এবং লজ্জার ধারণাগুলোর মধ্যে নারীদের কাঠামোগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে। তারা নারীর ক্ষমতায়নের মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তাদের মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এ বিষয়ে খুবির সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমি মনে করি ক্ষুদ্রঋণের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এর উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে, যখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোকে অনুধাবন করে নারীদের অবস্থান ও দুর্বলতাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পগুলো পরিচালনা করবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে