মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
নিয়ম মেনেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া বাজার ইজারা দেয় প্রশাসন। পরে টাকার বিনিময়ে বাজারের সীমানার বাইরে আরও শতাধিক দোকান বসান বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ। এ জন্য তিনি প্রতিটি দোকানমালিকের কাছ থেকে আদায় করেন টাকা। সেই সময় তিনি নতুন করে বসানো এসব দোকানমালিককে আশ্বস্ত করেছিলেন, যত দিন তিনি চেয়ারম্যান পদে আছেন, তত দিন তাঁদের (নতুন দোকানমালিক) কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না।
সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন অবৈধ এসব দোকান উচ্ছেদ করে। এরপরই চেয়ারম্যানের চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান শাপে বর হয়েছে চেয়ারম্যানের জন্য। উচ্ছেদ করা দোকান নতুন করে বসাতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আবারও তিনি আদায় করছেন টাকা। এতে প্রশাসনের উচ্ছেদে পকেট ভারী হচ্ছে চেয়ারম্যানের।
টাকার বিনিময়ে দোকান বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান হারুন। আর প্রশাসন বলেছে, চাঁদাবাজির বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের বৈশাখ থেকে আগামী বছরের বৈশাখ মাস পর্যন্ত বারোঘরিয়া বাজারটি উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নেন রেজওয়ান নামের এক ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে এক বছরের জন্য বাজারটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন নামের আরেক যুবক। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ইজারাদার সাদ্দাম হোসেনকে বাজারের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। টাকার বিনিময়ে বসানো হয় শতাধিক দোকান। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা তুলে চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দিতেন সাদ্দাম। বাজারটিতে নীরবে মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি হলেও ঘটনাটি এত দিন কারও নজরে আসেনি। সম্প্রতি প্রশাসন ওই বাজারের শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করলে ভুক্তভোগীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান বসাতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ করে হাজার হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।
রুহুল আমিন নামের একজন চা-দোকানি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে জায়গার ব্যবস্থা করে দেন। সেই দোকান থেকে নিয়মিত ১২০ টাকা করে খাজনা দিয়ে আসছিলাম। তারপরও রাতের অন্ধকারে প্রশাসন দোকানটি উচ্ছেদ করে দিয়েছে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জায়গাটি ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন চেয়ারম্যান দায়দায়িত্ব নিচ্ছেন না, টাকাও দিচ্ছেন না। টাকা ফেরত না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।’
স্থানীয় বাদাম বিক্রেতা বাবু জানান, দোকান করার জন্য তিনিও প্রতিদিন ১২০ টাকা করে খাজনা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারপরও প্রশাসন তাঁর দোকান উচ্ছেদ করেছে। দোকানের আয় থেকেই সন্তানদের পড়াশোনাসহ পরিবারের ভরণপোষণ চলছিল তাঁর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চটপটি বিক্রেতা জানান, ১২টি চটপটির দোকান থেকে চেয়ারম্যান ২০ হাজার করে টাকা নিয়ে বসার জায়গা দিয়েছিলেন। এই টাকার বাইরেও প্রতিদিন ১২০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। এখন নতুন করে দোকান বসানোর জন্য চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্র করে পুরোনো ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলেও বিষয়টি এখন এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বারোঘরিয়া বাজারের ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এমনকি তিনি নিজে এসেও চাঁদা তুলে নিয়ে গেছেন। এখন তিনি আবারও অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করছেন। টাকা দিতে না পারায় অসহায় ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের উচ্ছেদের পর নতুন করে টাকা দেওয়ার শর্তে আবারও দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বারোঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন বলেন, ‘আমি ও আমার কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত না। তবে কাউন্সিলকে তো কিছু দিতে হয়, সেটিও ইজারাদার দিচ্ছে না।’
জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ সরকারি মার্কেটের খাজনা জোর করে আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ দিলেও তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না। তবে উচ্ছেদ করা স্থানে আবার নতুন করে দোকান বসানোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিয়ম মেনেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া বাজার ইজারা দেয় প্রশাসন। পরে টাকার বিনিময়ে বাজারের সীমানার বাইরে আরও শতাধিক দোকান বসান বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ। এ জন্য তিনি প্রতিটি দোকানমালিকের কাছ থেকে আদায় করেন টাকা। সেই সময় তিনি নতুন করে বসানো এসব দোকানমালিককে আশ্বস্ত করেছিলেন, যত দিন তিনি চেয়ারম্যান পদে আছেন, তত দিন তাঁদের (নতুন দোকানমালিক) কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না।
সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন অবৈধ এসব দোকান উচ্ছেদ করে। এরপরই চেয়ারম্যানের চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান শাপে বর হয়েছে চেয়ারম্যানের জন্য। উচ্ছেদ করা দোকান নতুন করে বসাতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আবারও তিনি আদায় করছেন টাকা। এতে প্রশাসনের উচ্ছেদে পকেট ভারী হচ্ছে চেয়ারম্যানের।
টাকার বিনিময়ে দোকান বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান হারুন। আর প্রশাসন বলেছে, চাঁদাবাজির বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের বৈশাখ থেকে আগামী বছরের বৈশাখ মাস পর্যন্ত বারোঘরিয়া বাজারটি উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নেন রেজওয়ান নামের এক ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে এক বছরের জন্য বাজারটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন নামের আরেক যুবক। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ইজারাদার সাদ্দাম হোসেনকে বাজারের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। টাকার বিনিময়ে বসানো হয় শতাধিক দোকান। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা তুলে চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দিতেন সাদ্দাম। বাজারটিতে নীরবে মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি হলেও ঘটনাটি এত দিন কারও নজরে আসেনি। সম্প্রতি প্রশাসন ওই বাজারের শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করলে ভুক্তভোগীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান বসাতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ করে হাজার হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।
রুহুল আমিন নামের একজন চা-দোকানি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে জায়গার ব্যবস্থা করে দেন। সেই দোকান থেকে নিয়মিত ১২০ টাকা করে খাজনা দিয়ে আসছিলাম। তারপরও রাতের অন্ধকারে প্রশাসন দোকানটি উচ্ছেদ করে দিয়েছে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জায়গাটি ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন চেয়ারম্যান দায়দায়িত্ব নিচ্ছেন না, টাকাও দিচ্ছেন না। টাকা ফেরত না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।’
স্থানীয় বাদাম বিক্রেতা বাবু জানান, দোকান করার জন্য তিনিও প্রতিদিন ১২০ টাকা করে খাজনা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারপরও প্রশাসন তাঁর দোকান উচ্ছেদ করেছে। দোকানের আয় থেকেই সন্তানদের পড়াশোনাসহ পরিবারের ভরণপোষণ চলছিল তাঁর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চটপটি বিক্রেতা জানান, ১২টি চটপটির দোকান থেকে চেয়ারম্যান ২০ হাজার করে টাকা নিয়ে বসার জায়গা দিয়েছিলেন। এই টাকার বাইরেও প্রতিদিন ১২০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। এখন নতুন করে দোকান বসানোর জন্য চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্র করে পুরোনো ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলেও বিষয়টি এখন এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বারোঘরিয়া বাজারের ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এমনকি তিনি নিজে এসেও চাঁদা তুলে নিয়ে গেছেন। এখন তিনি আবারও অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করছেন। টাকা দিতে না পারায় অসহায় ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের উচ্ছেদের পর নতুন করে টাকা দেওয়ার শর্তে আবারও দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বারোঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন বলেন, ‘আমি ও আমার কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত না। তবে কাউন্সিলকে তো কিছু দিতে হয়, সেটিও ইজারাদার দিচ্ছে না।’
জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ সরকারি মার্কেটের খাজনা জোর করে আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ দিলেও তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না। তবে উচ্ছেদ করা স্থানে আবার নতুন করে দোকান বসানোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে