চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গত বছর ২৪০টি মামলায় ২৮৯ জন মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১ হাজার ৫৩ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৩৭২ বোতল ফেনসিডিল ও ৯ হাজার ৪৯০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। জব্দ করা এসব মাদকের মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে ৫১ কেজি গাঁজা, ৩৯৯ বোতল ফেনসিডিল, ১২ বোতল বিদেশি মদ ও ৪২৪টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ২০টি মামলায় ২৫ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬৩টি ইয়াবা, ৩৭ কেজি গাঁজা, ৩২৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৩১ বোতল হুইস্কি জব্দের ঘটনায় ২১টি মামলায় ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মার্চ মাসে ৪৩৫টি ইয়াবা, ৫৮ কেজি গাঁজা, ২৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ২০টি মামলায় ৩৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে এপ্রিল মাসে ৫০ কেজি গাঁজা, ৬৪ বোতল ফেনসিডিল, ২৫৬টি ইয়াবা ও ১৪৪ বোতল হুইস্কি জব্দ করার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৪টি মামলায় ১২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মে মাসে ৬০ কেজি গাঁজা, ২৯৬টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ সময় ১৭টি মাদক মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুন মাসে ১৬৬ কেজি গাঁজা, ৩৪ বোতল ফেনসিডিল, ৯৩৮টি ইয়াবা, ৪২ বোতল বিয়ার, ২৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করে। এ সময় ২৬ মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জুলাই মাসে ৫৮ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৫২টি ইয়াবা, ৮ বোতল বিয়ার, ১২ বোতল হুইস্কি, ৮ বোতল স্ক্যাপ সিরাপ ও ১৫ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ সব ঘটনায় ১৭ মামলায় পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। আগস্ট মাসে ২০১ কেজি গাঁজা, ২০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১১০ বোতল ফেনসিডিল, ২০ বোতল হুইস্কি, ২৩ বোতল বিয়ার, ২০ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেপ্টেম্বর ১২৩ কেজি গাঁজা, ৪৮৪ বোতল ফেনসিডিল, ৯০৬ ইয়াবা, ১৪৯ বোতল স্ক্যাপ সিরাপ জব্দ করা হয়। এ সময় ২৪ মামলায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অক্টোবর মাসে ৯৭ কেজি গাঁজা, ৩৩৫ বোতল ফেনসিডিল, ২৫ ইয়াবা, ১৬ বোতল হুইস্কি, ৬৫ বোতল স্ক্যাপ সিরাজ, ১৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ সব ঘটনায় ২২ মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নভেম্বর মাসে ১০৭ কেজি গাঁজা, ৪ হাজার ৮৪১টি ইয়াবা, ২৬৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ সব ঘটনায় ২১ মামলায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে ডিসেম্বর মাসে ৪২ কেজি গাঁজা, ৪২ বোতল ফেনসিডিল, ১৯১টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় ১৫ মামলায় ১৮ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশে চৌদ্দগ্রামকে মাদকমুক্ত করার জন্য থানা-পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত বছরের মতো চলতি বছরেও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান আরও জোরালোভাবে পরিচালনা করা হবে।