বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গতকাল ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে এক হয়েছিলেন দেশের সংগীতশিল্পীরা। সেখান থেকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান তাঁরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বেলা ৩টার আগে থেকেই এই কর্মসূচিতে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন সংগীতশিল্পীরা। জ্যামাইকান রেগে শিল্পী বব মার্লের গানের সঙ্গে মিল রেখে শিল্পীরা তাঁদের এ কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘গেটআপ স্ট্যান্ডআপ’।
প্রতিবাদ জানাতে হাজির হয়েছিলেন মাইলস, ওয়ারফেজ, মাকসুদ অ্যান্ড ঢাকা, সোলস, শিরোনামহীন, আর্কসহ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর সদস্যরা। এ ছাড়া ছিলেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, অর্ণব, প্রবর রিপন, প্রিন্স মাহমুদ, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ অনেকে। শিল্পীদের সঙ্গে অন্যান্য সাংস্কৃতিক মাধ্যমের ব্যক্তিরাও যোগ দেন।
এ সময় তাঁদের হাতে শোভা পাচ্ছিল বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। কোনোটাতে লেখা ছিল ‘তোমাদের কথা রবে, সাধারণ মানুষের ভিড়ে’, ‘তোমাদের এই ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না’। কোনোটাতে লেখা, ‘বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক’। কিছু প্ল্যাকার্ডে শোভা পেয়েছে প্রতিবাদী গানের কথা।
মাইলস ব্যান্ডের প্রধান হামিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রদের যে আন্দোলন চলছে, তার সঙ্গে আমরা একমত। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আর একটা গুলি যেন না চলে, একটা জীবনও যেন না যায়। যাদেরকে ধরপাকড় করা হয়েছে, অবিলম্বে যেন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। যে জীবনগুলো গেছে, তার যেন নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু তদন্ত হয়। মানুষের কথা বলার অধিকার আমরা ফেরত চাই।’
ব্যান্ডতারকা মাকসুদ বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গে আছি। সমস্ত অন্যায়, নিপীড়ন বন্ধ চাই। আমাদের যে র্যাপারকে তুলে নেওয়া হয়েছে, তাঁর মুক্তি চাই। সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি দেখতে চাই।’ ওয়ারফেজ ব্যান্ডের মনিরুল আলম টিপু বলেন, ‘এই আন্দোলনে যাদেরকে অন্যায়ভাবে চলে যেতে হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আর যেন বাংলাদেশে কোনো রক্তপাত না হয়, কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।’
আর্ক ব্যান্ডের হাসান বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার ক্রান্তিলগ্নে মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র আন্দোলন চলছে। ছাত্রদের এই আন্দোলনকে আমরা স্বাগত জানাই। যে মায়ের ছেলে ফিরে আসেনি, মাগো মাগো বলে ফিরে ডাকেনি; সেই মায়ের যে কত যন্ত্রণা, কেউ দিতে পারবে কি সান্ত্বনা? আর কত মৃত্যু কত হাহাকার? আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। আমাদের এক শিল্পীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা শুধু বাক্স্বাধীনতা হরণ করা নয়, শিল্পীদের অধিকার হরণ করা।
এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমস্ত অন্যায় ও জুলুমের বিচার হবে। নাগরিক অধিকার অক্ষুণ্ন থাকবে।’
প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো আতঙ্ক করি না। আমরা কোনো কিছুকে ভয় পাই না। আপনারা সবাই ছাত্রদের এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বেরিয়ে আসুন। কেন আন্দোলনে গুলি চালানো হলো? খুলনা শহর কেন রক্তে লাল হলো? দুর্বিষহ অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো? প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’
সংগীতশিল্পী অর্ণব বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের পাশে থাকতে চাই। ওদের যেসব দাবি আছে, সেগুলো যেন পূরণ হয়—এটাই আমাদের চাওয়া। এর জন্য আমাদের যদি কিছু করতে হয়, আমরা করব। গ্রেপ্তার করা ছাত্রদের মুক্তি দেওয়া হোক। আমাদের এক কলিগ র্যাপার হান্নানকেও ধরে নেওয়া হয়েছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আমরা শিল্পী; গান, ছবি আমাদের প্রতিবাদের ভাষা। সেটাই যদি করতে না দেওয়া হয়, তাহলে খুব বিপদ।’
আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকন বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে যেটা হচ্ছে, সেটা কাম্য নয়। অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। চলে যাওয়া প্রাণগুলো আর তো ফিরে পাব না, কিন্তু সেই হত্যার সুষ্ঠু বিচার যেন হয়। অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের এক কমরেডকে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে গেছে। গান গাওয়া, ছবি আঁকা, নৃত্য—এই দিয়েই তো আমরা শিল্পীরা বাঁচি। এটার জন্য যদি আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়, সেটা কখনো কাম্য নয়। সমস্ত অন্যায় বন্ধ হোক।’
ক্রিপটিক ফেইট ব্যান্ডের সাকিব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র বন্দুকের গুলি দিয়ে আমাদের ছাত্র ও জনতাদের মারছে। ১৯৫২, ৬৯ ও ৭১ সালে পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে এমন করেছিল। এখন আমাদের দেশের পুলিশ, আর্মিরা আমাদের ছেলেদের ওপর গুলি করছে। ছাত্ররা দেশের শত্রু না। তারা দেশের ভবিষ্যৎ। ছাত্ররা যে ৯ দাবি দিয়েছে প্রথম দিন থেকে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি, সামনেও থাকব।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রবীন্দ্রসরোবর থেকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিতে দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে রওনা দেন শিল্পীরা। সেখানে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে এক হয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গতকাল ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে এক হয়েছিলেন দেশের সংগীতশিল্পীরা। সেখান থেকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান তাঁরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বেলা ৩টার আগে থেকেই এই কর্মসূচিতে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন সংগীতশিল্পীরা। জ্যামাইকান রেগে শিল্পী বব মার্লের গানের সঙ্গে মিল রেখে শিল্পীরা তাঁদের এ কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘গেটআপ স্ট্যান্ডআপ’।
প্রতিবাদ জানাতে হাজির হয়েছিলেন মাইলস, ওয়ারফেজ, মাকসুদ অ্যান্ড ঢাকা, সোলস, শিরোনামহীন, আর্কসহ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর সদস্যরা। এ ছাড়া ছিলেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, অর্ণব, প্রবর রিপন, প্রিন্স মাহমুদ, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ অনেকে। শিল্পীদের সঙ্গে অন্যান্য সাংস্কৃতিক মাধ্যমের ব্যক্তিরাও যোগ দেন।
এ সময় তাঁদের হাতে শোভা পাচ্ছিল বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। কোনোটাতে লেখা ছিল ‘তোমাদের কথা রবে, সাধারণ মানুষের ভিড়ে’, ‘তোমাদের এই ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না’। কোনোটাতে লেখা, ‘বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক’। কিছু প্ল্যাকার্ডে শোভা পেয়েছে প্রতিবাদী গানের কথা।
মাইলস ব্যান্ডের প্রধান হামিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রদের যে আন্দোলন চলছে, তার সঙ্গে আমরা একমত। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আর একটা গুলি যেন না চলে, একটা জীবনও যেন না যায়। যাদেরকে ধরপাকড় করা হয়েছে, অবিলম্বে যেন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। যে জীবনগুলো গেছে, তার যেন নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু তদন্ত হয়। মানুষের কথা বলার অধিকার আমরা ফেরত চাই।’
ব্যান্ডতারকা মাকসুদ বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গে আছি। সমস্ত অন্যায়, নিপীড়ন বন্ধ চাই। আমাদের যে র্যাপারকে তুলে নেওয়া হয়েছে, তাঁর মুক্তি চাই। সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি দেখতে চাই।’ ওয়ারফেজ ব্যান্ডের মনিরুল আলম টিপু বলেন, ‘এই আন্দোলনে যাদেরকে অন্যায়ভাবে চলে যেতে হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আর যেন বাংলাদেশে কোনো রক্তপাত না হয়, কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।’
আর্ক ব্যান্ডের হাসান বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার ক্রান্তিলগ্নে মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র আন্দোলন চলছে। ছাত্রদের এই আন্দোলনকে আমরা স্বাগত জানাই। যে মায়ের ছেলে ফিরে আসেনি, মাগো মাগো বলে ফিরে ডাকেনি; সেই মায়ের যে কত যন্ত্রণা, কেউ দিতে পারবে কি সান্ত্বনা? আর কত মৃত্যু কত হাহাকার? আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। আমাদের এক শিল্পীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা শুধু বাক্স্বাধীনতা হরণ করা নয়, শিল্পীদের অধিকার হরণ করা।
এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমস্ত অন্যায় ও জুলুমের বিচার হবে। নাগরিক অধিকার অক্ষুণ্ন থাকবে।’
প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো আতঙ্ক করি না। আমরা কোনো কিছুকে ভয় পাই না। আপনারা সবাই ছাত্রদের এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বেরিয়ে আসুন। কেন আন্দোলনে গুলি চালানো হলো? খুলনা শহর কেন রক্তে লাল হলো? দুর্বিষহ অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো? প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’
সংগীতশিল্পী অর্ণব বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের পাশে থাকতে চাই। ওদের যেসব দাবি আছে, সেগুলো যেন পূরণ হয়—এটাই আমাদের চাওয়া। এর জন্য আমাদের যদি কিছু করতে হয়, আমরা করব। গ্রেপ্তার করা ছাত্রদের মুক্তি দেওয়া হোক। আমাদের এক কলিগ র্যাপার হান্নানকেও ধরে নেওয়া হয়েছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আমরা শিল্পী; গান, ছবি আমাদের প্রতিবাদের ভাষা। সেটাই যদি করতে না দেওয়া হয়, তাহলে খুব বিপদ।’
আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকন বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে যেটা হচ্ছে, সেটা কাম্য নয়। অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। চলে যাওয়া প্রাণগুলো আর তো ফিরে পাব না, কিন্তু সেই হত্যার সুষ্ঠু বিচার যেন হয়। অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের এক কমরেডকে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে গেছে। গান গাওয়া, ছবি আঁকা, নৃত্য—এই দিয়েই তো আমরা শিল্পীরা বাঁচি। এটার জন্য যদি আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়, সেটা কখনো কাম্য নয়। সমস্ত অন্যায় বন্ধ হোক।’
ক্রিপটিক ফেইট ব্যান্ডের সাকিব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র বন্দুকের গুলি দিয়ে আমাদের ছাত্র ও জনতাদের মারছে। ১৯৫২, ৬৯ ও ৭১ সালে পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে এমন করেছিল। এখন আমাদের দেশের পুলিশ, আর্মিরা আমাদের ছেলেদের ওপর গুলি করছে। ছাত্ররা দেশের শত্রু না। তারা দেশের ভবিষ্যৎ। ছাত্ররা যে ৯ দাবি দিয়েছে প্রথম দিন থেকে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি, সামনেও থাকব।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রবীন্দ্রসরোবর থেকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিতে দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে রওনা দেন শিল্পীরা। সেখানে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে এক হয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে