সম্পাদকীয়
আশরাফুল হক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। এখন চেয়ারম্যান না থাকলেও তাঁর দাপট কমেনি। তিনি তাঁর নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মতিন খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালে ২০০০ সালে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আরও দুইবার তিনি চেয়ারম্যান হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক। প্রশাসন, নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তিনি অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন এখন সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এখানে রাজনৈতিক আধিপত্যের দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা ঘটেছে অনেক। আর এসব ঘটনার নেপথ্যের কুশীলব তিনি। যাঁরাই তাঁর বিরোধীপক্ষ হয়েছেন, তাঁদের লাশ হতে হয়েছে!
বাংলাদেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা এখনো চলমান। দেশের নানা জায়গায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটলে প্রকৃত হত্যাকারীরা বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে। নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন কি দেশের ব্যতিক্রম কোনো জায়গা? কেন এত দিন ধরে এখানে নানা অপরাধ-অপকর্ম হলেও প্রশাসনের চোখ পড়েনি?
কিছুদিন আগে ঝিনাইদহে সরকারদলীয় এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকার কারণে এখনো আনার হত্যার নতুন নতুন সূত্র উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু শিবগঞ্জ উপজেলার প্রশাসন এত দিন ধরে কি ভূমিকা পালন করছে যে সেখানে আশরাফুল আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাচ্ছেন? স্থানীয় প্রশাসন তৎপর থাকলে তিনি এত বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারতেন না। আর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে তাঁকে প্রশ্রয় দিতে পারেন, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তাঁদের প্রশ্রয়ের কারণে নিজ দলের নেতা-কর্মীরাই তো রেহাই পাচ্ছেন না।
আগে থেকেই আশরাফুলের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা আছে। আর এই মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি বিস্ফোরক আইনের, দুটি হত্যা, তিনটি ছিনতাই, দুটি প্রতারণা, একটি মাদক ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধের জন্য। এবারের হত্যাকাণ্ডটি মিলিয়ে মামলার সংখ্যা এখন ২২। এত অপকর্ম করার পরেও তাঁকে কখনো বিচারের সম্মুখীন হতে হয়নি। এ কারণে তিনি বেপরোয়া হয়ে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছেন।
যদি আগের অপরাধে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে তিনি এত স্পর্ধা পেতেন না। এবার আশরাফুল হক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে তাঁর মূল শক্তি কোথায়, সেটা চিহ্নিত করতে হবে। শাস্তি শুধু তাঁকে নয়, নিশ্চয়ই তাঁর সহায়কদেরও পাওয়া উচিত। আমরা চাই, আশরাফুলের মতো সমাজে ত্রাস সৃষ্টিকারী অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পান। বিচারহীনতার সংস্কৃতিও যে হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, সে কথা অস্বীকার করা যাবে না।
আশরাফুল হক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। এখন চেয়ারম্যান না থাকলেও তাঁর দাপট কমেনি। তিনি তাঁর নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মতিন খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালে ২০০০ সালে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আরও দুইবার তিনি চেয়ারম্যান হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক। প্রশাসন, নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তিনি অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন এখন সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এখানে রাজনৈতিক আধিপত্যের দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা ঘটেছে অনেক। আর এসব ঘটনার নেপথ্যের কুশীলব তিনি। যাঁরাই তাঁর বিরোধীপক্ষ হয়েছেন, তাঁদের লাশ হতে হয়েছে!
বাংলাদেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা এখনো চলমান। দেশের নানা জায়গায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটলে প্রকৃত হত্যাকারীরা বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে। নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন কি দেশের ব্যতিক্রম কোনো জায়গা? কেন এত দিন ধরে এখানে নানা অপরাধ-অপকর্ম হলেও প্রশাসনের চোখ পড়েনি?
কিছুদিন আগে ঝিনাইদহে সরকারদলীয় এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকার কারণে এখনো আনার হত্যার নতুন নতুন সূত্র উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু শিবগঞ্জ উপজেলার প্রশাসন এত দিন ধরে কি ভূমিকা পালন করছে যে সেখানে আশরাফুল আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাচ্ছেন? স্থানীয় প্রশাসন তৎপর থাকলে তিনি এত বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারতেন না। আর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে তাঁকে প্রশ্রয় দিতে পারেন, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তাঁদের প্রশ্রয়ের কারণে নিজ দলের নেতা-কর্মীরাই তো রেহাই পাচ্ছেন না।
আগে থেকেই আশরাফুলের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা আছে। আর এই মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি বিস্ফোরক আইনের, দুটি হত্যা, তিনটি ছিনতাই, দুটি প্রতারণা, একটি মাদক ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধের জন্য। এবারের হত্যাকাণ্ডটি মিলিয়ে মামলার সংখ্যা এখন ২২। এত অপকর্ম করার পরেও তাঁকে কখনো বিচারের সম্মুখীন হতে হয়নি। এ কারণে তিনি বেপরোয়া হয়ে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছেন।
যদি আগের অপরাধে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে তিনি এত স্পর্ধা পেতেন না। এবার আশরাফুল হক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে তাঁর মূল শক্তি কোথায়, সেটা চিহ্নিত করতে হবে। শাস্তি শুধু তাঁকে নয়, নিশ্চয়ই তাঁর সহায়কদেরও পাওয়া উচিত। আমরা চাই, আশরাফুলের মতো সমাজে ত্রাস সৃষ্টিকারী অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পান। বিচারহীনতার সংস্কৃতিও যে হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, সে কথা অস্বীকার করা যাবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে