কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালীতে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাঁদের ভোগান্তি আর হয়রানি সেখানকার নিত্যদিনের চিত্র।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রি, বিবাহ নিবন্ধন, মৃত্যুর সনদ, পাসপোর্ট তৈরিসহ সব কাজের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার। এক সময় অপ্রয়োজনীয় ভেবে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন ঠিকভাবে করেননি। নিজেদের খেয়াল খুশি মতো নাম, বাবা-মায়ের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর বা অন্যান্য তথ্য দিয়েছেন। এটি করা হয়েছে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াই।
সময়ের পরিবর্তে বর্তমানে সরকার জন্ম নিবন্ধনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। যার ফলে একসময়ের গুরুত্বহীন জন্ম নিবন্ধন সনদ এখন যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।
প্রয়োজনের তাগিদে এখন সবাই ভুল সংশোধনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন মেম্বার–চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দুয়ারে। সামান্য ভুলের জন্য এখন অনেকেই রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
দিনের পর দিন মাসের-পর-মাস ঘুরেও সনদ সংশোধন পারছেন না তাঁরা।
উপজেলার আয়রন গ্রামের মো. রাহাত হোসাইন জানান, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সময় সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়াই অপারেটররা ভুল মোবাইল নম্বর, নামের বানান, বয়স, জাতীয়তা, লিঙ্গ, মা–বাবার নামসহ বিভিন্ন ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করেছে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ঘুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ছেলে-মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে মা–বাবার জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। দেখা গেছে একই নামে একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন হওয়া, অনেক মা-বাবার সনদপত্র, পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধনে বিভিন্ন ভুল রয়েছে। যার ফলে ওই ভুল সংশোধন করার আগ পর্যন্ত সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না তাঁরা। আর মা-বাবার কাগজ সংশোধন করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধনসহ সবগুলোই সংশোধন করতে হবে। মা-বাবার কাগজ সঠিক হওয়া ছাড়া ছেলেমেয়েরা পাচ্ছে না জন্ম নিবন্ধন সনদ।
উপজেলার চিরাপাড়া ইউনিয়নের সালেকিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম জানান তাঁর জন্ম নিবন্ধনের সময় ভুল হয়েছিল। সংশোধন করতে এসে বাবা-মার কাগজগুলোতে ভুল পাওয়া গেছে। যার ফলে এক মাস ধরে প্রতিদিনই ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা স্কুল সহ নানা জায়গায় সংশোধনের জন্য ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
চিরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুমন সিকদার জানান অন্য সব কাজ রেখেও এখন সময় বেশি ব্যয় করতে হয় নিবন্ধনের জন্য। মানুষের উপচে পড়া ভিড় ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বেশির ভাগ সময়ই অফিস টাইম ছাড়াও কাজ করতে হয়।
তিনি আরও জানান, মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন বাংলা ইংরেজি একই হতে হবে, যেটা অনেকেরই নাই। ভুল সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। তিনি যাচাই-বাছাই করে ঠিক করে দেন। যে আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায় না সেটি বাতিল করেন। যার ফলে ওই ভুল সংশোধনের জন্য একই ব্যক্তির বারবার আবেদন করতে হয়। এ ছাড়া সার্ভারের সমস্যা, ওটিপি না পাওয়ার মত সমস্যা তো আছেই।
উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মাহাতাব হোসেন জানান ২০০১ সালের পর থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে মা বাবার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ জন্য ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি আরও জানান, জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার নির্দেশনা থাকলে কাউকে হয়রানি হতে হতো না।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা জানান নিবন্ধন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দিন রাত সমান কাজ করতে হয়। অনেকের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় বারবার আসতে হয়। তবে জন্ম নিবন্ধন সহজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাঁদের ভোগান্তি আর হয়রানি সেখানকার নিত্যদিনের চিত্র।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রি, বিবাহ নিবন্ধন, মৃত্যুর সনদ, পাসপোর্ট তৈরিসহ সব কাজের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার। এক সময় অপ্রয়োজনীয় ভেবে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন ঠিকভাবে করেননি। নিজেদের খেয়াল খুশি মতো নাম, বাবা-মায়ের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর বা অন্যান্য তথ্য দিয়েছেন। এটি করা হয়েছে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াই।
সময়ের পরিবর্তে বর্তমানে সরকার জন্ম নিবন্ধনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। যার ফলে একসময়ের গুরুত্বহীন জন্ম নিবন্ধন সনদ এখন যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।
প্রয়োজনের তাগিদে এখন সবাই ভুল সংশোধনের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন মেম্বার–চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দুয়ারে। সামান্য ভুলের জন্য এখন অনেকেই রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
দিনের পর দিন মাসের-পর-মাস ঘুরেও সনদ সংশোধন পারছেন না তাঁরা।
উপজেলার আয়রন গ্রামের মো. রাহাত হোসাইন জানান, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সময় সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়াই অপারেটররা ভুল মোবাইল নম্বর, নামের বানান, বয়স, জাতীয়তা, লিঙ্গ, মা–বাবার নামসহ বিভিন্ন ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করেছে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ঘুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ছেলে-মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে মা–বাবার জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। দেখা গেছে একই নামে একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন হওয়া, অনেক মা-বাবার সনদপত্র, পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধনে বিভিন্ন ভুল রয়েছে। যার ফলে ওই ভুল সংশোধন করার আগ পর্যন্ত সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না তাঁরা। আর মা-বাবার কাগজ সংশোধন করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র, সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধনসহ সবগুলোই সংশোধন করতে হবে। মা-বাবার কাগজ সঠিক হওয়া ছাড়া ছেলেমেয়েরা পাচ্ছে না জন্ম নিবন্ধন সনদ।
উপজেলার চিরাপাড়া ইউনিয়নের সালেকিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম জানান তাঁর জন্ম নিবন্ধনের সময় ভুল হয়েছিল। সংশোধন করতে এসে বাবা-মার কাগজগুলোতে ভুল পাওয়া গেছে। যার ফলে এক মাস ধরে প্রতিদিনই ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা স্কুল সহ নানা জায়গায় সংশোধনের জন্য ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
চিরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুমন সিকদার জানান অন্য সব কাজ রেখেও এখন সময় বেশি ব্যয় করতে হয় নিবন্ধনের জন্য। মানুষের উপচে পড়া ভিড় ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বেশির ভাগ সময়ই অফিস টাইম ছাড়াও কাজ করতে হয়।
তিনি আরও জানান, মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন বাংলা ইংরেজি একই হতে হবে, যেটা অনেকেরই নাই। ভুল সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। তিনি যাচাই-বাছাই করে ঠিক করে দেন। যে আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায় না সেটি বাতিল করেন। যার ফলে ওই ভুল সংশোধনের জন্য একই ব্যক্তির বারবার আবেদন করতে হয়। এ ছাড়া সার্ভারের সমস্যা, ওটিপি না পাওয়ার মত সমস্যা তো আছেই।
উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মাহাতাব হোসেন জানান ২০০১ সালের পর থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে মা বাবার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ জন্য ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি আরও জানান, জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার নির্দেশনা থাকলে কাউকে হয়রানি হতে হতো না।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা জানান নিবন্ধন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দিন রাত সমান কাজ করতে হয়। অনেকের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় বারবার আসতে হয়। তবে জন্ম নিবন্ধন সহজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে