উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
গ্রাম আদালতে সালিস নিষ্পত্তির সময়সীমা অর্ধেকে নামিয়ে এবং দোষী ব্যক্তির জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে চার গুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৪’-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব রয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এটি অনুমোদনের জন্য রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত সোমবার নতুন সরকারের প্রথম সচিব সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়নি। এ কারণে আগামী রোববার সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে হতে যাওয়া বৈঠকে গ্রাম আদালত আইন সংশোধনীর খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে প্রস্তাবিত খসড়াটি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভা এর আগে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেও একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে খসড়াটি বিল আকারে উত্থাপন করা হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ায় গ্রাম আদালত সংশোধন আইনের খসড়া নতুন করে অনুমোদনের প্রয়োজন। এ কারণে আমরা গ্রাম আদালতের কিছু ধারা সংশোধন করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সংশোধনী আইনের খসড়ায় ‘নাবালক’ শব্দটির পরিবর্তে ‘শিশু’ লেখা হয়েছে। শিশু আইনে শিশুর যে সংজ্ঞা আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি বর্ণনা করা হয়েছে। বিদ্যমান গ্রাম আদালত আইনে সালিস নিষ্পত্তির সময়সীমা ৩০ দিন। এখন তা কমিয়ে ১৫ দিন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। এখন এটা ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের উচ্চ ও অধস্তন আদালতে অনিষ্পন্ন কিংবা বিচারাধীন দেওয়ানি, ফৌজদারি ও অন্যান্য মামলা ছিল ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৪৯৬টি। মামলার জটে বিচারের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলকভাবে ছোট অপরাধের বিচার করতে গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
জানা গেছে, গ্রামবাংলায় বিরোধ-মীমাংসার মাধ্যম হিসেবে সালিসি ব্যবস্থা দীর্ঘদিন আগে থেকেই প্রচলিত। এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট চারজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হন। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে। ২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে ইউনিয়ন পরিষদকে ছোটখাটো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেয় সরকার।
গ্রাম আদালতে সালিস নিষ্পত্তির সময়সীমা অর্ধেকে নামিয়ে এবং দোষী ব্যক্তির জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে চার গুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৪’-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব রয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এটি অনুমোদনের জন্য রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত সোমবার নতুন সরকারের প্রথম সচিব সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়নি। এ কারণে আগামী রোববার সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে হতে যাওয়া বৈঠকে গ্রাম আদালত আইন সংশোধনীর খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে প্রস্তাবিত খসড়াটি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভা এর আগে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেও একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে খসড়াটি বিল আকারে উত্থাপন করা হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ায় গ্রাম আদালত সংশোধন আইনের খসড়া নতুন করে অনুমোদনের প্রয়োজন। এ কারণে আমরা গ্রাম আদালতের কিছু ধারা সংশোধন করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সংশোধনী আইনের খসড়ায় ‘নাবালক’ শব্দটির পরিবর্তে ‘শিশু’ লেখা হয়েছে। শিশু আইনে শিশুর যে সংজ্ঞা আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি বর্ণনা করা হয়েছে। বিদ্যমান গ্রাম আদালত আইনে সালিস নিষ্পত্তির সময়সীমা ৩০ দিন। এখন তা কমিয়ে ১৫ দিন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। এখন এটা ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের উচ্চ ও অধস্তন আদালতে অনিষ্পন্ন কিংবা বিচারাধীন দেওয়ানি, ফৌজদারি ও অন্যান্য মামলা ছিল ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৪৯৬টি। মামলার জটে বিচারের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলকভাবে ছোট অপরাধের বিচার করতে গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
জানা গেছে, গ্রামবাংলায় বিরোধ-মীমাংসার মাধ্যম হিসেবে সালিসি ব্যবস্থা দীর্ঘদিন আগে থেকেই প্রচলিত। এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট চারজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হন। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে। ২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে ইউনিয়ন পরিষদকে ছোটখাটো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেয় সরকার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে