আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের যমুনা নদী, খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় এখন নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে সয়লাব। এই বিশেষ ধরনের জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করছেন অসাধু শিকারিরা। এতে ধরা পড়ছে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ। বাদ যাচ্ছে না মাছের পোনাও। এমনকি সাপ, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুকসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণী এতে আটকা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য খাত। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে চায়না দুয়ারি জব্দ ও অভিযুক্তদের জরিমানা করলেও থামছে না এই দৌরাত্ম্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চায়না দুয়ারি নির্মূল করা না গেলে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জন্য তা হুমকিস্বরূপ।
মৎস্যচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিহি, সূক্ষ্ম ও চিকন সুতার বুননে চায়না দুয়ারির দুপাশে দুই হাত পর পর লোহার তৈরি গোল রিং এবং মাঝে এক হাত পর পর ৩০টির মতো চার কোনা রিং পরানো থাকে। এর মাঝে একটি করে দুয়ার। এই জালের বিশেষত্ব হলো, পানির তলদেশে এটি লম্বালম্বিভাবে পড়ে থাকে। ফলে কোনো প্রকার টোপ ছাড়াই দুই দিক দিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী জালের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
সরেজমিনে জানা যায়, কাজীপুরের মাইজবাড়ি, নাটুয়ারপাড়া, তেকানি, মনসুরনগর, খাসরাজবাড়ি, চরগ্রিস এলাকার যমুনা নদীতে, ডোবা, নালা, খাল—সব জায়গাতেই চায়না দুয়ারি পেতে ছোট-বড় সব মাছ নিধন করা হচ্ছে। বেশির ভাগ অসাধু জেলে রাতের আঁধারে এ জাল পাতে। উপজেলার নাটুয়ারপাড়া হাটেই গোপনে এ চায়না দুয়ারি জাল বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।
মৎস্যচাষি সুখী রঞ্জন বলেন, চায়না দুয়ারি কারেন্ট জালের চেয়েও মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কারণে চিরায়ত মাছ ধরার যেসব কৌশলে মাছ ধরে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন; তাঁরা হতাশ এমন পদ্ধতিতে।
বরইতলী গ্রামের জেলে চন্দি হালদার বলেন, ‘আমরা বেড় জাল নিয়া নদীত মাছ ধইরবার গেলি ওরা (চায়না দুয়ারির মালিক) নৌকার মেশিনের হ্যান্ডেল কাইড়া নেয়। মাইরধর হরে।’
ঢেকুরিয়া গ্রামের অখিল হালদার বলেন, ‘আমাগোরে সব সময় ভয়ভীতি দেহায়। মাছ কাইড়া নেয়। জালও কাইড়া নেয়। আমরা ঠিকমতো মাছ ধইরবার পারি না ওদের জ্বালাত। ছলপাল নিয়া কষ্টে দিন পার হইরতাছি।’
সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রকৃত মৎস্যজীবীরা চায়না দুয়ারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মারধর করা হয়, মাছ কেড়ে নেওয়া হয়। চায়না দুয়ারি নির্মূল করা না গেলে মৎস্যজীবীরা না খেয়ে থাকবেন।
কাজীপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হাসান মাহমুদুল হক বলেন, প্রতি মাসেই তাঁরা অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জব্দ করে ধ্বংস করেন। নাটুয়ারপাড়ায় নিয়মিত টহলে দেখা যায়নি জাল বিক্রি করতে। তবে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের যমুনা নদী, খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় এখন নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে সয়লাব। এই বিশেষ ধরনের জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করছেন অসাধু শিকারিরা। এতে ধরা পড়ছে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ। বাদ যাচ্ছে না মাছের পোনাও। এমনকি সাপ, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুকসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণী এতে আটকা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য খাত। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে চায়না দুয়ারি জব্দ ও অভিযুক্তদের জরিমানা করলেও থামছে না এই দৌরাত্ম্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চায়না দুয়ারি নির্মূল করা না গেলে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জন্য তা হুমকিস্বরূপ।
মৎস্যচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিহি, সূক্ষ্ম ও চিকন সুতার বুননে চায়না দুয়ারির দুপাশে দুই হাত পর পর লোহার তৈরি গোল রিং এবং মাঝে এক হাত পর পর ৩০টির মতো চার কোনা রিং পরানো থাকে। এর মাঝে একটি করে দুয়ার। এই জালের বিশেষত্ব হলো, পানির তলদেশে এটি লম্বালম্বিভাবে পড়ে থাকে। ফলে কোনো প্রকার টোপ ছাড়াই দুই দিক দিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী জালের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
সরেজমিনে জানা যায়, কাজীপুরের মাইজবাড়ি, নাটুয়ারপাড়া, তেকানি, মনসুরনগর, খাসরাজবাড়ি, চরগ্রিস এলাকার যমুনা নদীতে, ডোবা, নালা, খাল—সব জায়গাতেই চায়না দুয়ারি পেতে ছোট-বড় সব মাছ নিধন করা হচ্ছে। বেশির ভাগ অসাধু জেলে রাতের আঁধারে এ জাল পাতে। উপজেলার নাটুয়ারপাড়া হাটেই গোপনে এ চায়না দুয়ারি জাল বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।
মৎস্যচাষি সুখী রঞ্জন বলেন, চায়না দুয়ারি কারেন্ট জালের চেয়েও মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কারণে চিরায়ত মাছ ধরার যেসব কৌশলে মাছ ধরে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন; তাঁরা হতাশ এমন পদ্ধতিতে।
বরইতলী গ্রামের জেলে চন্দি হালদার বলেন, ‘আমরা বেড় জাল নিয়া নদীত মাছ ধইরবার গেলি ওরা (চায়না দুয়ারির মালিক) নৌকার মেশিনের হ্যান্ডেল কাইড়া নেয়। মাইরধর হরে।’
ঢেকুরিয়া গ্রামের অখিল হালদার বলেন, ‘আমাগোরে সব সময় ভয়ভীতি দেহায়। মাছ কাইড়া নেয়। জালও কাইড়া নেয়। আমরা ঠিকমতো মাছ ধইরবার পারি না ওদের জ্বালাত। ছলপাল নিয়া কষ্টে দিন পার হইরতাছি।’
সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রকৃত মৎস্যজীবীরা চায়না দুয়ারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মারধর করা হয়, মাছ কেড়ে নেওয়া হয়। চায়না দুয়ারি নির্মূল করা না গেলে মৎস্যজীবীরা না খেয়ে থাকবেন।
কাজীপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হাসান মাহমুদুল হক বলেন, প্রতি মাসেই তাঁরা অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জব্দ করে ধ্বংস করেন। নাটুয়ারপাড়ায় নিয়মিত টহলে দেখা যায়নি জাল বিক্রি করতে। তবে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে