মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপশহর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে। ওই সময় অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ১২ একর জমি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে পাকা রাস্তা নির্মাণসহ অন্যান্য সুবিধা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য লোহার পিলার (খুঁটি) পর্যন্ত স্থাপন করা হয়। কিন্তু ৪৩ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি সেই প্রকল্প। এদিকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারের অধিগ্রহণ করা এসব জমি।
উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায় চাপাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপশহরের জন্য অধিগ্রহণকৃত প্রায় ১২ একর জমি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। সেখানে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে উপশহরের জন্য স্থাপিত বেশ কিছু বিদ্যুতের পিলার ও চারদিকের পাকা রাস্তা। পরিত্যক্ত জমি দখল করে কেউ শুরু করেছে চাষাবাদ, আবার কেউ কেউ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া এ জমিতে গড়ে উঠেছে একাধিক স্থাপনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ফুলবাড়ী উপজেলাকে সাব-ডিভিশন (মহকুমা) বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মহকুমায় প্রশাসনের আবাসিক ভবন নির্মাণের উপশহর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র গৌরীপাড়া গ্রামের ফুলবাড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পশ্চিম পাশে ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে কানাহার মৌজার ১০ দশমিক ৯৪ একর; গৌরীপাড়া মৌজার শূন্য দশমিক ৮৫ একরসহ সর্বমোট ১১ দশমিক ৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
১৯৮০ সালে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু ১৯৮১ সালে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় প্রকল্পের কাজ।
এখনো ফাইলবন্দী রয়েছে মহকুমা বাস্তবায়ন, বরাদ্দ হয়নি কোনো অর্থও। ফুলবাড়ী ভূমি অফিস সূত্র বলেছে, ১৯৯১ সালে হাউজিং এস্টেটের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ বরাবর একসনা লিজ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার পর থেকে উপজেলা পরিষদ প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে উপশহরের জমি লিজ দিয়ে রাজস্ব আদায় করত। তবে ২০২১ সালে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ উপশহরের জমি উপজেলা পরিষদ থেকে ফেরত নেয়।
উপজেলা পরিষদ বলছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ জায়গা ফেরত নেওয়ায় তারা এখন ওই জমির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। তবে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা জমি এখনো বুঝে পায়নি। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যক্তি এ জমিতে অবকাঠামো নির্মাণসহ চাষাবাদ শুরু করেছে।
ফুলবাড়ী পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পৌরসভার মধ্যে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জমি ৪৩ বছর ধরে পতিত রয়েছে। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ জমির কারণে শিশুদের বিনোদন পার্ক, গরুর হাট ও কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে পারছে না।
উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, উপশহরের জমিটি উপজেলা পরিষদের কাছে সন লিজে থাকলেও অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি ছিল না। জমিটি শহরের প্রাণকেন্দ্র, সেখানে তিনি মডেল মসজিদ নির্মাণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য একাধিক পত্র দিয়েছেন, কিন্তু তারা অনুমোদন দেয়নি। এ কারণে তিনি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যেমন মডেল মসজিদ, বিনোদন কেন্দ্র, শিশুপার্ক নির্মাণ করতে পারছেন না।
এদিকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দিনাজপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল হক মোতাইদ বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের কাছে উপশহরের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে, কিন্তু উপজেলা পরিষদ এখন পর্যন্ত জমি হস্তান্তর করেনি। এ জমি বুঝে নেওয়ার পর দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আল কামাহ তমাল বলেন, যেহেতু জমিটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ থেকে ফেরত নিয়েছে, তাই তারা এর দেখভাল করতে পারছে না। তবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপশহর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে। ওই সময় অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ১২ একর জমি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে পাকা রাস্তা নির্মাণসহ অন্যান্য সুবিধা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য লোহার পিলার (খুঁটি) পর্যন্ত স্থাপন করা হয়। কিন্তু ৪৩ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি সেই প্রকল্প। এদিকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারের অধিগ্রহণ করা এসব জমি।
উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায় চাপাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপশহরের জন্য অধিগ্রহণকৃত প্রায় ১২ একর জমি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। সেখানে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে উপশহরের জন্য স্থাপিত বেশ কিছু বিদ্যুতের পিলার ও চারদিকের পাকা রাস্তা। পরিত্যক্ত জমি দখল করে কেউ শুরু করেছে চাষাবাদ, আবার কেউ কেউ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া এ জমিতে গড়ে উঠেছে একাধিক স্থাপনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ফুলবাড়ী উপজেলাকে সাব-ডিভিশন (মহকুমা) বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মহকুমায় প্রশাসনের আবাসিক ভবন নির্মাণের উপশহর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র গৌরীপাড়া গ্রামের ফুলবাড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পশ্চিম পাশে ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে কানাহার মৌজার ১০ দশমিক ৯৪ একর; গৌরীপাড়া মৌজার শূন্য দশমিক ৮৫ একরসহ সর্বমোট ১১ দশমিক ৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
১৯৮০ সালে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু ১৯৮১ সালে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় প্রকল্পের কাজ।
এখনো ফাইলবন্দী রয়েছে মহকুমা বাস্তবায়ন, বরাদ্দ হয়নি কোনো অর্থও। ফুলবাড়ী ভূমি অফিস সূত্র বলেছে, ১৯৯১ সালে হাউজিং এস্টেটের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ বরাবর একসনা লিজ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার পর থেকে উপজেলা পরিষদ প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে উপশহরের জমি লিজ দিয়ে রাজস্ব আদায় করত। তবে ২০২১ সালে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ উপশহরের জমি উপজেলা পরিষদ থেকে ফেরত নেয়।
উপজেলা পরিষদ বলছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ জায়গা ফেরত নেওয়ায় তারা এখন ওই জমির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। তবে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা জমি এখনো বুঝে পায়নি। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যক্তি এ জমিতে অবকাঠামো নির্মাণসহ চাষাবাদ শুরু করেছে।
ফুলবাড়ী পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পৌরসভার মধ্যে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জমি ৪৩ বছর ধরে পতিত রয়েছে। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ জমির কারণে শিশুদের বিনোদন পার্ক, গরুর হাট ও কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে পারছে না।
উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, উপশহরের জমিটি উপজেলা পরিষদের কাছে সন লিজে থাকলেও অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি ছিল না। জমিটি শহরের প্রাণকেন্দ্র, সেখানে তিনি মডেল মসজিদ নির্মাণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য একাধিক পত্র দিয়েছেন, কিন্তু তারা অনুমোদন দেয়নি। এ কারণে তিনি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যেমন মডেল মসজিদ, বিনোদন কেন্দ্র, শিশুপার্ক নির্মাণ করতে পারছেন না।
এদিকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দিনাজপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল হক মোতাইদ বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের কাছে উপশহরের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে, কিন্তু উপজেলা পরিষদ এখন পর্যন্ত জমি হস্তান্তর করেনি। এ জমি বুঝে নেওয়ার পর দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আল কামাহ তমাল বলেন, যেহেতু জমিটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ থেকে ফেরত নিয়েছে, তাই তারা এর দেখভাল করতে পারছে না। তবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে