নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল সোমবার উপজেলার আটটি ইউপির সিরাজপুর, চরপার্বতী, চরহাজারী ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বিগত এক যুগে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর মধ্যে এ নির্বাচন সাধারণ ভোটার এবং প্রার্থীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে নজিরবিহীন নিরাপত্তা আর ভোটারের উপস্থিতির কারণে। অনেকে ভোট দিয়ে উৎফুল্ল হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মতামত জানিয়ে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও তাঁরা এমন পরিবেশে দেখতে চান।

বিগত নির্বাচনগুলোর তুলনায় এ নির্বাচনে ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিকেল ৪টার পর ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে উৎসুক ভোটাররা ফলাফলের জন্য কনকনে শীত উপেক্ষা করে কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান করছেন।

সৌদি আরব প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম (৪২) রামপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রের ভোটার। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত দুই নির্বাচনে আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। এবার ভোট দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (গতকাল সন্ধ্যা ৭টা) ভোট গণনা চলছিল। বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করতে গভীর রাত হয়ে যেতে পারে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

ব্যালটে সিল দেওয়ার পরিবর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই স্লোগান: নির্বাচনে সিল দেওয়ার পরিবর্তে, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগান লিখে ব্যালট বাক্সে ফেলেছে অনেক ভোটার। উপজেলার রামপুর ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নে ভোট গণনা করতে গিয়ে এমন ব্যালট পাওয়া গেছে।

অনেক ভোটারকে ভোট গণনা শুরুর আগেই বিভিন্ন আইডি থেকে এমন লেখা সংবলিত ব্যালটের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করতে দেখা গেছে।

উপজেলার আটটি ইউপিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় বিএনপি সমর্থিত ভোটাররা এমনটি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।