অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলন কপ–২৯ শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। ১৯৮টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই আয়োজনে নিজেদের জলবায়ু পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে অর্থায়নের চাহিদা জানাবে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো। এমন সময় এক প্রতিবেদনে উঠে এল, গত এক দশকে চরম আবহাওয়ার কারণে ২ ট্রিলিয়ন (২ লাখ কোটি) ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।
ব্যক্তি পর্যায়ের ক্ষতির হিসাব করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন এবং আটলান্টিকের দ্বীপ বাহামাসের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত চরম আবহাওয়ার ৪ হাজার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)।
১৭০টি দেশের সাড়ে ৪ কোটির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিসির সদর দপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন এটি।
চরম আবহাওয়ার ঘটনার মধ্যে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নেওয়ার মতো আকস্মিক বন্যা এবং বছরের পর বছর ধরে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট করে এমন অব্যাহত খরার মতো বিষয়গুলোর উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত দুই বছরেই ৪৫১ বিলিয়ন (৪৫ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সমমানের ক্ষতি হয়েছে।
চরম আবহাওয়ার প্রভাবে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। চরম আবহাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এরপরের অবস্থানে আছে চীন ও ভারত। এ দুই দেশে একই সময়ে ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ২৬ হাজার ৮০০ কোটি ও ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
আইসিসি মহাসচিব জন ডেন্টন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, গত দশকের তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, জলবায়ু পরিবর্তন কোনো ভবিষ্যৎ সমস্যা নয়, বরং এর প্রভাব এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। চরম আবহাওয়ার কারণে কৃষিতে উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে দূষণের মাত্রা কমিয়ে চরম আবহাওয়ার ক্ষতি সামলাতে পারে সে জন্য দ্রুত জলবায়ু তহবিল সরবরাহ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি।
এই অর্থায়নকে উদারতা হিসেবে না দেখে ধনী দেশগুলোকে দায়িত্ব বিবেচনায় এগিয়ে আসতে বলেন ডেন্টন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করা প্রতিটি ডলারই শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী এবং আরও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করবে। আর তা থেকে আমরা সবাই উপকৃত হব।
অর্থনীতির সবুজায়ন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বৈরী আবহাওয়া (প্রাকৃতিক দুর্যোগ) থেকে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবিলায় দরিদ্র বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থায়ন নিয়ে তুমুল বিতর্কে ব্যস্ত বিশ্বনেতারা। বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার প্রভাব জনিত যে চিত্র এ যাবৎ উঠে এসেছে, আইসিসির পরিসংখ্যান বলছে, প্রকৃত চিত্র তার চেয়েও ভয়াবহ।
জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলন কপ–২৯ শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। ১৯৮টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই আয়োজনে নিজেদের জলবায়ু পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে অর্থায়নের চাহিদা জানাবে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো। এমন সময় এক প্রতিবেদনে উঠে এল, গত এক দশকে চরম আবহাওয়ার কারণে ২ ট্রিলিয়ন (২ লাখ কোটি) ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।
ব্যক্তি পর্যায়ের ক্ষতির হিসাব করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন এবং আটলান্টিকের দ্বীপ বাহামাসের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত চরম আবহাওয়ার ৪ হাজার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)।
১৭০টি দেশের সাড়ে ৪ কোটির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিসির সদর দপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন এটি।
চরম আবহাওয়ার ঘটনার মধ্যে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নেওয়ার মতো আকস্মিক বন্যা এবং বছরের পর বছর ধরে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট করে এমন অব্যাহত খরার মতো বিষয়গুলোর উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত দুই বছরেই ৪৫১ বিলিয়ন (৪৫ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সমমানের ক্ষতি হয়েছে।
চরম আবহাওয়ার প্রভাবে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। চরম আবহাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এরপরের অবস্থানে আছে চীন ও ভারত। এ দুই দেশে একই সময়ে ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ২৬ হাজার ৮০০ কোটি ও ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
আইসিসি মহাসচিব জন ডেন্টন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, গত দশকের তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, জলবায়ু পরিবর্তন কোনো ভবিষ্যৎ সমস্যা নয়, বরং এর প্রভাব এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। চরম আবহাওয়ার কারণে কৃষিতে উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে দূষণের মাত্রা কমিয়ে চরম আবহাওয়ার ক্ষতি সামলাতে পারে সে জন্য দ্রুত জলবায়ু তহবিল সরবরাহ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি।
এই অর্থায়নকে উদারতা হিসেবে না দেখে ধনী দেশগুলোকে দায়িত্ব বিবেচনায় এগিয়ে আসতে বলেন ডেন্টন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করা প্রতিটি ডলারই শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী এবং আরও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করবে। আর তা থেকে আমরা সবাই উপকৃত হব।
অর্থনীতির সবুজায়ন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বৈরী আবহাওয়া (প্রাকৃতিক দুর্যোগ) থেকে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবিলায় দরিদ্র বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থায়ন নিয়ে তুমুল বিতর্কে ব্যস্ত বিশ্বনেতারা। বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার প্রভাব জনিত যে চিত্র এ যাবৎ উঠে এসেছে, আইসিসির পরিসংখ্যান বলছে, প্রকৃত চিত্র তার চেয়েও ভয়াবহ।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে‘পরিবেশ উপদেষ্টা বিদেশি পরামর্শে চলছেন কিন্তু দেশের মানুষের পরামর্শ ও দাবিদাওয়াকে পাত্তা দিচ্ছেন না। বিদেশি জার্নালের পরামর্শে তিনি নিজ দেশের পর্যটনশিল্প ও দ্বীপবাসীকে একটা মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেটা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।’
২ দিন আগে