অনলাইন ডেস্ক
আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আকস্মিকভাবে থেমে যেতে পারে ইউরোপ মহাদেশকে উষ্ণ রাখা আটলান্টিক মহাদেশের স্রোত। আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন বা এএমওসি নামে পরিচিত এই স্রোত যেকোনো সময় থেমে যাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছ আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে যে হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ চলছে তাতে করে চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই এএমওসি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি আরও আগে, ২০২৫ সালের মধ্যেই এই স্রোত বন্ধ হতে পারে। তবে খুব বেশি আশাবাদী হলে এই স্রোত ২০৯৫ সাল পর্যন্ত টিকে থাকবে।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটার ডিটলভসেন এবং সুজান ডিটলভসেন নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত একটি পিয়ার-রিভিউড নিবন্ধে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তবে অনেক বিজ্ঞানীই এই গবেষণায় সবকিছু অতি সরলীকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের নিকলাস বোয়ার্স বলেন, ‘মডেলিংটি অত্যধিক সরলীকৃত। গবেষকদ্বয় স্বীকার করেছেন যে তারা এমনটা অনুমান করেছেন কেবল, এটি নিশ্চিত নয়।’
আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন বা এএমওসি গালফ স্ট্রিম বরাবর উষ্ণ পানির স্রোত উত্তর দিকে পাঠায়। ফলস্বরূপ কানাডার সমান অক্ষাংশে থাকা ইংল্যান্ড অনেক বেশি উষ্ণ। বিপরীতে কানাডা অনেক বেশি শীতল। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যদি সত্যই এই স্রোত থেমে যায় তাহলে এর পরিণতি নিয়ে গবেষকদ্বয় সে আভাস দিয়েছেন তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই।
ব্রিস্টল গ্ল্যাসিওলজি সেন্টারের পরিচালক জোনাথন ব্যাম্বার বলেন, ‘এএমওসি-থেমে যাওয়ার অর্থ হলো পুরো বিপর্যয়কে ডেকে নিয়ে আসা।’
চলতি বছরের জুলাই মাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ইতিহাসে রেকর্ড করা উষ্ণতম মাস হতে যাচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে উত্তর আটলান্টিকে গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর গলে ঠান্ডা ও তাজা পানি বেরিয়ে আসছে, যা কিনা উষ্ণ স্রোতের তাপমাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে। ডিটলভসেন্সের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলরেখার কাছাকাছি যেসব স্রোত বয়ে যায় সেগুলোর গতি কমে যাওয়ার পেছনেও এই শীতল পানিই দায়ী।
বিষয়টি আমলে নিয়ে গবেষকদ্বয় বলছেন, ‘এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
যা হোক, জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জেস (আইপিসিসি) সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে, এই শতাব্দীতে এএমওসি হঠাৎ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আকস্মিকভাবে থেমে যেতে পারে ইউরোপ মহাদেশকে উষ্ণ রাখা আটলান্টিক মহাদেশের স্রোত। আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন বা এএমওসি নামে পরিচিত এই স্রোত যেকোনো সময় থেমে যাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছ আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে যে হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ চলছে তাতে করে চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই এএমওসি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি আরও আগে, ২০২৫ সালের মধ্যেই এই স্রোত বন্ধ হতে পারে। তবে খুব বেশি আশাবাদী হলে এই স্রোত ২০৯৫ সাল পর্যন্ত টিকে থাকবে।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটার ডিটলভসেন এবং সুজান ডিটলভসেন নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত একটি পিয়ার-রিভিউড নিবন্ধে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তবে অনেক বিজ্ঞানীই এই গবেষণায় সবকিছু অতি সরলীকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের নিকলাস বোয়ার্স বলেন, ‘মডেলিংটি অত্যধিক সরলীকৃত। গবেষকদ্বয় স্বীকার করেছেন যে তারা এমনটা অনুমান করেছেন কেবল, এটি নিশ্চিত নয়।’
আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন বা এএমওসি গালফ স্ট্রিম বরাবর উষ্ণ পানির স্রোত উত্তর দিকে পাঠায়। ফলস্বরূপ কানাডার সমান অক্ষাংশে থাকা ইংল্যান্ড অনেক বেশি উষ্ণ। বিপরীতে কানাডা অনেক বেশি শীতল। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যদি সত্যই এই স্রোত থেমে যায় তাহলে এর পরিণতি নিয়ে গবেষকদ্বয় সে আভাস দিয়েছেন তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই।
ব্রিস্টল গ্ল্যাসিওলজি সেন্টারের পরিচালক জোনাথন ব্যাম্বার বলেন, ‘এএমওসি-থেমে যাওয়ার অর্থ হলো পুরো বিপর্যয়কে ডেকে নিয়ে আসা।’
চলতি বছরের জুলাই মাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ইতিহাসে রেকর্ড করা উষ্ণতম মাস হতে যাচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে উত্তর আটলান্টিকে গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর গলে ঠান্ডা ও তাজা পানি বেরিয়ে আসছে, যা কিনা উষ্ণ স্রোতের তাপমাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে। ডিটলভসেন্সের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলরেখার কাছাকাছি যেসব স্রোত বয়ে যায় সেগুলোর গতি কমে যাওয়ার পেছনেও এই শীতল পানিই দায়ী।
বিষয়টি আমলে নিয়ে গবেষকদ্বয় বলছেন, ‘এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
যা হোক, জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জেস (আইপিসিসি) সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে, এই শতাব্দীতে এএমওসি হঠাৎ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছে অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেশৈবাল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভিরিডোসের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকার বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সন–মোবিল। গত বছর তারা এ গবেষণার অংশীদারত্ব ছেড়ে দিলে জ্বালানি খাতে আলোড়ন পড়ে যায়। এক্সন–মোবিল অর্থ উপার্জনের আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে শৈবাল থেকে জৈব...
১ দিন আগেদূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।
২ দিন আগেজঙ্গলে গিয়েছেন ঘুরতে। সেখানে বাঘ দেখাটা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর এক ব্যাপার। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন আপনার সামনেই মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে দুই বাঘ, নিশ্চয় আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হবে। খুব বেশি সাহসী হলে রোমাঞ্চটা আরও বেশি উপভোগ করবেন। এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের এক জঙ্গলে বেড়াতে যাওয়া কিছু প
২ দিন আগে