আজকের পত্রিকা
পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক দূষণ। প্রতিবছর বিভিন্ন কোম্পানি মিলে বিশ্বে ৪০ কোটি টনের বেশি প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এসব প্লাস্টিকের সিংহ ভাগ পড়ছে পানির নানা প্রবাহে– সাগর-মহাসাগরে। কিছু প্লাস্টিক ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে আণুবীক্ষণিক কণায় পরিণত হয়।
সেগুলো বাতাসে-পানিতে ভেসে ঢুকছে মানবদেহে, রক্তে মিশে জমছে ফুসফুসসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। পৃথিবীর পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্য এমন ঝুঁকি সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক দূষণে শীর্ষে রয়েছে কোকাকোলা, পেপসিকোর মতো নামীদামি কোম্পানি। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। গত বুধবার গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকী। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক দ্য মুর ইনস্টিটিউট ফর প্লাস্টিক পলিউশন রিসার্চের গবেষণা পরিচালক উইন কওগার এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ছয় মহাদেশে ১ লাখের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এই গবেষণার অংশ হিসেবে ১৮ লাখের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও শ্রেণিবিন্যাস করেছেন। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন সৈকত, উদ্যান, নদী ও অন্যান্য জায়গা থেকে। ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক এই গবেষণার অংশ হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনাগুলোর ওপর ১ হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা চালিয়েছে।
গবেষণায় জানা গেছে, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য অর্ধেকের বেশি দায়ী ৫৬টি কোম্পানি। এসব কোম্পানির শীর্ষে রয়েছে কোমল পানীয় উৎপাদক ও বিপণনকারী কোম্পানি কোকাকোলা। এই কোম্পানি একাই বৈশ্বিক ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ১১ শতাংশের জন্য দায়ী। তারপরেই রয়েছে আরেক কোমল পানীয় উৎপাদক ও বিপণনকারী কোম্পানি পেপসিকো। এ ছাড়া নেসলে ও ড্যানোনও শীর্ষ কোম্পানিগুলোর কাতারে রয়েছে।
গবেষণার অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবীরা সংগৃহীত প্লাস্টিকের নমুনাগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ড নাম সংযুক্ত নমুনাগুলোও আলাদাভাবে যাচাই করেছেন। ব্র্যান্ড নামযুক্ত নমুনা বর্জ্যগুলোকেই বলা হচ্ছে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণ, অর্থাৎ এগুলোর জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ড। সংগৃহীত ১৮ লাখ নমুনার মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজারই ছিল এমন ব্র্যান্ড নামযুক্ত প্লাস্টিক। এখানে উল্লেখ্য, সূর্যালোক ও আবহাওয়ার কারণে প্লাস্টিকের গা থেকে ব্র্যান্ড নাম মুছে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কোকাকোলাকে ইমেইল করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। জবাবে তারা জানিয়েছে, তারা ‘বর্জ্যমুক্ত বিশ্বের’ কৌশল নিয়ে এখন অগ্রসর হচ্ছে। তারা চেষ্টা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থায় যেতে।তাদের লক্ষ্য, ২০৩০ সাল নাগাদ অন্ততপক্ষে তাদের ৫০ শতাংশ পণ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবহার।
আর পেপসিকো বলেছে, তারা প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক নীতি পরিকাঠামো গঠনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি এমন এক অর্থনীতি গড়ার চেষ্টা করছে, যেখানে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করা যায়। নেসলে বলেছে, তারা নতুন প্লাস্টিক ব্যবহারের হার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে। প্যাকেজিংয়ে তারাও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহারের চেষ্টা করছে। ড্যানোন ওয়াশিংটন পোস্টের ইমেইলের কোনো জবাব দেয়নি।
গবেষণার বিষয়ে দ্য মুর ইনস্টিটিউট ফর প্লাস্টিক পলিউশন রিসার্চের গবেষণা পরিচালক উইন কওগার বলেন, যে দূষণ হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে মহা কর্মযজ্ঞে নামতে হবে। এই সংকটের সহজ কোনো সমাধান নেই।
পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক দূষণ। প্রতিবছর বিভিন্ন কোম্পানি মিলে বিশ্বে ৪০ কোটি টনের বেশি প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এসব প্লাস্টিকের সিংহ ভাগ পড়ছে পানির নানা প্রবাহে– সাগর-মহাসাগরে। কিছু প্লাস্টিক ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে আণুবীক্ষণিক কণায় পরিণত হয়।
সেগুলো বাতাসে-পানিতে ভেসে ঢুকছে মানবদেহে, রক্তে মিশে জমছে ফুসফুসসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। পৃথিবীর পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্য এমন ঝুঁকি সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক দূষণে শীর্ষে রয়েছে কোকাকোলা, পেপসিকোর মতো নামীদামি কোম্পানি। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। গত বুধবার গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকী। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক দ্য মুর ইনস্টিটিউট ফর প্লাস্টিক পলিউশন রিসার্চের গবেষণা পরিচালক উইন কওগার এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ছয় মহাদেশে ১ লাখের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এই গবেষণার অংশ হিসেবে ১৮ লাখের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও শ্রেণিবিন্যাস করেছেন। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন সৈকত, উদ্যান, নদী ও অন্যান্য জায়গা থেকে। ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক এই গবেষণার অংশ হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনাগুলোর ওপর ১ হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা চালিয়েছে।
গবেষণায় জানা গেছে, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য অর্ধেকের বেশি দায়ী ৫৬টি কোম্পানি। এসব কোম্পানির শীর্ষে রয়েছে কোমল পানীয় উৎপাদক ও বিপণনকারী কোম্পানি কোকাকোলা। এই কোম্পানি একাই বৈশ্বিক ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ১১ শতাংশের জন্য দায়ী। তারপরেই রয়েছে আরেক কোমল পানীয় উৎপাদক ও বিপণনকারী কোম্পানি পেপসিকো। এ ছাড়া নেসলে ও ড্যানোনও শীর্ষ কোম্পানিগুলোর কাতারে রয়েছে।
গবেষণার অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবীরা সংগৃহীত প্লাস্টিকের নমুনাগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ড নাম সংযুক্ত নমুনাগুলোও আলাদাভাবে যাচাই করেছেন। ব্র্যান্ড নামযুক্ত নমুনা বর্জ্যগুলোকেই বলা হচ্ছে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণ, অর্থাৎ এগুলোর জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ড। সংগৃহীত ১৮ লাখ নমুনার মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজারই ছিল এমন ব্র্যান্ড নামযুক্ত প্লাস্টিক। এখানে উল্লেখ্য, সূর্যালোক ও আবহাওয়ার কারণে প্লাস্টিকের গা থেকে ব্র্যান্ড নাম মুছে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কোকাকোলাকে ইমেইল করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। জবাবে তারা জানিয়েছে, তারা ‘বর্জ্যমুক্ত বিশ্বের’ কৌশল নিয়ে এখন অগ্রসর হচ্ছে। তারা চেষ্টা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থায় যেতে।তাদের লক্ষ্য, ২০৩০ সাল নাগাদ অন্ততপক্ষে তাদের ৫০ শতাংশ পণ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবহার।
আর পেপসিকো বলেছে, তারা প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক নীতি পরিকাঠামো গঠনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি এমন এক অর্থনীতি গড়ার চেষ্টা করছে, যেখানে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করা যায়। নেসলে বলেছে, তারা নতুন প্লাস্টিক ব্যবহারের হার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে। প্যাকেজিংয়ে তারাও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহারের চেষ্টা করছে। ড্যানোন ওয়াশিংটন পোস্টের ইমেইলের কোনো জবাব দেয়নি।
গবেষণার বিষয়ে দ্য মুর ইনস্টিটিউট ফর প্লাস্টিক পলিউশন রিসার্চের গবেষণা পরিচালক উইন কওগার বলেন, যে দূষণ হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে মহা কর্মযজ্ঞে নামতে হবে। এই সংকটের সহজ কোনো সমাধান নেই।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
২১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে