নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবেশ রক্ষায় আইনি উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু করেছে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত ‘এনভায়রনমেন্টাল ল’ অ্যান্ড পলিসি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রথম দিনে পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, মানবজাতিকে সুস্থভাবে পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখতে হলে দূষণমুক্ত পরিবেশের বিকল্প নেই। নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এটা থেকে উদ্ধারে সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। সম্মেলনে ভার্চৃয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকিয়া আফরোজ এবং সম্মেলনের আহ্বায়ক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘স্রষ্টার সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে সবার আগে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। এই রক্ষার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, প্রত্যেকটি মানুষের। সত্যিকার অর্থে বাঁচার মতো বাঁচতে চাইলে নিজ নিজ জায়গা থেকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব আজ ঘরে এসি লাগিয়েও গরমে টিকতে পারছে না। আমরা যেন সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি না হই। নিজের ঘর ও সমাজ ঠিক রাখলে একসময় গোটা দেশটাও পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে।’
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দূষণে সবচেয়ে বেশি দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে কেন যুক্তরাষ্ট্রকে আইনের আওতায় আনা যাবে না, আইনের শিক্ষার্থীদের তা নিয়েও ভাবতে হবে।’
এ সময় আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘আইন প্রণয়নের আগেই আমাদের হাতের মুঠোয় প্রযুক্তি চলে আসছে। এর ফলে একদিকে যেমন আইন প্রয়োগ হয় না, অন্যদিকে প্রযুক্তির অপব্যবহার হয়। পরিবেশ আইন যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ার জন্যও এই বিষয়টি দায়ী।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, ‘পরিবেশ কীভাবে দূষণ হয়, একজন শিশুর সামাজিকীকরণের দিকে তাকালেই তা বোঝা যাবে। কারণ কোথায় সে আবর্জনা ফেলবে, কীভাবে তার আশেপাশের পরিবেশ রক্ষা করবে—সেটা পরিবারই তাকে শিক্ষা দেবে। যদিও আমাদের অধিকাংশ পরিবার তা শিক্ষা দেয় না।’
সম্মেলনের সেশন চেয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’ আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের মাধ্যমে এই সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের ডিন ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরই ঠিক করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় আমাদের কী করতে হবে, কী আইন প্রয়োজন।’
সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের উত্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধের মাধ্যমে পরিবেশ আইন ও পলিসিসংক্রান্ত নানামুখী প্রস্তাব উঠে আসবে বলে আশা করেন অধ্যাপক ফারহানা।
পরিবেশ রক্ষায় আইনি উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু করেছে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত ‘এনভায়রনমেন্টাল ল’ অ্যান্ড পলিসি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রথম দিনে পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, মানবজাতিকে সুস্থভাবে পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখতে হলে দূষণমুক্ত পরিবেশের বিকল্প নেই। নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এটা থেকে উদ্ধারে সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। সম্মেলনে ভার্চৃয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকিয়া আফরোজ এবং সম্মেলনের আহ্বায়ক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘স্রষ্টার সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে সবার আগে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। এই রক্ষার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, প্রত্যেকটি মানুষের। সত্যিকার অর্থে বাঁচার মতো বাঁচতে চাইলে নিজ নিজ জায়গা থেকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব আজ ঘরে এসি লাগিয়েও গরমে টিকতে পারছে না। আমরা যেন সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি না হই। নিজের ঘর ও সমাজ ঠিক রাখলে একসময় গোটা দেশটাও পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে।’
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দূষণে সবচেয়ে বেশি দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে কেন যুক্তরাষ্ট্রকে আইনের আওতায় আনা যাবে না, আইনের শিক্ষার্থীদের তা নিয়েও ভাবতে হবে।’
এ সময় আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘আইন প্রণয়নের আগেই আমাদের হাতের মুঠোয় প্রযুক্তি চলে আসছে। এর ফলে একদিকে যেমন আইন প্রয়োগ হয় না, অন্যদিকে প্রযুক্তির অপব্যবহার হয়। পরিবেশ আইন যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ার জন্যও এই বিষয়টি দায়ী।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, ‘পরিবেশ কীভাবে দূষণ হয়, একজন শিশুর সামাজিকীকরণের দিকে তাকালেই তা বোঝা যাবে। কারণ কোথায় সে আবর্জনা ফেলবে, কীভাবে তার আশেপাশের পরিবেশ রক্ষা করবে—সেটা পরিবারই তাকে শিক্ষা দেবে। যদিও আমাদের অধিকাংশ পরিবার তা শিক্ষা দেয় না।’
সম্মেলনের সেশন চেয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’ আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের মাধ্যমে এই সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের ডিন ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরই ঠিক করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় আমাদের কী করতে হবে, কী আইন প্রয়োজন।’
সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের উত্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধের মাধ্যমে পরিবেশ আইন ও পলিসিসংক্রান্ত নানামুখী প্রস্তাব উঠে আসবে বলে আশা করেন অধ্যাপক ফারহানা।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৫ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে