অনলাইন ডেস্ক
শরীরের বাইরে শক্ত কোনো আবরণ না থাকায় সুরক্ষার জন্য মৃত শামুক বা ঝিনুকের খোলস পরে থাকে খোলসবিহীন কাঁকড়া (হারমিট ক্র্যাব)। এই কাঁকড়ারা এখন আত্মরক্ষার জন্য শামুকের খোলসের পরিবর্তে ভাঙা প্লাস্টিকের কৌটার ছিপি বা ঢাকনা, টিনের পাত্র বেছে নিচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষকদের তোলা ছবি ও অনলাইনে প্রকাশিত ছবি বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিপুলসংখ্যক সামুদ্রিক প্রাণী আমাদের বর্জ্যের ভাগাড়ে বসবাস করছে। হারমিট ক্র্যাব প্রজাতির দুই–তৃতীয়াংশ প্রাণীকেই কৃত্রিম খোলসে দেখা যাচ্ছে। এ খোলসগুলো হচ্ছে মানুষের তৈরি বর্জ্য।
এ আবিষ্কার সম্পর্কে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী টোটাল এনভায়রনমেন্টে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণার তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করতে গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ছবি শেয়ার করার ওয়েবসাইটের সহায়তা নিয়েছেন।
পোল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারশর নগর বাস্তুবিদ এবং গবেষক মার্তা জালকিন বলেন, ‘আমরা একেবারে ভিন্ন কিছু লক্ষ্য করা শুরু করলাম। কোনো সুন্দর শামুকের খোলসের পরিবর্তে এ কাঁকড়াগুলো পিঠে লাল প্লাস্টিক বোতলের ঢাকনা পরে ছিল। আমরা এ কাঁকড়াগুলোকে সব সময় শামুকের খোলস পরতেই দেখেছি।’
তিনি ও তাঁর সহকর্মী ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জুজানা জাগিয়েলো এবং পোজনান ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সের লুকাশ দিলেওস্কি মোট ৩৮৬টি হারমিট ক্র্যাব খুঁজে পান, যেগুলো কৃত্রিম খোলস পরে ছিল। এ কৃত্রিম খোলসের বেশির ভাগই ছিল প্লাস্টিক বোতলের ঢাকনা।
অধ্যাপক জালকিন বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুসারে, বিশ্বের ১৬ প্রজাতির স্থল হারমিট কাঁকড়ার মধ্যে ১০ প্রজাতিই এ ধরনের আশ্রয় ব্যবহার করে থাকে এবং এটি বিশ্বের সমস্ত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেই লক্ষ্য করা হয়েছে।’
তবে প্লাস্টিকজাতীয় এ পদার্থগুলো নরম খোলসযুক্ত প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অধ্যাপক জালকিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমি যখন প্রথম এ ছবিগুলো দেখি আমার কাছে এগুলো মর্মান্তিক মনে হয়েছিল। আবার আমার মনে হয়, আমাদের বোঝা উচিত যে, আমরা এখন ভিন্ন এক যুগে বসবাস করছি। এখন প্রাণীরা নাগালের মধ্যে যা পায় তা–ই ব্যবহার করে।’
ইন্টারনেটভিত্তিক এ বাস্তুতান্ত্রিক গবেষণায় কৃত্রিম খোলসের ব্যবহারকে বৈশ্বিক ঘটনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। জালকিন বলেন, ‘দুই–তৃতীয়াংশ স্থলজ হারমিট কাঁকড়া প্রজাতির মধ্যে আমরা এ ধরনের খোলস দেখতে পেয়েছি। পর্যটকদের তোলা ছবি ব্যবহার করেই আমরা এটা শনাক্ত করতে পেরেছি।’
গবেষকেরা বলছেন, এ গবেষণার মাধ্যমে উপকূলীয় সামুদ্রিক প্রাণীরা প্লাস্টিকের সঙ্গে কীভাবে টিকে আছে এবং কীভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করছে এ বিষয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এর কারণে প্রাণীর বিবর্তন কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে এবং এতে কাঁকড়াগুলোর কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না—তা বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এ কাঁকড়াগুলো নিজেদের নাজুক শরীর রক্ষা করতে মরা শামুকের খোলস পরে। এই খোলসের ঘাটতি দেখা দিলে, কাঁকড়াগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে।
জালকিন বলেন, ‘আমরা জানি না এ পরিবর্তন এগুলোর ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে এবং কাঁকড়াগুলো কৃত্রিম প্লাস্টিক খোলসের জন্য লড়াই করবে কি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক শামুকের খোলস এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। তাই, তাঁর ধারণা শামুকের খোলসের চেয়ে প্রাণীদের পক্ষে কৃত্রিম বিকল্প খুঁজে পাওয়া সহজ হয়ে উঠছে। প্লাস্টিকের ছোট ও হালকা খোলসগুলো বহন করতে সহজ হওয়ায় দুর্বল ও ছোট কাঁকড়া এগুলো নিয়ে টিকে থাকতে পারে।’
সামুদ্রিক পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক রয়েছে যা থেকে প্রাণীরা সহজেই বেছে নিতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সমুদ্রে অন্তত ১৭১ লাখ কোটি প্লাস্টিক বর্জ্য ভাসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ২০৪০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ তিনগুণ হয়ে যাবে।
শরীরের বাইরে শক্ত কোনো আবরণ না থাকায় সুরক্ষার জন্য মৃত শামুক বা ঝিনুকের খোলস পরে থাকে খোলসবিহীন কাঁকড়া (হারমিট ক্র্যাব)। এই কাঁকড়ারা এখন আত্মরক্ষার জন্য শামুকের খোলসের পরিবর্তে ভাঙা প্লাস্টিকের কৌটার ছিপি বা ঢাকনা, টিনের পাত্র বেছে নিচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষকদের তোলা ছবি ও অনলাইনে প্রকাশিত ছবি বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিপুলসংখ্যক সামুদ্রিক প্রাণী আমাদের বর্জ্যের ভাগাড়ে বসবাস করছে। হারমিট ক্র্যাব প্রজাতির দুই–তৃতীয়াংশ প্রাণীকেই কৃত্রিম খোলসে দেখা যাচ্ছে। এ খোলসগুলো হচ্ছে মানুষের তৈরি বর্জ্য।
এ আবিষ্কার সম্পর্কে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী টোটাল এনভায়রনমেন্টে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণার তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করতে গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ছবি শেয়ার করার ওয়েবসাইটের সহায়তা নিয়েছেন।
পোল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারশর নগর বাস্তুবিদ এবং গবেষক মার্তা জালকিন বলেন, ‘আমরা একেবারে ভিন্ন কিছু লক্ষ্য করা শুরু করলাম। কোনো সুন্দর শামুকের খোলসের পরিবর্তে এ কাঁকড়াগুলো পিঠে লাল প্লাস্টিক বোতলের ঢাকনা পরে ছিল। আমরা এ কাঁকড়াগুলোকে সব সময় শামুকের খোলস পরতেই দেখেছি।’
তিনি ও তাঁর সহকর্মী ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জুজানা জাগিয়েলো এবং পোজনান ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সের লুকাশ দিলেওস্কি মোট ৩৮৬টি হারমিট ক্র্যাব খুঁজে পান, যেগুলো কৃত্রিম খোলস পরে ছিল। এ কৃত্রিম খোলসের বেশির ভাগই ছিল প্লাস্টিক বোতলের ঢাকনা।
অধ্যাপক জালকিন বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুসারে, বিশ্বের ১৬ প্রজাতির স্থল হারমিট কাঁকড়ার মধ্যে ১০ প্রজাতিই এ ধরনের আশ্রয় ব্যবহার করে থাকে এবং এটি বিশ্বের সমস্ত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেই লক্ষ্য করা হয়েছে।’
তবে প্লাস্টিকজাতীয় এ পদার্থগুলো নরম খোলসযুক্ত প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অধ্যাপক জালকিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমি যখন প্রথম এ ছবিগুলো দেখি আমার কাছে এগুলো মর্মান্তিক মনে হয়েছিল। আবার আমার মনে হয়, আমাদের বোঝা উচিত যে, আমরা এখন ভিন্ন এক যুগে বসবাস করছি। এখন প্রাণীরা নাগালের মধ্যে যা পায় তা–ই ব্যবহার করে।’
ইন্টারনেটভিত্তিক এ বাস্তুতান্ত্রিক গবেষণায় কৃত্রিম খোলসের ব্যবহারকে বৈশ্বিক ঘটনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। জালকিন বলেন, ‘দুই–তৃতীয়াংশ স্থলজ হারমিট কাঁকড়া প্রজাতির মধ্যে আমরা এ ধরনের খোলস দেখতে পেয়েছি। পর্যটকদের তোলা ছবি ব্যবহার করেই আমরা এটা শনাক্ত করতে পেরেছি।’
গবেষকেরা বলছেন, এ গবেষণার মাধ্যমে উপকূলীয় সামুদ্রিক প্রাণীরা প্লাস্টিকের সঙ্গে কীভাবে টিকে আছে এবং কীভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করছে এ বিষয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এর কারণে প্রাণীর বিবর্তন কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে এবং এতে কাঁকড়াগুলোর কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না—তা বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এ কাঁকড়াগুলো নিজেদের নাজুক শরীর রক্ষা করতে মরা শামুকের খোলস পরে। এই খোলসের ঘাটতি দেখা দিলে, কাঁকড়াগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে।
জালকিন বলেন, ‘আমরা জানি না এ পরিবর্তন এগুলোর ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে এবং কাঁকড়াগুলো কৃত্রিম প্লাস্টিক খোলসের জন্য লড়াই করবে কি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক শামুকের খোলস এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। তাই, তাঁর ধারণা শামুকের খোলসের চেয়ে প্রাণীদের পক্ষে কৃত্রিম বিকল্প খুঁজে পাওয়া সহজ হয়ে উঠছে। প্লাস্টিকের ছোট ও হালকা খোলসগুলো বহন করতে সহজ হওয়ায় দুর্বল ও ছোট কাঁকড়া এগুলো নিয়ে টিকে থাকতে পারে।’
সামুদ্রিক পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক রয়েছে যা থেকে প্রাণীরা সহজেই বেছে নিতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সমুদ্রে অন্তত ১৭১ লাখ কোটি প্লাস্টিক বর্জ্য ভাসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ২০৪০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ তিনগুণ হয়ে যাবে।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৮ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে