প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট)
চুঁইঝাল বা চইঝাল। খুলনা অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মসলার চাষ শুরু করেছেন। তবে এক গাছেই বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের এক শৌখিন খামারি। একটি চুঁই গাছই তিনি বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল। গত মঙ্গলবার বুলবুলের ছেলে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অবিশ্বাস্য দামে চুঁই গাছ বিক্রির কথা জানান। দ্রুতই বিষয়টি ভাইরাল হয়। ফলে চুঁই ঝাল নিয়ে হঠাৎ করে এলাকায় অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে খোঁজখবর করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৭ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।
মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। লালমনিরহাটে এখন অনেক আবাদি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তামাক চাষিদের চুঁই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান বুলবুল।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। জেলায় এখন অনেক বাড়িতে চুঁইয়ের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। দেশে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে অনেক দিন আগ থেকেই চুঁই ঝাল চাষ করে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুঁই ঝাল বেশ জনপ্রিয়। দেশের সিংহভাগ চুঁই ঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকায় চুঁই ঝালের কাণ্ড, শিকড়, পাতার বোঁটা রান্নার সঙ্গে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ওষুধ–পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে এর ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুঁই ঝালের ফল মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল শুকালে লবঙ্গের মতো হয়।
চুঁই গাছ অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সঙ্গেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি গাছে ভালো হয়। তবে আম ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুঁই সবচেয়ে ভালো মানের হয়।
চুঁই শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায়ই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুঁই লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ঝাল বেশি, তাই এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুঁইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন চুঁই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় প্রায় ২৫০ বাড়িতে চুঁই চাষ হচ্ছে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুঁইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ভেষজগুণ তো রয়েছেই।
চুঁইঝাল বা চইঝাল। খুলনা অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মসলার চাষ শুরু করেছেন। তবে এক গাছেই বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের এক শৌখিন খামারি। একটি চুঁই গাছই তিনি বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল। গত মঙ্গলবার বুলবুলের ছেলে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অবিশ্বাস্য দামে চুঁই গাছ বিক্রির কথা জানান। দ্রুতই বিষয়টি ভাইরাল হয়। ফলে চুঁই ঝাল নিয়ে হঠাৎ করে এলাকায় অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে খোঁজখবর করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৭ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।
মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। লালমনিরহাটে এখন অনেক আবাদি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তামাক চাষিদের চুঁই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান বুলবুল।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। জেলায় এখন অনেক বাড়িতে চুঁইয়ের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। দেশে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে অনেক দিন আগ থেকেই চুঁই ঝাল চাষ করে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুঁই ঝাল বেশ জনপ্রিয়। দেশের সিংহভাগ চুঁই ঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকায় চুঁই ঝালের কাণ্ড, শিকড়, পাতার বোঁটা রান্নার সঙ্গে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ওষুধ–পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে এর ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুঁই ঝালের ফল মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল শুকালে লবঙ্গের মতো হয়।
চুঁই গাছ অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সঙ্গেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি গাছে ভালো হয়। তবে আম ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুঁই সবচেয়ে ভালো মানের হয়।
চুঁই শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায়ই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুঁই লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ঝাল বেশি, তাই এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুঁইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন চুঁই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় প্রায় ২৫০ বাড়িতে চুঁই চাষ হচ্ছে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুঁইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ভেষজগুণ তো রয়েছেই।
বাংলাদেশের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছে অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেশৈবাল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভিরিডোসের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকার বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সন–মোবিল। গত বছর তারা এ গবেষণার অংশীদারত্ব ছেড়ে দিলে জ্বালানি খাতে আলোড়ন পড়ে যায়। এক্সন–মোবিল অর্থ উপার্জনের আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে শৈবাল থেকে জৈব...
২ দিন আগেদূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।
২ দিন আগেজঙ্গলে গিয়েছেন ঘুরতে। সেখানে বাঘ দেখাটা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর এক ব্যাপার। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন আপনার সামনেই মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে দুই বাঘ, নিশ্চয় আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হবে। খুব বেশি সাহসী হলে রোমাঞ্চটা আরও বেশি উপভোগ করবেন। এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের এক জঙ্গলে বেড়াতে যাওয়া কিছু প
২ দিন আগে