নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধুলা দূষণকারীদের শাস্তিসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। ধুলার দূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যু বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পবাসহ সমমনা নয়টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ‘ধুলা দূষণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যু-ধুলা দূষণ রোধে চাই কার্যকর পদক্ষেপ’ শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পবার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সম্পাদক এমএ ওয়াহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, নাসফের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম সিদ্দিক আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, লিয়াকত আলী খান, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসিবুল হক পুনম, পরিষ্কার ঢাকার সমন্বয়ক মো. শাজাহান, মৃত্তিকার ব্যবস্থাপক খাদিজা খাতুন, পবার সদস্য কবি কামরুজ্জামান ভুইয়া, আলোকিত বন্ধু সংঘের সভাপতি হাজি মো. রনি, গ্রিন ফোর্সের সদস্য ইসমাইল রাকিব প্রমুখ।
মানববন্ধনে জানানো হয়, বায়ু দূষণের কারণে সারা দেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। ঢাকায় কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর ৬ মাস। লাইফ ইনডেক্সের গবেষণা মতে, ১৯৯৮ সালে বায়ু দূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছিল প্রায় দুই বছর আট মাস, ২০১৯ সালে সেটি পাঁচ বছর চার মাসে দাঁড়িয়েছে। গবেষণা বলছে, সারা দেশের ৬৪টি জেলার প্রত্যেকটিতেই বায়ু দূষণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী অন্তত তিন গুণ বেশি। দূষিত বাতাসে কঠিন ও তরল পদার্থ উড়ে বেড়ায়, যার মধ্যে রয়েছে কাচ, ধোঁয়া বা ধুলা, যেগুলোকে ‘বস্তুকণা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মানববন্ধনে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত বায়ুর শহর। ধুলার কারণে এই দূষণের মাত্রা এখন আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ আসলে এক অবিশ্বাস্য বিষাক্ত গ্যাসের মাঝে বাস করছে। নতুন নতুন অবকাঠামোর নামে প্রতিনিয়ত খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে নগরের বিভিন্ন স্থানে। ফলে ধুলা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধুলা দূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। আমাদের দেশের বিশেষ করে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ইটভাটা, কলকারখানা, নির্মাণকাজ এবং যানবাহনের ধোঁয়া।
মানববন্ধন থেকে ১০টি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো-ধুলা সৃষ্টি করে এমন কোনো সামগ্রী যেমন-বালু, মাটি, ইট বা পাথর বহনের সময় সঠিকভাবে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা নেওয়া; ভবন নির্মাণ ও মেরামত বা অন্য যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সময় নির্মাণ সামগ্রী ফুটপাত বা রাস্তার ওপর বা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় না রাখা; নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার পর আবর্জনা রাস্তার পাশে জমিয়ে না রাখা এবং দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নেওয়া; সকল আবর্জনা যথাযথ স্থানে ফেলা, সিটি করপোরেশন কর্তৃক আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে যানবাহন থেকে আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে না পড়ে; রাস্তাঘাট ও ফুটপাত নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও মেরামত করা; ইট প্রস্তুতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কম সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার করা; ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনসমূহ বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে তাদের ওপর অর্পিত আইনানুগ দায়িত্ব আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করা; সকল অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে ধুলা দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা প্রদান; নির্দেশনা অমান্যকারী কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে পরিবেশ আইন অনুসারে জরিমানা করা; ধুলা দূষণ বন্ধে নগরে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো। সেই সঙ্গে ধুলা দূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার ও বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম এবং সচেতন মহলের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা।
ধুলা দূষণকারীদের শাস্তিসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। ধুলার দূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যু বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পবাসহ সমমনা নয়টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ‘ধুলা দূষণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যু-ধুলা দূষণ রোধে চাই কার্যকর পদক্ষেপ’ শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পবার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সম্পাদক এমএ ওয়াহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, নাসফের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম সিদ্দিক আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, লিয়াকত আলী খান, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসিবুল হক পুনম, পরিষ্কার ঢাকার সমন্বয়ক মো. শাজাহান, মৃত্তিকার ব্যবস্থাপক খাদিজা খাতুন, পবার সদস্য কবি কামরুজ্জামান ভুইয়া, আলোকিত বন্ধু সংঘের সভাপতি হাজি মো. রনি, গ্রিন ফোর্সের সদস্য ইসমাইল রাকিব প্রমুখ।
মানববন্ধনে জানানো হয়, বায়ু দূষণের কারণে সারা দেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। ঢাকায় কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর ৬ মাস। লাইফ ইনডেক্সের গবেষণা মতে, ১৯৯৮ সালে বায়ু দূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছিল প্রায় দুই বছর আট মাস, ২০১৯ সালে সেটি পাঁচ বছর চার মাসে দাঁড়িয়েছে। গবেষণা বলছে, সারা দেশের ৬৪টি জেলার প্রত্যেকটিতেই বায়ু দূষণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী অন্তত তিন গুণ বেশি। দূষিত বাতাসে কঠিন ও তরল পদার্থ উড়ে বেড়ায়, যার মধ্যে রয়েছে কাচ, ধোঁয়া বা ধুলা, যেগুলোকে ‘বস্তুকণা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মানববন্ধনে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত বায়ুর শহর। ধুলার কারণে এই দূষণের মাত্রা এখন আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ আসলে এক অবিশ্বাস্য বিষাক্ত গ্যাসের মাঝে বাস করছে। নতুন নতুন অবকাঠামোর নামে প্রতিনিয়ত খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে নগরের বিভিন্ন স্থানে। ফলে ধুলা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধুলা দূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। আমাদের দেশের বিশেষ করে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ইটভাটা, কলকারখানা, নির্মাণকাজ এবং যানবাহনের ধোঁয়া।
মানববন্ধন থেকে ১০টি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো-ধুলা সৃষ্টি করে এমন কোনো সামগ্রী যেমন-বালু, মাটি, ইট বা পাথর বহনের সময় সঠিকভাবে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা নেওয়া; ভবন নির্মাণ ও মেরামত বা অন্য যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সময় নির্মাণ সামগ্রী ফুটপাত বা রাস্তার ওপর বা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় না রাখা; নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার পর আবর্জনা রাস্তার পাশে জমিয়ে না রাখা এবং দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নেওয়া; সকল আবর্জনা যথাযথ স্থানে ফেলা, সিটি করপোরেশন কর্তৃক আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে যানবাহন থেকে আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে না পড়ে; রাস্তাঘাট ও ফুটপাত নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও মেরামত করা; ইট প্রস্তুতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কম সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার করা; ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনসমূহ বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে তাদের ওপর অর্পিত আইনানুগ দায়িত্ব আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করা; সকল অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে ধুলা দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা প্রদান; নির্দেশনা অমান্যকারী কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে পরিবেশ আইন অনুসারে জরিমানা করা; ধুলা দূষণ বন্ধে নগরে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো। সেই সঙ্গে ধুলা দূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার ও বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম এবং সচেতন মহলের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা।
বার্ষিক শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের শর্ত পূরণ হয়নি গত এক দশকেও। এর মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর পক্ষ থেকে।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১ দিন আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
২ দিন আগে