অনলাইন ডেস্ক
কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।
তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।
কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।
তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৮ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে