অনলাইন ডেস্ক
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার ইতি টানতে বিশ্ব বৈদ্যুতিক যান, বায়ুকল, সৌর প্যানেল এবং অন্যান্য ক্লিন এনার্জির প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। তবে এই যাত্রার সফলতার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর ঘাটতি।
আজ শুক্রবার প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল এবং গ্রাফাইটের দাম হ্রাস ক্রেতাদের জন্য সুখবর হলেও গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো খনন ও উত্তোলনে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদার মাত্র ৭০ শতাংশ এবং লিথিয়ামের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হতে পারে।
আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সৌর প্যানেল, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারির মতো প্রযুক্তির জন্য বিশ্বে নতুন খনিজ সম্পদের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর নির্ভরযোগ্য এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ ছাড়া এটি পূরণ করতে পারব না।’
আইইএ বলছে, বিরল খনিজগুলো উত্তোলনে বিনিয়োগ গত বছর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইতিবাচক হলেও ২০২২ সালের তুলনায় মন্থর।
আইইএ পূর্বাভাস দিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের এখন থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে খনন প্রকল্পগুলোতে ৮০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি শিল্প বিপ্লবের পূর্বের স্তরের ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে রাখা সম্ভবপর হবে না।
আইইএ উল্লেখ করেছে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর দাম করোনা মহামারির আগের স্তরে ফিরে এসেছে। যা ব্যাটারির দাম হ্রাসের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।
আইইএ বলেছে, গত দুই বছরে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে দামের পতন ঘটেছে। তবে বাজারে খনিজগুলোর জোগান ভবিষ্যতে একই রূপ নাও থাকতে পারে। কারণ দিনদিন বিরল খনিজগুলোর চাহিদা বাড়ছেই।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই বৈশ্বিক উষ্ণতা রাখতে পদক্ষেপ নিলে ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রাফাইটের চাহিদা বর্তমানের চেয়ে চারগুণ হবে। ২০২৩ সালে লিথিয়ামের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে কোবাল্ট, নিকেল এবং গ্রাফাইটের দাম ৩০ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আইইএর তথ্য অনুসারে, এই মূল্যপতন ব্যাটারির দাম ১৪ শতাংশ কমাতে সাহায্য করেছে।
সংরক্ষণ ও সরবরাহ ঝুঁকি
অল্পসংখ্যক দেশে এসব বিরল খনিজ সম্পদ রয়েছে। ফলে ওই দেশগুলোর ইচ্ছা-মর্জ্জির ওপর নির্ভর করবে বাজারে এসব পণ্যর জোগান ও মূল্য। ফলে এতে ঘাটতির ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্টসহ বিরল খনিজগুলোর সরবরাহের ৭৫ শতাংশ বাড়বে। আর এসব আসবে গুটিকয়েক দেশ থেকে। ব্যাটারিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গ্রাফাইটের প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্ভবত চীন থেকে আসবে।
সংস্থাটি বলেছে, এসব খনিজের সরবরাহ মুষ্টিমেয় দেশের কবজায় থাকায় বিকল্প শক্তির পথে বড় ঝুঁকি আছে। চরম আবহাওয়া, বাণিজ্য বিরোধ বা ভূ-রাজনীতিসহ নানা কারণে সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার ইতি টানতে বিশ্ব বৈদ্যুতিক যান, বায়ুকল, সৌর প্যানেল এবং অন্যান্য ক্লিন এনার্জির প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। তবে এই যাত্রার সফলতার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর ঘাটতি।
আজ শুক্রবার প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল এবং গ্রাফাইটের দাম হ্রাস ক্রেতাদের জন্য সুখবর হলেও গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো খনন ও উত্তোলনে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদার মাত্র ৭০ শতাংশ এবং লিথিয়ামের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হতে পারে।
আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সৌর প্যানেল, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারির মতো প্রযুক্তির জন্য বিশ্বে নতুন খনিজ সম্পদের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর নির্ভরযোগ্য এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ ছাড়া এটি পূরণ করতে পারব না।’
আইইএ বলছে, বিরল খনিজগুলো উত্তোলনে বিনিয়োগ গত বছর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইতিবাচক হলেও ২০২২ সালের তুলনায় মন্থর।
আইইএ পূর্বাভাস দিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের এখন থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে খনন প্রকল্পগুলোতে ৮০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি শিল্প বিপ্লবের পূর্বের স্তরের ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে রাখা সম্ভবপর হবে না।
আইইএ উল্লেখ করেছে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর দাম করোনা মহামারির আগের স্তরে ফিরে এসেছে। যা ব্যাটারির দাম হ্রাসের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।
আইইএ বলেছে, গত দুই বছরে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে দামের পতন ঘটেছে। তবে বাজারে খনিজগুলোর জোগান ভবিষ্যতে একই রূপ নাও থাকতে পারে। কারণ দিনদিন বিরল খনিজগুলোর চাহিদা বাড়ছেই।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই বৈশ্বিক উষ্ণতা রাখতে পদক্ষেপ নিলে ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রাফাইটের চাহিদা বর্তমানের চেয়ে চারগুণ হবে। ২০২৩ সালে লিথিয়ামের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে কোবাল্ট, নিকেল এবং গ্রাফাইটের দাম ৩০ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আইইএর তথ্য অনুসারে, এই মূল্যপতন ব্যাটারির দাম ১৪ শতাংশ কমাতে সাহায্য করেছে।
সংরক্ষণ ও সরবরাহ ঝুঁকি
অল্পসংখ্যক দেশে এসব বিরল খনিজ সম্পদ রয়েছে। ফলে ওই দেশগুলোর ইচ্ছা-মর্জ্জির ওপর নির্ভর করবে বাজারে এসব পণ্যর জোগান ও মূল্য। ফলে এতে ঘাটতির ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্টসহ বিরল খনিজগুলোর সরবরাহের ৭৫ শতাংশ বাড়বে। আর এসব আসবে গুটিকয়েক দেশ থেকে। ব্যাটারিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গ্রাফাইটের প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্ভবত চীন থেকে আসবে।
সংস্থাটি বলেছে, এসব খনিজের সরবরাহ মুষ্টিমেয় দেশের কবজায় থাকায় বিকল্প শক্তির পথে বড় ঝুঁকি আছে। চরম আবহাওয়া, বাণিজ্য বিরোধ বা ভূ-রাজনীতিসহ নানা কারণে সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৩ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে