আশিকুর রহমান সমী
সন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব। তেমনি পরিবেশ সচেতন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন একজন মা।
পৃথিবীতে এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে বন্যপ্রাণী অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। গোটা পৃথিবী জুড়ে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। এতে হুমকিতে পড়েছে পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা। তাই পুরো পৃথিবীতে জোর দেওয়া হচ্ছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে। কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কখনো শুধু দায়বদ্ধতা দিয়ে সম্ভব নয়। প্রয়োজন বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি।
একটি শিশু ছোট থেকে যা শেখে তা সারা জীবন প্রতিফলিত হয় কাজের মাধ্যমে। আর মা তার জীবনের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক। এই মা শেখাতে পারেন প্রকৃতিকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, আত্মার বন্ধন দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হতে হয়, কিংবা কীভাবে এই ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হয় পৃথিবীতে।
ছোটবেলায় একটি শিশুকে শেখানো হয় কীভাবে সে বেড়ে উঠবে, বড়দের কীভাবে সম্মান করবে, সামাজিক রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার, ধর্মীয় অনুশাসন—যা সারা জীবন তার কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হয়। আর এ বিষয়টি বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয় তার সন্তানসন্ততির মধ্যে।
জীববৈচিত্র্য অর্থাৎ বন্যপ্রাণী কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে তা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তেমন একটা নেই। তেমনি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ যে মানুষের জন্যই প্রয়োজন তা একেবারে অনুপস্থিত, সত্যি বলতে বেশির ভাগ মানুষ এটা জানেই না।
বর্তমানে বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহভাবে বিপন্ন। শুধু মাত্র সচেতনতা সৃষ্টি, প্রকল্প বা সরকারি উদ্যোগে বন্যপ্রাণী রক্ষা অসম্ভব। কারণ মানুষ যতক্ষণ দায়বদ্ধতা থেকে সংরক্ষণে যুক্ত থাকবে ততক্ষণ বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার সম্ভাবনা কম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সরে আসতে পারে সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য থেকে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন নতুন পদক্ষেপ ও উদ্যোগের। মানুষকে উপলব্ধি করাতে হবে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা তাঁর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যও দরকার। তেমনি প্রয়োজন ভবিষ্যতে প্রজন্মের জন্য সুস্থ, সুন্দর একটি পৃথিবী রেখে যাওয়ার জন্য। আর এই সংরক্ষণটা করতে হবে সহজাত ভালোবাসা, মায়া-মমতার চাদরে মুড়িয়ে। এই কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে পারবেন একজন মা। হ্যাঁ, আমাদের দেশের প্রকৃতি সংরক্ষণে জরুরি মায়ের অংশগ্রহণ।
এই সংরক্ষণবিদ মা তৈরি হবেন কোনো ডিগ্রি বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে নয়। আমাদের দেশের মেয়েদের বা মায়েদের বিষয়টি উপলব্ধি করানোর মাধ্যমে। সবচেয়ে বড় যে দিকটি সেটি হলো, বাংলার প্রতিটি মেয়ের মধ্যে যে মাতৃত্ব আছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়টি তাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করালে তিনি ভালোবেসে এই কাজে অংশ নেবেন
মায়েদের সচেতন করতে আলাদা করে সরকারি প্রকল্প বা অর্থ খরচের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না, প্রয়োজন আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়। কীভাবে? পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে।
মায়ের গর্ভে যখন সন্তান আসবে তখন অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি একজন মাকে পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে জানাতে হবে, সন্তানকে ভবিষ্যৎ দূষণমুক্ত একটি পৃথিবী দেওয়ার জন্য তাঁকে সচেতন করতে হবে। আর এতে যুক্ত করতে হবে স্বাস্থ্য কর্মী, কমিউনিটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নারী স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওগুলোকে। এই সংস্থাগুলোর কর্মীরা তাদের সাধারণ কার্যাবলির সঙ্গে সঙ্গে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদেরও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝাবেন।
একজন মা যখন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেতন হবেন, তখন তিনি সন্তানকেও সেই বার্তাটি পৌঁছে দেবেন। এভাবে মায়ের ভালোবাসার মাধ্যমে সুস্থ থাকবে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
লেখক. বন্যপ্রাণীবিদ ও গবেষকএক্সসারপট: সন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব। তেমনি পরিবেশ সচেতন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন একজন মা।
সন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব। তেমনি পরিবেশ সচেতন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন একজন মা।
পৃথিবীতে এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে বন্যপ্রাণী অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। গোটা পৃথিবী জুড়ে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। এতে হুমকিতে পড়েছে পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা। তাই পুরো পৃথিবীতে জোর দেওয়া হচ্ছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে। কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কখনো শুধু দায়বদ্ধতা দিয়ে সম্ভব নয়। প্রয়োজন বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি।
একটি শিশু ছোট থেকে যা শেখে তা সারা জীবন প্রতিফলিত হয় কাজের মাধ্যমে। আর মা তার জীবনের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক। এই মা শেখাতে পারেন প্রকৃতিকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, আত্মার বন্ধন দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হতে হয়, কিংবা কীভাবে এই ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হয় পৃথিবীতে।
ছোটবেলায় একটি শিশুকে শেখানো হয় কীভাবে সে বেড়ে উঠবে, বড়দের কীভাবে সম্মান করবে, সামাজিক রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার, ধর্মীয় অনুশাসন—যা সারা জীবন তার কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হয়। আর এ বিষয়টি বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয় তার সন্তানসন্ততির মধ্যে।
জীববৈচিত্র্য অর্থাৎ বন্যপ্রাণী কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে তা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তেমন একটা নেই। তেমনি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ যে মানুষের জন্যই প্রয়োজন তা একেবারে অনুপস্থিত, সত্যি বলতে বেশির ভাগ মানুষ এটা জানেই না।
বর্তমানে বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহভাবে বিপন্ন। শুধু মাত্র সচেতনতা সৃষ্টি, প্রকল্প বা সরকারি উদ্যোগে বন্যপ্রাণী রক্ষা অসম্ভব। কারণ মানুষ যতক্ষণ দায়বদ্ধতা থেকে সংরক্ষণে যুক্ত থাকবে ততক্ষণ বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার সম্ভাবনা কম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সরে আসতে পারে সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য থেকে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন নতুন পদক্ষেপ ও উদ্যোগের। মানুষকে উপলব্ধি করাতে হবে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা তাঁর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যও দরকার। তেমনি প্রয়োজন ভবিষ্যতে প্রজন্মের জন্য সুস্থ, সুন্দর একটি পৃথিবী রেখে যাওয়ার জন্য। আর এই সংরক্ষণটা করতে হবে সহজাত ভালোবাসা, মায়া-মমতার চাদরে মুড়িয়ে। এই কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে পারবেন একজন মা। হ্যাঁ, আমাদের দেশের প্রকৃতি সংরক্ষণে জরুরি মায়ের অংশগ্রহণ।
এই সংরক্ষণবিদ মা তৈরি হবেন কোনো ডিগ্রি বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে নয়। আমাদের দেশের মেয়েদের বা মায়েদের বিষয়টি উপলব্ধি করানোর মাধ্যমে। সবচেয়ে বড় যে দিকটি সেটি হলো, বাংলার প্রতিটি মেয়ের মধ্যে যে মাতৃত্ব আছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়টি তাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করালে তিনি ভালোবেসে এই কাজে অংশ নেবেন
মায়েদের সচেতন করতে আলাদা করে সরকারি প্রকল্প বা অর্থ খরচের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না, প্রয়োজন আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়। কীভাবে? পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে।
মায়ের গর্ভে যখন সন্তান আসবে তখন অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি একজন মাকে পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে জানাতে হবে, সন্তানকে ভবিষ্যৎ দূষণমুক্ত একটি পৃথিবী দেওয়ার জন্য তাঁকে সচেতন করতে হবে। আর এতে যুক্ত করতে হবে স্বাস্থ্য কর্মী, কমিউনিটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নারী স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওগুলোকে। এই সংস্থাগুলোর কর্মীরা তাদের সাধারণ কার্যাবলির সঙ্গে সঙ্গে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদেরও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝাবেন।
একজন মা যখন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেতন হবেন, তখন তিনি সন্তানকেও সেই বার্তাটি পৌঁছে দেবেন। এভাবে মায়ের ভালোবাসার মাধ্যমে সুস্থ থাকবে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
লেখক. বন্যপ্রাণীবিদ ও গবেষকএক্সসারপট: সন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব। তেমনি পরিবেশ সচেতন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন একজন মা।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে‘পরিবেশ উপদেষ্টা বিদেশি পরামর্শে চলছেন কিন্তু দেশের মানুষের পরামর্শ ও দাবিদাওয়াকে পাত্তা দিচ্ছেন না। বিদেশি জার্নালের পরামর্শে তিনি নিজ দেশের পর্যটনশিল্প ও দ্বীপবাসীকে একটা মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেটা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।’
২ দিন আগে