নূরুননবী শান্ত
পানি বিহনে মরণ হয় মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের। আবার, পানিরই প্লাবনে ভেসে যায় মানুষের মৃতদেহ ও জনপদ।
এই তো কয়ে কমাস আগেই পানির তোড়ে তছনছ হলো হাওরাঞ্চল আর তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের জনপদ। ওদিকে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পানির অভাব নেই; জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতিরও সীমা নেই। আর, ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততায় দক্ষিণের বিশাল অঞ্চলে তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির সংকট, অকেজো হয়ে যাচ্ছে ফসলের জমি। অনেক এলাকায় নলকূপেও ওঠে নোনা পানি। এসব অঞ্চলে কিংবা বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির নির্বিচার উত্তোলন কখনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। বরেন্দ্র অঞ্চলের কোথাও কোথাও তো এখন দেড় হাজার ফুট গভীরেও ভূগর্ভস্থ পানির সন্ধান মিলছে না! সেখানে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে ভূগর্ভস্থ পানি শুষে নিয়েছি আমরা।
পানি বিশেষজ্ঞরা জানেন, প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রতুলতা তৈরি হতে ছয় শ থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত লেগে যায়! কেবল উপকূলীয় বা বরেন্দ্র অঞ্চল নয়, ঢাকা শহরে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে। তদুপরি, একের পর এক পানি কোম্পানিকে আমরা ভূগর্ভস্থ পানি তুলে বোতলজাত পানির ব্যবসা করতে দিয়েছি। কৃত্রিম বাবু হতে গিয়ে আমরা জনসাধারণও বোতলের পানিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, পরিণতির কথা একবারও ভাবিনি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুপেয় পানি, সেচের পানি থাকবে তো দেশে! এসব কিছুর পেছনে কতটা প্রাকৃতিক কারণ আর কতটা মানবসৃষ্ট, সে ভাবনাটাও জরুরি।
জলাশয়গুলো আমরা ভরাট করে ফেলেছি। নদীগুলোকে করেছি মারাত্মক দূষিত। নদীকে ইতিমধ্যেই জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নদীদখল বা নদীহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। আরেকদিকে, পদ্মা কিংবা তিস্তা হেঁটেই পাড়ি দেওয়া যায় শুষ্ক মৌসুমে, কিন্তু বর্ষায় তাদের পাড় ভেসে যায়! এত দিনে আমরা নিশ্চয় বুঝে গেছি, উজানের ভারত তাদের চাহিদা পূরণ না করে আমাদের পানি দেবে না। এই অন্যায্যতার প্রতি নীরব মান্যতা একদিন আমাদের সুফলা বদ্বীপটাকে কোথায় নিয়ে যাবে, ভাবলেও গা শিউরে ওঠে!
আফসোস, পানির দেশ বাংলাদেশে পানি সংকটের আশঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। পানি দিবসে সামান্য নড়েচড়ে ওঠার মধ্যে সমাধান আছে বলে মনে হয় না। পানি এবং পানির সকল উৎসই প্রাকৃতিক। প্রকৃতির যত্ন না নিয়ে তথাকথিত উন্নত জীবনের দিকে ছুটতে থাকলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। নিচ্ছেও। খাদ্য বিনে মানুষ হয়তো কয়েক সপ্তাহ বাঁচতে পারে। কিন্তু পানি বিনে কয়দিন বাঁচা সম্ভব? খাদ্য উৎপাদন ও প্রস্তুত করতেও তো পানি অপরিহার্য। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অথবা পয়োনিষ্কাশনও সম্ভব নয় পানি ছাড়া।
পানির সংকট প্রথমেই আক্রান্ত করে নারীদের। পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণে পুরুষেরা ভূমিকা পালন করে না বললেই চলে। নারীদের সারা দিনের এক চতুর্থাংশ সময় ব্যয় হয় সংসারের সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে। পানির অভাবে এবং পানিবাহিত রোগে পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। অতি দরিদ্র মানুষেরা পানি বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে সবার আগে। নারীস্বাস্থ্যের ঝুঁকি এ ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশি। কেবল পানি বিপর্যয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বাংলাদেশের বরিশাল জেলার জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। পানির প্রতি সংবেদনশীল না হয়ে মানুষের বাঁচার পথ নেই।
পানি বিহনে মরণ হয় মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের। আবার, পানিরই প্লাবনে ভেসে যায় মানুষের মৃতদেহ ও জনপদ।
এই তো কয়ে কমাস আগেই পানির তোড়ে তছনছ হলো হাওরাঞ্চল আর তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের জনপদ। ওদিকে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পানির অভাব নেই; জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতিরও সীমা নেই। আর, ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততায় দক্ষিণের বিশাল অঞ্চলে তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির সংকট, অকেজো হয়ে যাচ্ছে ফসলের জমি। অনেক এলাকায় নলকূপেও ওঠে নোনা পানি। এসব অঞ্চলে কিংবা বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির নির্বিচার উত্তোলন কখনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। বরেন্দ্র অঞ্চলের কোথাও কোথাও তো এখন দেড় হাজার ফুট গভীরেও ভূগর্ভস্থ পানির সন্ধান মিলছে না! সেখানে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে ভূগর্ভস্থ পানি শুষে নিয়েছি আমরা।
পানি বিশেষজ্ঞরা জানেন, প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রতুলতা তৈরি হতে ছয় শ থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত লেগে যায়! কেবল উপকূলীয় বা বরেন্দ্র অঞ্চল নয়, ঢাকা শহরে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে। তদুপরি, একের পর এক পানি কোম্পানিকে আমরা ভূগর্ভস্থ পানি তুলে বোতলজাত পানির ব্যবসা করতে দিয়েছি। কৃত্রিম বাবু হতে গিয়ে আমরা জনসাধারণও বোতলের পানিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, পরিণতির কথা একবারও ভাবিনি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুপেয় পানি, সেচের পানি থাকবে তো দেশে! এসব কিছুর পেছনে কতটা প্রাকৃতিক কারণ আর কতটা মানবসৃষ্ট, সে ভাবনাটাও জরুরি।
জলাশয়গুলো আমরা ভরাট করে ফেলেছি। নদীগুলোকে করেছি মারাত্মক দূষিত। নদীকে ইতিমধ্যেই জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নদীদখল বা নদীহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। আরেকদিকে, পদ্মা কিংবা তিস্তা হেঁটেই পাড়ি দেওয়া যায় শুষ্ক মৌসুমে, কিন্তু বর্ষায় তাদের পাড় ভেসে যায়! এত দিনে আমরা নিশ্চয় বুঝে গেছি, উজানের ভারত তাদের চাহিদা পূরণ না করে আমাদের পানি দেবে না। এই অন্যায্যতার প্রতি নীরব মান্যতা একদিন আমাদের সুফলা বদ্বীপটাকে কোথায় নিয়ে যাবে, ভাবলেও গা শিউরে ওঠে!
আফসোস, পানির দেশ বাংলাদেশে পানি সংকটের আশঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। পানি দিবসে সামান্য নড়েচড়ে ওঠার মধ্যে সমাধান আছে বলে মনে হয় না। পানি এবং পানির সকল উৎসই প্রাকৃতিক। প্রকৃতির যত্ন না নিয়ে তথাকথিত উন্নত জীবনের দিকে ছুটতে থাকলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। নিচ্ছেও। খাদ্য বিনে মানুষ হয়তো কয়েক সপ্তাহ বাঁচতে পারে। কিন্তু পানি বিনে কয়দিন বাঁচা সম্ভব? খাদ্য উৎপাদন ও প্রস্তুত করতেও তো পানি অপরিহার্য। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অথবা পয়োনিষ্কাশনও সম্ভব নয় পানি ছাড়া।
পানির সংকট প্রথমেই আক্রান্ত করে নারীদের। পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণে পুরুষেরা ভূমিকা পালন করে না বললেই চলে। নারীদের সারা দিনের এক চতুর্থাংশ সময় ব্যয় হয় সংসারের সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে। পানির অভাবে এবং পানিবাহিত রোগে পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। অতি দরিদ্র মানুষেরা পানি বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে সবার আগে। নারীস্বাস্থ্যের ঝুঁকি এ ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশি। কেবল পানি বিপর্যয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বাংলাদেশের বরিশাল জেলার জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। পানির প্রতি সংবেদনশীল না হয়ে মানুষের বাঁচার পথ নেই।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৮ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে