অনলাইন ডেস্ক
ভারতে একটি কুকুর একদল বন্যপ্রাণীর তাড়া খেয়ে আশ্রয় নেয় একটি নদীতে। আর তখন তার অবস্থা হয় অনেকটা ‘জলে কুমির ডাঙায় বাঘের’ মতো। কারণ পানিতে নামার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি কুমির তাকে ঘিরে ধরে। ওগুলোর পক্ষে কুকুরটিকে মেরে খেয়ে ফেলাটা ছিল খুব সহজ এক কাজ। কিন্তু এর বদলে কুমিরগুলো অসহায় প্রাণীটিকে তীরের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশ্চর্য এ ঘটনার বর্ণনা উঠে আসে সম্প্রতি জার্নাল অব থ্রিটেনড টেক্সায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে। এটি যে বিজ্ঞানীরা লেখেন, তাঁরা ভারতের মহারাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরে জলাভূমির কুমির বা মাগার কুমির নিয়ে গবেষণা করছিলেন। ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য বলছে, মাগারেরা ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ১০০০ পাউন্ড ওজনের হতে পারে। তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, বিশাল আকারের অর্থ এই নয় যে এরা সব সময় আক্রমণাত্মক থাকবে।
গবেষকেরা এমনই একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে একটি কম বয়স্ক কুকুর বুনো কুকুরদের একটি দলের তাড়া খেয়ে আশ্রয় নেয় সাবিত্রী নদীতে। এ সময় নদীতে প্রাণীটির কাছাকাছি ভাসছিল প্রাপ্তবয়স্ক তিনটি মাগার। ওই পরিস্থিতিতে এত চমৎকার, সহজ একটা শিকার হাতছাড়া করার কথা নয় কুমিরগুলোর। অথচ কুমির তিনটির মধ্যে দুটি তখন আশ্চর্য এক কাণ্ড করে বসে। বুনো কুকুরের পাল নদীর যে পাড়ে অপেক্ষা করছিল, সেখান থেকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করল তারা অসহায় কুকুরটিকে।
‘কুমির দুটি আসলে তাদের নাক দিয়ে কুকুরটিকে স্পর্শ করে। তারপর তীরের নিরাপদ অংশে কুকুরটিকে পৌঁছে দিতে ধাক্কা দেওয়া শুরু করে,’ গবেষকেরা লেখেন, ‘মাগাররা আক্রমণ করার অবস্থানে ছিল। অনায়াসেই প্রাণীটিকে খেয়ে ফেলতে পারত তারা। কিন্তু এদের কোনোটিই কুকুরটিকে আক্রমণ না করে নাক দিয়ে মৃদু ঠেলা দিতে থাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিতে। অর্থাৎ এদের মধ্যে ক্ষুধা কিংবা খাওয়ার প্রবৃত্তি কাজ করেনি।’
কিন্তু কুমিরগুলো কেন কুকুরটিকে খাওয়ার সুযোগ কাজে লাগায়নি? সাধারণ ক্ষেত্রে যেটা করে তারা? কারণটা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরাও নিশ্চিত নন। তবে তাঁদের অনুমান, প্রাণীগুলোর আবেগ বা সহানুভূতি কাজ করেছে এ ক্ষেত্রে।
‘ইমোশনাল এমপেথি’ নামে পরিচিত কথাটি দিয়ে একটি প্রাণীকে অন্য প্রাণীর আবেগ, মানসিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করাকে বোঝানো হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের বন্যপ্রাণীর বেলায় এমন অনুভূতির বিষয়টি ভালোভাবে গবেষণা করা হয়নি এখনো। তবে এ ক্ষেত্রে এই আবেগ-অনুভূতির বিষয়টিই কাজ করার সম্ভাবনা আছে।
গবেষণাটিতে বিজ্ঞানীরা আরেকটি আশ্চর্য বিষয় আবিষ্কার করেন, তা হলো মাগাররা গাঁদা ফুল পছন্দ করে। কুমিরগুলোকে নিয়মিত হলুদ ও কমলা রঙের ফুলের চারপাশে ভাসতে, রোদ পোহাতে এবং শুয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রায়ই তাদের ফুলের সঙ্গে শরীরও লাগাতে দেখা যায়।
গাঁদা ফুলের পাপড়িতে জীবাণুরোধী যৌগ রয়েছে, যা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন। সাবিত্রী নদীর দূষণের বিষয়টি বিবেচনায় আনলে এটা বিশ্বাস করতে পারেন, এ ধরনের যোগাযোগ এই প্রাণীদের দূষণের মোকাবিলায় সাহায্য করার সম্ভাবনা আছে।
‘এটি অভিনব ও কৌতূহলোদ্দীপক।’ গবেষকেরা বলেছেন। তাঁরা এটাও যোগ করেন, এই আচরণ নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।
কুকুরটিকে খাবারে পরিণত বরার বদলে সাহায্য করার কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলেও গবেষকেরা বলছেন, একটি বিষয় পরিষ্কার, বন্যপ্রাণীর বিচার-বুদ্ধি, আবেগের বিষয়গুলো যখন আলোচনায় এসেছে, তখন কখনোই সরীসৃপদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতে একটি কুকুর একদল বন্যপ্রাণীর তাড়া খেয়ে আশ্রয় নেয় একটি নদীতে। আর তখন তার অবস্থা হয় অনেকটা ‘জলে কুমির ডাঙায় বাঘের’ মতো। কারণ পানিতে নামার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি কুমির তাকে ঘিরে ধরে। ওগুলোর পক্ষে কুকুরটিকে মেরে খেয়ে ফেলাটা ছিল খুব সহজ এক কাজ। কিন্তু এর বদলে কুমিরগুলো অসহায় প্রাণীটিকে তীরের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশ্চর্য এ ঘটনার বর্ণনা উঠে আসে সম্প্রতি জার্নাল অব থ্রিটেনড টেক্সায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে। এটি যে বিজ্ঞানীরা লেখেন, তাঁরা ভারতের মহারাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরে জলাভূমির কুমির বা মাগার কুমির নিয়ে গবেষণা করছিলেন। ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য বলছে, মাগারেরা ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ১০০০ পাউন্ড ওজনের হতে পারে। তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, বিশাল আকারের অর্থ এই নয় যে এরা সব সময় আক্রমণাত্মক থাকবে।
গবেষকেরা এমনই একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে একটি কম বয়স্ক কুকুর বুনো কুকুরদের একটি দলের তাড়া খেয়ে আশ্রয় নেয় সাবিত্রী নদীতে। এ সময় নদীতে প্রাণীটির কাছাকাছি ভাসছিল প্রাপ্তবয়স্ক তিনটি মাগার। ওই পরিস্থিতিতে এত চমৎকার, সহজ একটা শিকার হাতছাড়া করার কথা নয় কুমিরগুলোর। অথচ কুমির তিনটির মধ্যে দুটি তখন আশ্চর্য এক কাণ্ড করে বসে। বুনো কুকুরের পাল নদীর যে পাড়ে অপেক্ষা করছিল, সেখান থেকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করল তারা অসহায় কুকুরটিকে।
‘কুমির দুটি আসলে তাদের নাক দিয়ে কুকুরটিকে স্পর্শ করে। তারপর তীরের নিরাপদ অংশে কুকুরটিকে পৌঁছে দিতে ধাক্কা দেওয়া শুরু করে,’ গবেষকেরা লেখেন, ‘মাগাররা আক্রমণ করার অবস্থানে ছিল। অনায়াসেই প্রাণীটিকে খেয়ে ফেলতে পারত তারা। কিন্তু এদের কোনোটিই কুকুরটিকে আক্রমণ না করে নাক দিয়ে মৃদু ঠেলা দিতে থাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিতে। অর্থাৎ এদের মধ্যে ক্ষুধা কিংবা খাওয়ার প্রবৃত্তি কাজ করেনি।’
কিন্তু কুমিরগুলো কেন কুকুরটিকে খাওয়ার সুযোগ কাজে লাগায়নি? সাধারণ ক্ষেত্রে যেটা করে তারা? কারণটা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরাও নিশ্চিত নন। তবে তাঁদের অনুমান, প্রাণীগুলোর আবেগ বা সহানুভূতি কাজ করেছে এ ক্ষেত্রে।
‘ইমোশনাল এমপেথি’ নামে পরিচিত কথাটি দিয়ে একটি প্রাণীকে অন্য প্রাণীর আবেগ, মানসিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করাকে বোঝানো হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের বন্যপ্রাণীর বেলায় এমন অনুভূতির বিষয়টি ভালোভাবে গবেষণা করা হয়নি এখনো। তবে এ ক্ষেত্রে এই আবেগ-অনুভূতির বিষয়টিই কাজ করার সম্ভাবনা আছে।
গবেষণাটিতে বিজ্ঞানীরা আরেকটি আশ্চর্য বিষয় আবিষ্কার করেন, তা হলো মাগাররা গাঁদা ফুল পছন্দ করে। কুমিরগুলোকে নিয়মিত হলুদ ও কমলা রঙের ফুলের চারপাশে ভাসতে, রোদ পোহাতে এবং শুয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রায়ই তাদের ফুলের সঙ্গে শরীরও লাগাতে দেখা যায়।
গাঁদা ফুলের পাপড়িতে জীবাণুরোধী যৌগ রয়েছে, যা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন। সাবিত্রী নদীর দূষণের বিষয়টি বিবেচনায় আনলে এটা বিশ্বাস করতে পারেন, এ ধরনের যোগাযোগ এই প্রাণীদের দূষণের মোকাবিলায় সাহায্য করার সম্ভাবনা আছে।
‘এটি অভিনব ও কৌতূহলোদ্দীপক।’ গবেষকেরা বলেছেন। তাঁরা এটাও যোগ করেন, এই আচরণ নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।
কুকুরটিকে খাবারে পরিণত বরার বদলে সাহায্য করার কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলেও গবেষকেরা বলছেন, একটি বিষয় পরিষ্কার, বন্যপ্রাণীর বিচার-বুদ্ধি, আবেগের বিষয়গুলো যখন আলোচনায় এসেছে, তখন কখনোই সরীসৃপদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
২১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে