ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
‘ফুকির মুরং বা ফইরা মুরং’ শব্দের অর্থ ফকিরের কুয়া বা সাধু বাবার কুয়া। নামে ফকিরের কুয়া হলেও প্রাকৃতিক এ ঝরনার অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। একবার চোখ পড়লে চোখ ফেরানো যায় না। পাহাড় থেকে প্রবাহিত ঝিরঝিরে পানি আর পাখির কলকাকলি সৌন্দর্যপিপাসুদের নিয়ে যায় অন্য এক জগতে। চিত্ত প্রফুল্ল করা এ ঝরনার স্পর্শ পেতে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আসেন পর্যটকেরা।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলি উপরপাড়ায় অবস্থিত দর্শনীয় স্থান ফুকির মুরং ঝরনা। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছেই। এমনিতে সারা বছর পানি প্রবাহিত হয় এ ঝরনায়। তবে বর্ষা মৌসুমে যখন বৃষ্টিপাত বেশি হয়, তখন ঝরনা থেকে অবিরাম ধারায় পড়তে থাকে পানি। সেই পানির স্পর্শ পেতে বেড়ে যায় লোকজনের আনাগোনা। মূল ঝরনার আশপাশে রয়েছে ছোট-বড় আরও কয়েকটি ঝরনা। একটু জিরিয়ে সেগুলোতেও গা এলিয়ে দেওয়া যায়।
এলাকার বাসিন্দা সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার শিক্ষক সূর্যসেন তনচংগ্যা বলেন, ‘আমরা দাদুদের মুখ থেকে শুনেছি, আজ থেকে শত বছর আগে এই পাহাড়ে এক সাধক বা ফকির ধ্যান করতেন। লোকজন এখানে পুজো দিতেন, মানত করতেন আর ফকিরেরা করতেন ধ্যান। সেই থেকেই স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ফুকির মুরং বা ফকির কুয়া।’
ঘাঘড়া-বড়ইছড়ি সড়কের বটতলি এলাকার পূর্ব পাশ ধরে ৪ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ আর ছড়া পার হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ আধারে পৌঁছানো যায়। আশপাশে শত শত তনচংগ্যা পরিবারের বসবাস। পথিমধ্যে পাগলি মুখপাড়া, পাগলি মধ্যমপাড়া গ্রাম পার হয়ে পাগলি উপরপাড়ায় এ ঝরনার দেখা মিলবে। যেতে যেতে পর্যটকেরা উপরি পাওয়া হিসেবে আরও উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় থেকে বয়ে চলা ছড়ার পানির বহমান ধারা। আশপাশের পাহাড়ি গাছগাছালি এবং ছোট ছোট ঘর নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।
ঝরনা দেখতে আসা কাপ্তাই উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হাসান বাবু বলেন, ‘আমি বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেশ কয়েকবার এই ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। করোনাকালে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি পেতে এই জায়গায় আসি।’ কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমি এই ঝরনার সৌন্দর্য দেখে অভিভূত। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই।’
এলাকার ইউপি সদস্য (মেম্বর) সুমন বিকাশ তনচংগ্যা, মায়ারাম তনচংগ্যা এবং কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হৃদয় তনচংগ্যা জানান, এখন এই ঝরনা দেখতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গা থেকে পর্যটকেরা আসছেন। এই ঝরনা মানুষের বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে। যদি অবকাঠামোগত আরও উন্নয়ন হয়, তাহলে এখানে পর্যটক বাড়বে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হবে।
‘ফুকির মুরং বা ফইরা মুরং’ শব্দের অর্থ ফকিরের কুয়া বা সাধু বাবার কুয়া। নামে ফকিরের কুয়া হলেও প্রাকৃতিক এ ঝরনার অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। একবার চোখ পড়লে চোখ ফেরানো যায় না। পাহাড় থেকে প্রবাহিত ঝিরঝিরে পানি আর পাখির কলকাকলি সৌন্দর্যপিপাসুদের নিয়ে যায় অন্য এক জগতে। চিত্ত প্রফুল্ল করা এ ঝরনার স্পর্শ পেতে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আসেন পর্যটকেরা।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলি উপরপাড়ায় অবস্থিত দর্শনীয় স্থান ফুকির মুরং ঝরনা। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছেই। এমনিতে সারা বছর পানি প্রবাহিত হয় এ ঝরনায়। তবে বর্ষা মৌসুমে যখন বৃষ্টিপাত বেশি হয়, তখন ঝরনা থেকে অবিরাম ধারায় পড়তে থাকে পানি। সেই পানির স্পর্শ পেতে বেড়ে যায় লোকজনের আনাগোনা। মূল ঝরনার আশপাশে রয়েছে ছোট-বড় আরও কয়েকটি ঝরনা। একটু জিরিয়ে সেগুলোতেও গা এলিয়ে দেওয়া যায়।
এলাকার বাসিন্দা সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার শিক্ষক সূর্যসেন তনচংগ্যা বলেন, ‘আমরা দাদুদের মুখ থেকে শুনেছি, আজ থেকে শত বছর আগে এই পাহাড়ে এক সাধক বা ফকির ধ্যান করতেন। লোকজন এখানে পুজো দিতেন, মানত করতেন আর ফকিরেরা করতেন ধ্যান। সেই থেকেই স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ফুকির মুরং বা ফকির কুয়া।’
ঘাঘড়া-বড়ইছড়ি সড়কের বটতলি এলাকার পূর্ব পাশ ধরে ৪ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ আর ছড়া পার হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ আধারে পৌঁছানো যায়। আশপাশে শত শত তনচংগ্যা পরিবারের বসবাস। পথিমধ্যে পাগলি মুখপাড়া, পাগলি মধ্যমপাড়া গ্রাম পার হয়ে পাগলি উপরপাড়ায় এ ঝরনার দেখা মিলবে। যেতে যেতে পর্যটকেরা উপরি পাওয়া হিসেবে আরও উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় থেকে বয়ে চলা ছড়ার পানির বহমান ধারা। আশপাশের পাহাড়ি গাছগাছালি এবং ছোট ছোট ঘর নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।
ঝরনা দেখতে আসা কাপ্তাই উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হাসান বাবু বলেন, ‘আমি বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেশ কয়েকবার এই ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। করোনাকালে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি পেতে এই জায়গায় আসি।’ কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমি এই ঝরনার সৌন্দর্য দেখে অভিভূত। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই।’
এলাকার ইউপি সদস্য (মেম্বর) সুমন বিকাশ তনচংগ্যা, মায়ারাম তনচংগ্যা এবং কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হৃদয় তনচংগ্যা জানান, এখন এই ঝরনা দেখতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গা থেকে পর্যটকেরা আসছেন। এই ঝরনা মানুষের বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে। যদি অবকাঠামোগত আরও উন্নয়ন হয়, তাহলে এখানে পর্যটক বাড়বে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হবে।
ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছে অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
১ দিন আগেশৈবাল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভিরিডোসের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকার বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সন–মোবিল। গত বছর তারা এ গবেষণার অংশীদারত্ব ছেড়ে দিলে জ্বালানি খাতে আলোড়ন পড়ে যায়। এক্সন–মোবিল অর্থ উপার্জনের আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে শৈবাল থেকে জৈব...
২ দিন আগেদূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।
৩ দিন আগে