মাঘের শুরুতে দেশে জেঁকে বসছে শীত। উত্তরাঞ্চলের দুই জেলা পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতেও বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। কুয়াশা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন গুলো চলছে ধীর গতিতে। অনেক জায়গায় ঘন কুয়াশার কারণে নদ-নদীতে নৌ-যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ধীরে ধীরে সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই শীতের প্রকোপ আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তবে সারা দেশে যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে, তার চেয়ে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর কারণ বাতাসের উচ্চ চাপ ও গতি, অতিরিক্ত কুয়াশা ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চল থেকে আসা হিমালয়ের শীতল বায়ু প্রবাহ।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আজ রোববার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে।

রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ময়মনসিংহে ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটে ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ছিল ১৪ দশমিক ৩ এবং বরিশালে ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে গোপালগঞ্জ, ফেনী, যশোর ও পটুয়াখালীতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।