সৌগত বসু, টেকনাফ থেকে
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখনো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়নি। এমন আশঙ্কা এখনো তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছি মোখা। এটি এখনো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়নি। সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এখন পর্যন্ত।’
শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী ২২০ কিলোমিটার এর ওপরে গতিবেগ থাকলে তখনই সুপার সাইক্লোন বলা যাবে। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এটির গতিবেগ ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তবে খুব শিগগির আর একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটির গতিবেগ বাড়ার বিষয়ে বলা হবে উল্লেখ করে শাহীনুল ইসলাম বলেন, সে ক্ষেত্রে গতিবেগ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।
তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ও স্বাধীনভাবে কাজ করেন এমন আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোন এ পরিণত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ২২০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সর্বশেষ ২০০৭ সালে আঘাত হানা সিডরের গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার। যেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, এখনো তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এটি এখনো সিভিয়ার সাইকেলোনিক স্টর্ম আকারে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) ও দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কালাম রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন বর্তমান ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (শনিবার দুপুর) দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের যে বাতাসের অবস্থা অর্থাৎ ঝড়ের কেন্দ্রের বাইরের বাতাসের গতিবেগ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়া ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত আছে। রবিবার সকাল নাগাদ এই গতিবেগ আরও বেড়ে যাবে। এই সাইক্লোন বাংলাদেশে সিডরের পরে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। এটি সিভিয়ার সাইক্লোন। যা হ্যারিক্যান প্রবনতা ধারণ করেছে। এটি এখনো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়নি। সিডর সুপার সাইক্লোন ছিল। যার গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোখা উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ১৩ মে সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এর ফলে ১৩ মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখনো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়নি। এমন আশঙ্কা এখনো তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছি মোখা। এটি এখনো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়নি। সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এখন পর্যন্ত।’
শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী ২২০ কিলোমিটার এর ওপরে গতিবেগ থাকলে তখনই সুপার সাইক্লোন বলা যাবে। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এটির গতিবেগ ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তবে খুব শিগগির আর একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটির গতিবেগ বাড়ার বিষয়ে বলা হবে উল্লেখ করে শাহীনুল ইসলাম বলেন, সে ক্ষেত্রে গতিবেগ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।
তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ও স্বাধীনভাবে কাজ করেন এমন আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোন এ পরিণত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ২২০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সর্বশেষ ২০০৭ সালে আঘাত হানা সিডরের গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার। যেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, এখনো তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এটি এখনো সিভিয়ার সাইকেলোনিক স্টর্ম আকারে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) ও দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কালাম রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন বর্তমান ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (শনিবার দুপুর) দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের যে বাতাসের অবস্থা অর্থাৎ ঝড়ের কেন্দ্রের বাইরের বাতাসের গতিবেগ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়া ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত আছে। রবিবার সকাল নাগাদ এই গতিবেগ আরও বেড়ে যাবে। এই সাইক্লোন বাংলাদেশে সিডরের পরে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। এটি সিভিয়ার সাইক্লোন। যা হ্যারিক্যান প্রবনতা ধারণ করেছে। এটি এখনো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়নি। সিডর সুপার সাইক্লোন ছিল। যার গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোখা উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ১৩ মে সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এর ফলে ১৩ মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৫ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে