অনলাইন ডেস্ক
সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে নেকড়েদের হাসিও এ কান-ও কান হতো। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
খামারিদের দাবি প্রস্তাবিত নেকড়ে মারার বিষয়টি গবাদিপশু রক্ষা ও আলপাইন অঞ্চলে বাস করা মানুষের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল এর ফলে নেকড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নেকড়ে সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে
বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় বলা চলে ইউরোপ অনেকটাই নেকড়েমুক্ত ছিল। নেকড়েকে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় রূপকথায় ভীতিকর প্রাণী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। ক্রমাগত শিকারের ফলে এটি একরকম বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
১৯৯০-এর দশকে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে নেকড়ের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যেটি মানুষের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিকারের পরে প্রকৃতি নিজেই ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ার একটি সংকেত হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছিল তখন।
তবে নেকড়েদের তো খাবারের প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ডের উঁচু পার্বত্য এলাকার চাষিরা দ্রুতই আবিষ্কার করল তাঁদের ভেড়া হারাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পাল রক্ষার চেষ্টা চালালেন। তবে নেকড়ের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল।
কৃষকদের চাপে পশুর পালকে আক্রমণ করার জন্য পরিচিতি পাওয়া ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ নেকড়েদের হত্যার অনুমতি দিতে এদের সুরক্ষার জন্য তৈরি করা আইনগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের গণভোটে ভোটাররা নেকড়ের সংরক্ষিত প্রাণীর মর্যাদাকে আবারও নিশ্চিত করেছে। শিকারের বিধিগুলো শিথিল করার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করা হয় এতে।
তার পর থেকে সুইজারল্যান্ডের নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ৩০০-তে। আনুমানিক ৩২টি দলে ভাগ হয়ে এরা এখন দেশটিতে বিচরণ করছে।
এ বছর সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। এটা অনুসারে, শুধু সমস্যা সৃষ্টি করা নেকড়ে নয়, বরং গোটা পালটিকেই হত্যা করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ক্যান্টন বা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে। শুধু তা-ই নয়, সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩২টি নয় বরং ১২টি পাল উপযুক্ত বলে মতপ্রকাশ করা হয়।
আর এতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারীরা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। পুবের ক্যান্টন গ্রিসনের কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল বলেন, ক্রমেই সংখ্যায় বাড়তে থাকা নেকড়েরা কৃষকদের বড় চাপে ফেলে দিয়েছে।
‘আমাদের রাজ্যে এখন ১৪টি নেকড়ের পাল আছে’, বলেন তিনি, ‘আমরা বেড়া, পাহারাদার কুকুর, রাখাল সবকিছু দিয়েই চেষ্টা করেছি। তারপরও গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে।’
সান্দ্রো বিবিসিকে বলেন, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত প্রাণীদের খোঁজ পাচ্ছিলেন। আর পেতে রাখা ক্যামেরায় দেখা গেছে নেকড়েগুলো প্রতিরক্ষামূলক বেড়া অনায়াসে লাফিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে।
নেকড়ে বাঁচানোর লড়াই
তবে বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম পরিবেশবাদী সংস্থা প্রো-ন্যাচারা নতুন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা অভিযোগ করে এটি সুইস আইনে আগে, যা অনুমোদিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রো-ন্যাচারার নাথালি রুটজ বলেন, কোটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা হয়নি। এটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত। নেকড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশে তা বিবেচনাতেই আনা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো যুক্তি দেয় যে গবাদিপশু রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে।
সুইস সরকারের কাছে প্রতিবাদের একটি খোলা চিঠিতে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ২০০ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমর্থন সংগ্রহ করা পরিবেশবাদী লুসি উয়চরিচ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘নেকড়েগুলো ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শিকারি প্রাণী প্রয়োজন।’
লুসি উয়চরিচ, যিনি বন বৈচিত্র্য বা ফরেস্ট ডাইভারসিটি বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বিশ্বাস করেন যে সুইজারল্যান্ডের এই প্রস্তাবিত নেকড়ে হত্যার বিষয়টি ‘ইউরোপে নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে নেকড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হরিণ শিকার করে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে এরা চারা গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়।
সুইজারল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নেকড়েগুলোর সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভ্যান ডার লেয়েনের একটি পনি বা টাট্টু ঘোড়া ২০২২ সালে জার্মানিতে নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। নেকড়ের দিকে আরেকবার নজর দেওয়ার জন্য এই বছর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি, তাঁর মতে ‘ইউরোপের কিছু অঞ্চলে নেকড়ের পালের ঘনত্ব গবাদিপশু এমনকি মানুষের জন্যও একটি সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে।’
আসলেই কি গবাদিপশুর জন্য বড় হুমকি নেকড়ে
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে নেকড়ের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে গবাদিপশুর প্রতি আক্রমণ বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে বেড়া, পাহারাদার কুকুর ও রাখাল কাজ করতে শুরু করেছে। কৃষকদের এ ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এখন পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ডের আদালত পরিবেশবাদীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। অন্তত নেকড়ের কিছু পাল, যাদের আদর করে জাতজহর্ন, স্ট্যাগিয়াস, হটস-ফোর্টস বা ইসারেবলস-ফুর মতো সুইস নামে ডাকা হয় তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল জানান, কৃষকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেড়ার পাল রক্ষার জন্য তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো ভালো উপায় নেই।
কৃষকেরা নেকড়েগুলো নির্মূল করতে চায় না বলে জানান তিনি। তবে এ জন্য উভয় পক্ষ থেকে একটি সমঝোতায় আসাটা জরুরি বলে মনে করেন।
নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের এ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি। সবাই এটি চায় বলেই মনে করা হয়, তবে কীভাবে তা নিয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
লুসি উয়চরিচ যুক্তি দেন, ‘বিশ্ব একটি জৈববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মুখোমুখি, এ পরিস্থিতিতে পছন্দ করি না এমন জিনিসগুলোকে ধ্বংস করার অবস্থা নেই।’
এখন আইনি লড়াই আদালতে আপিলের দিকে যাচ্ছে এবং আগের সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত তাই নেকড়েগুলো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে, কী বলেন?
সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে নেকড়েদের হাসিও এ কান-ও কান হতো। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
খামারিদের দাবি প্রস্তাবিত নেকড়ে মারার বিষয়টি গবাদিপশু রক্ষা ও আলপাইন অঞ্চলে বাস করা মানুষের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল এর ফলে নেকড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নেকড়ে সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে
বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় বলা চলে ইউরোপ অনেকটাই নেকড়েমুক্ত ছিল। নেকড়েকে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় রূপকথায় ভীতিকর প্রাণী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। ক্রমাগত শিকারের ফলে এটি একরকম বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
১৯৯০-এর দশকে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে নেকড়ের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যেটি মানুষের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিকারের পরে প্রকৃতি নিজেই ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ার একটি সংকেত হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছিল তখন।
তবে নেকড়েদের তো খাবারের প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ডের উঁচু পার্বত্য এলাকার চাষিরা দ্রুতই আবিষ্কার করল তাঁদের ভেড়া হারাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পাল রক্ষার চেষ্টা চালালেন। তবে নেকড়ের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল।
কৃষকদের চাপে পশুর পালকে আক্রমণ করার জন্য পরিচিতি পাওয়া ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ নেকড়েদের হত্যার অনুমতি দিতে এদের সুরক্ষার জন্য তৈরি করা আইনগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের গণভোটে ভোটাররা নেকড়ের সংরক্ষিত প্রাণীর মর্যাদাকে আবারও নিশ্চিত করেছে। শিকারের বিধিগুলো শিথিল করার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করা হয় এতে।
তার পর থেকে সুইজারল্যান্ডের নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ৩০০-তে। আনুমানিক ৩২টি দলে ভাগ হয়ে এরা এখন দেশটিতে বিচরণ করছে।
এ বছর সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। এটা অনুসারে, শুধু সমস্যা সৃষ্টি করা নেকড়ে নয়, বরং গোটা পালটিকেই হত্যা করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ক্যান্টন বা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে। শুধু তা-ই নয়, সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩২টি নয় বরং ১২টি পাল উপযুক্ত বলে মতপ্রকাশ করা হয়।
আর এতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারীরা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। পুবের ক্যান্টন গ্রিসনের কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল বলেন, ক্রমেই সংখ্যায় বাড়তে থাকা নেকড়েরা কৃষকদের বড় চাপে ফেলে দিয়েছে।
‘আমাদের রাজ্যে এখন ১৪টি নেকড়ের পাল আছে’, বলেন তিনি, ‘আমরা বেড়া, পাহারাদার কুকুর, রাখাল সবকিছু দিয়েই চেষ্টা করেছি। তারপরও গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে।’
সান্দ্রো বিবিসিকে বলেন, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত প্রাণীদের খোঁজ পাচ্ছিলেন। আর পেতে রাখা ক্যামেরায় দেখা গেছে নেকড়েগুলো প্রতিরক্ষামূলক বেড়া অনায়াসে লাফিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে।
নেকড়ে বাঁচানোর লড়াই
তবে বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম পরিবেশবাদী সংস্থা প্রো-ন্যাচারা নতুন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা অভিযোগ করে এটি সুইস আইনে আগে, যা অনুমোদিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রো-ন্যাচারার নাথালি রুটজ বলেন, কোটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা হয়নি। এটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত। নেকড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশে তা বিবেচনাতেই আনা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো যুক্তি দেয় যে গবাদিপশু রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে।
সুইস সরকারের কাছে প্রতিবাদের একটি খোলা চিঠিতে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ২০০ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমর্থন সংগ্রহ করা পরিবেশবাদী লুসি উয়চরিচ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘নেকড়েগুলো ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শিকারি প্রাণী প্রয়োজন।’
লুসি উয়চরিচ, যিনি বন বৈচিত্র্য বা ফরেস্ট ডাইভারসিটি বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বিশ্বাস করেন যে সুইজারল্যান্ডের এই প্রস্তাবিত নেকড়ে হত্যার বিষয়টি ‘ইউরোপে নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে নেকড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হরিণ শিকার করে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে এরা চারা গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়।
সুইজারল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নেকড়েগুলোর সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভ্যান ডার লেয়েনের একটি পনি বা টাট্টু ঘোড়া ২০২২ সালে জার্মানিতে নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। নেকড়ের দিকে আরেকবার নজর দেওয়ার জন্য এই বছর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি, তাঁর মতে ‘ইউরোপের কিছু অঞ্চলে নেকড়ের পালের ঘনত্ব গবাদিপশু এমনকি মানুষের জন্যও একটি সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে।’
আসলেই কি গবাদিপশুর জন্য বড় হুমকি নেকড়ে
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে নেকড়ের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে গবাদিপশুর প্রতি আক্রমণ বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে বেড়া, পাহারাদার কুকুর ও রাখাল কাজ করতে শুরু করেছে। কৃষকদের এ ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এখন পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ডের আদালত পরিবেশবাদীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। অন্তত নেকড়ের কিছু পাল, যাদের আদর করে জাতজহর্ন, স্ট্যাগিয়াস, হটস-ফোর্টস বা ইসারেবলস-ফুর মতো সুইস নামে ডাকা হয় তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল জানান, কৃষকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেড়ার পাল রক্ষার জন্য তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো ভালো উপায় নেই।
কৃষকেরা নেকড়েগুলো নির্মূল করতে চায় না বলে জানান তিনি। তবে এ জন্য উভয় পক্ষ থেকে একটি সমঝোতায় আসাটা জরুরি বলে মনে করেন।
নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের এ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি। সবাই এটি চায় বলেই মনে করা হয়, তবে কীভাবে তা নিয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
লুসি উয়চরিচ যুক্তি দেন, ‘বিশ্ব একটি জৈববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মুখোমুখি, এ পরিস্থিতিতে পছন্দ করি না এমন জিনিসগুলোকে ধ্বংস করার অবস্থা নেই।’
এখন আইনি লড়াই আদালতে আপিলের দিকে যাচ্ছে এবং আগের সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত তাই নেকড়েগুলো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে, কী বলেন?
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৪ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে