অনলাইন ডেস্ক
সাধারণত আমরা কয়েক ইঞ্চির ব্যাঙ দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু ব্যাঙও যে এক ফুটের বেশি লম্বা হতে পারে, এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। এই প্রজাতির ব্যাঙের নাম গোলিয়াথ ফ্রগ। এটি লম্বায় বিড়ালের সমান হতে পারে। ওজন হতে পারে তিন কেজির বেশি। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যাঙ। তবে বর্তমানে এই ব্যাঙের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
হুমকিতে থাকা এই প্রজাতির ব্যাঙ সংরক্ষণে কাজ করছেন ক্যামেরুনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সেড্রিক ফগওয়ান। সম্প্রতি তিনি একটি গোলিয়াথ ব্যাঙ উদ্ধার করেছেন। সেড্রিক ও তার বিপন্ন প্রাণী রক্ষা প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
সেড্রিক ফগওয়ান বলেন, ‘একটি উদ্ধার কার্যক্রমের সময় আমি প্রথম এই ব্যাঙ দেখি। আমার জানামতে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম জীবন্ত ব্যাঙ। দেখতে একটা বিড়ালের সমান হবে। অনেকটা ছোট বাচ্চাকে কোলে নিলে যেমন মনে হয় তেমন মনে হচ্ছিল।’
প্রথমবার এই প্রজাতির ব্যাঙ দেখে অবাক হয়েছিলেন বলেও জানান এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষক। গোলিয়াথ ব্যাঙ দেখে তিনি এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন যে, এ ধরনের বিপন্ন প্রাণী রক্ষায় কাজ করতে একটি প্রকল্প চালু করেন সেড্রিক।
তিনি বলেন, ‘যখন আমি এই প্রজাতির ব্যাঙ খুঁজে পাই, তখন মনে হয়েছিল, বিশ্বের বৃহত্তম এই ব্যাঙ সহজে অন্য কোথাও খুঁজে পাব না। এমনকি আমি নিজেকে গর্বিত অনুভব করছিলাম।’ ক্যামেরুনের যেই এলাকায় এটি খুঁজে পাওয়া যায় সেখানকার লোকেরা একে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করছে বলেও জানান তিনি।
এ ধরনের ব্যাঙ পাওয়া যায় মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন ও ইকুয়াটোরিয়াল বা নিরক্ষীয় গিনির নদীর অববাহিকা অঞ্চলে। কয়েক দশক ধরে খাওয়ার জন্য এবং উচ্চমূল্য পাওয়ার লোভে স্থানীয়রা চিড়িয়াখানায় সরবরাহ করে থাকে এই ব্যাঙ। ফলে বেশি শিকারের সম্মুখীন হয়েছে গোলিয়াথ। এ ছাড়া নদীতীরবর্তী আবাসস্থল দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এই ব্যাঙকে এখন ক্যামেরুন সরকার বিলুপ্তির লাল তালিকায় যুক্ত করেছে।
পরিবেশের জন্য ব্যাঙের গুরুত্ব সম্পর্কে এখনো অনেকের অজানা। ক্যামেরুনেও অনেক স্থানীয় মানুষ বাস্তুতন্ত্রের কাছে এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। যেমন ফসলের ক্ষতি করে এমন পোকামাকড় শিকার করে থাকে এই ব্যাঙ।
সেড্রিকের মতো সংরক্ষকেরা মানুষকে গোলিয়াথ ব্যাঙ না খাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। বিকল্প খাদ্যের উৎসের জন্য শামুক চাষে সহায়তা করতে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, একজন সাবেক শিকারির কাছ থেকে খবর পেয়ে বিপন্ন গোলিয়াথ ব্যাঙ উদ্ধার করেন সেড্রিক। ওই শিকারির এক প্রতিবেশী এটিকে ধরেন। তবে উদ্ধার করে সেড্রিক ব্যাঙটিকে বনে ছেড়ে দিতে সক্ষম হন।
গোলিয়াথ ব্যাঙ রক্ষায় ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনাল, বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটি কনজারভেশন লিডারশিপ প্রোগ্রাম (সিএলপি) সমর্থিত বলে জানান বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সেড্রিক ফগওয়ান।
সাধারণত আমরা কয়েক ইঞ্চির ব্যাঙ দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু ব্যাঙও যে এক ফুটের বেশি লম্বা হতে পারে, এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। এই প্রজাতির ব্যাঙের নাম গোলিয়াথ ফ্রগ। এটি লম্বায় বিড়ালের সমান হতে পারে। ওজন হতে পারে তিন কেজির বেশি। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যাঙ। তবে বর্তমানে এই ব্যাঙের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
হুমকিতে থাকা এই প্রজাতির ব্যাঙ সংরক্ষণে কাজ করছেন ক্যামেরুনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সেড্রিক ফগওয়ান। সম্প্রতি তিনি একটি গোলিয়াথ ব্যাঙ উদ্ধার করেছেন। সেড্রিক ও তার বিপন্ন প্রাণী রক্ষা প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
সেড্রিক ফগওয়ান বলেন, ‘একটি উদ্ধার কার্যক্রমের সময় আমি প্রথম এই ব্যাঙ দেখি। আমার জানামতে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম জীবন্ত ব্যাঙ। দেখতে একটা বিড়ালের সমান হবে। অনেকটা ছোট বাচ্চাকে কোলে নিলে যেমন মনে হয় তেমন মনে হচ্ছিল।’
প্রথমবার এই প্রজাতির ব্যাঙ দেখে অবাক হয়েছিলেন বলেও জানান এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষক। গোলিয়াথ ব্যাঙ দেখে তিনি এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন যে, এ ধরনের বিপন্ন প্রাণী রক্ষায় কাজ করতে একটি প্রকল্প চালু করেন সেড্রিক।
তিনি বলেন, ‘যখন আমি এই প্রজাতির ব্যাঙ খুঁজে পাই, তখন মনে হয়েছিল, বিশ্বের বৃহত্তম এই ব্যাঙ সহজে অন্য কোথাও খুঁজে পাব না। এমনকি আমি নিজেকে গর্বিত অনুভব করছিলাম।’ ক্যামেরুনের যেই এলাকায় এটি খুঁজে পাওয়া যায় সেখানকার লোকেরা একে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করছে বলেও জানান তিনি।
এ ধরনের ব্যাঙ পাওয়া যায় মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন ও ইকুয়াটোরিয়াল বা নিরক্ষীয় গিনির নদীর অববাহিকা অঞ্চলে। কয়েক দশক ধরে খাওয়ার জন্য এবং উচ্চমূল্য পাওয়ার লোভে স্থানীয়রা চিড়িয়াখানায় সরবরাহ করে থাকে এই ব্যাঙ। ফলে বেশি শিকারের সম্মুখীন হয়েছে গোলিয়াথ। এ ছাড়া নদীতীরবর্তী আবাসস্থল দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এই ব্যাঙকে এখন ক্যামেরুন সরকার বিলুপ্তির লাল তালিকায় যুক্ত করেছে।
পরিবেশের জন্য ব্যাঙের গুরুত্ব সম্পর্কে এখনো অনেকের অজানা। ক্যামেরুনেও অনেক স্থানীয় মানুষ বাস্তুতন্ত্রের কাছে এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। যেমন ফসলের ক্ষতি করে এমন পোকামাকড় শিকার করে থাকে এই ব্যাঙ।
সেড্রিকের মতো সংরক্ষকেরা মানুষকে গোলিয়াথ ব্যাঙ না খাওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। বিকল্প খাদ্যের উৎসের জন্য শামুক চাষে সহায়তা করতে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, একজন সাবেক শিকারির কাছ থেকে খবর পেয়ে বিপন্ন গোলিয়াথ ব্যাঙ উদ্ধার করেন সেড্রিক। ওই শিকারির এক প্রতিবেশী এটিকে ধরেন। তবে উদ্ধার করে সেড্রিক ব্যাঙটিকে বনে ছেড়ে দিতে সক্ষম হন।
গোলিয়াথ ব্যাঙ রক্ষায় ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনাল, বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটি কনজারভেশন লিডারশিপ প্রোগ্রাম (সিএলপি) সমর্থিত বলে জানান বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সেড্রিক ফগওয়ান।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৪ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে