সৈয়দ ঋয়াদ, আজারবাইজান থেকে
জাতিসংঘের আয়োজনে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সোমবার (১১ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন কপ-২৯। সম্মেলন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনে ১৯৮ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
কপ-২৯-এ যোগ দিতে আজ আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হবেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঙ্গে যাবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মন্ত্রণালয়ের একটি দল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে। নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষেও কথা বলবে বাংলাদেশ।
বিগত কপ সম্মেলনগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানি কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধে নানামুখী দাবি উঠেছে। জলবায়ুর ওপর শিল্পের প্রভাব কমাতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়া, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির আলোকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘কপের ২৯তম আসরে বাংলাদেশের দাবি স্পষ্ট। এই সম্মেলনে আমরা অভিযোজন, প্রশমন এবং ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের জন্য জোরালো দাবি জানাব।’
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া প্যারিস চুক্তিতে উন্নত দেশগুলোর প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। গত ৯ বছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০০ বিলিয়ন ডলার। সেটি আদায় করা এবং ২০৩০ সাল থেকে বছরে ৪০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি জানাব। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ বন্যা, খরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ তাদেরকেই (উন্নত দেশগুলোকে) দিতে হবে।
আহমদ কামারুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, যারা বর্তমানে পরিবেশবিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে, ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশদূষণগুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন একই মুদ্রার দুটো পিঠ। স্থানীয় পর্যায়ে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধানসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জলবায়ু সম্মেলনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশরক্ষায় কাজ করতে হবে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিল্পবিপ্লব থেকেই পৃথিবীর তাপমাত্রা যে ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের উপায় রয়েছে কয়েকটা সেগুলা হলো, নবায়নযোগ্য শক্তি এর দিকে যাওয়া, টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা, সেটার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো এবং বাস্তবায়ন শুরু করা, গ্রিন ইকোনমির এর দিকে যাওয়া এবং নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ প্রয়োগ করা।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তাতে করে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অন্তত ১ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। পৃথিবী তাপমাত্রা কমাতে এখন এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শতাব্দী শেষে পৃথিবীর বুক থেকে প্রায় অর্ধশত দেশ সমুদ্রপৃষ্ঠে তলিয়ে যাবে।
জাতিসংঘের আয়োজনে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সোমবার (১১ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন কপ-২৯। সম্মেলন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনে ১৯৮ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
কপ-২৯-এ যোগ দিতে আজ আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হবেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঙ্গে যাবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মন্ত্রণালয়ের একটি দল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে। নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষেও কথা বলবে বাংলাদেশ।
বিগত কপ সম্মেলনগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানি কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধে নানামুখী দাবি উঠেছে। জলবায়ুর ওপর শিল্পের প্রভাব কমাতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়া, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির আলোকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘কপের ২৯তম আসরে বাংলাদেশের দাবি স্পষ্ট। এই সম্মেলনে আমরা অভিযোজন, প্রশমন এবং ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের জন্য জোরালো দাবি জানাব।’
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া প্যারিস চুক্তিতে উন্নত দেশগুলোর প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। গত ৯ বছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০০ বিলিয়ন ডলার। সেটি আদায় করা এবং ২০৩০ সাল থেকে বছরে ৪০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি জানাব। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ বন্যা, খরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ তাদেরকেই (উন্নত দেশগুলোকে) দিতে হবে।
আহমদ কামারুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, যারা বর্তমানে পরিবেশবিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে, ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশদূষণগুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন একই মুদ্রার দুটো পিঠ। স্থানীয় পর্যায়ে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধানসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জলবায়ু সম্মেলনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশরক্ষায় কাজ করতে হবে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিল্পবিপ্লব থেকেই পৃথিবীর তাপমাত্রা যে ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের উপায় রয়েছে কয়েকটা সেগুলা হলো, নবায়নযোগ্য শক্তি এর দিকে যাওয়া, টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা, সেটার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো এবং বাস্তবায়ন শুরু করা, গ্রিন ইকোনমির এর দিকে যাওয়া এবং নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ প্রয়োগ করা।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তাতে করে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অন্তত ১ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। পৃথিবী তাপমাত্রা কমাতে এখন এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শতাব্দী শেষে পৃথিবীর বুক থেকে প্রায় অর্ধশত দেশ সমুদ্রপৃষ্ঠে তলিয়ে যাবে।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে‘পরিবেশ উপদেষ্টা বিদেশি পরামর্শে চলছেন কিন্তু দেশের মানুষের পরামর্শ ও দাবিদাওয়াকে পাত্তা দিচ্ছেন না। বিদেশি জার্নালের পরামর্শে তিনি নিজ দেশের পর্যটনশিল্প ও দ্বীপবাসীকে একটা মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেটা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।’
২ দিন আগে