জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে পাখি মেলা। যদিও দর্শনার্থীদের অভিযোগ, মূল আকর্ষণ—পাখি ছাড়াই শেষ হয়েছে এবারের পাখি মেলা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন সবাই করি যত্ন’ স্লোগানে পাখি মেলা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ পাখির গুরুত্ব সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর এ আয়োজন করে থাকে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে পাখির উপস্থিতি তেমন নেই। মেলা উপলক্ষে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা এসে ভিড় জমান ক্যাম্পাসে। তবে পাখির কিচিরমিচির আর ওড়াউড়ি দেখতে না পেরে হতাশ হয়েছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, পরিবহন চত্বরসংলগ্ন লেক, জয়পাড়া লেক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনের লেকে পাখি নেই। তবে সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের ভেতরের লেকে পরিযায়ী পাখি আছে। ফলে লাল শাপলায় আচ্ছাদিত বাকি লেকগুলোতে পাখিদের খুব একটা চোখে পড়ছে না। এ বছর লেকগুলোতে পরিযায়ী পাখিও আশঙ্কাজনকভাবে কম এসেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।
ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে দর্শনার্থী জাহানারা খাতুন বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আগেও কয়েকবার পাখি মেলায় এসেছিলাম। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে অনেক পরিযায়ী পাখি দেখেছি। কী সুন্দর করে পাখিরা উড়ত, কিচিরমিচির ডাকত আর জলকেলি করত। কিন্তু এবার কোনো পাখি দেখতে পাচ্ছি না, তাই কিছুটা মন খারাপ। শুনেছি, একটা লেকে পাখি আছে, তবে সেখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।’
মেলা উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘পাখি মেলার অর্থ এই নয়, যে সেখানে পাখি থাকতে হবে। অনেকেই বলছেন, এই ক্যাম্পাসে পাখি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমরা সেটিকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের ও পেছনের উভয় লেকে আগে পাখি বসত। ওই লেক দুটি পরিষ্কার করা হয়েছে এরপরও পাখি বসেনি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস-উপযোগী পরিবেশ ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করার স্বার্থে আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে হবে। ক্যাম্পাসের প্রকৃতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে অনেক অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সত্ত্বেও ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে ব্যাপকসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। ব্যাপক জনসমাগম রোধ করা সম্ভব হলে পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
এবারের দিনব্যাপী মেলায় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্রপত্রিকা প্রদর্শনী, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা এবং সবার জন্য উন্মুক্ত পাখিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, পাখি মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পাখি বিশারদ ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী, আইসিইউএনের প্রতিনিধি সারোয়ার আলম দিপু ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আরিফুর রহমান প্রমুখ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে পাখি মেলা। যদিও দর্শনার্থীদের অভিযোগ, মূল আকর্ষণ—পাখি ছাড়াই শেষ হয়েছে এবারের পাখি মেলা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন সবাই করি যত্ন’ স্লোগানে পাখি মেলা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ পাখির গুরুত্ব সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর এ আয়োজন করে থাকে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে পাখির উপস্থিতি তেমন নেই। মেলা উপলক্ষে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা এসে ভিড় জমান ক্যাম্পাসে। তবে পাখির কিচিরমিচির আর ওড়াউড়ি দেখতে না পেরে হতাশ হয়েছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, পরিবহন চত্বরসংলগ্ন লেক, জয়পাড়া লেক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনের লেকে পাখি নেই। তবে সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের ভেতরের লেকে পরিযায়ী পাখি আছে। ফলে লাল শাপলায় আচ্ছাদিত বাকি লেকগুলোতে পাখিদের খুব একটা চোখে পড়ছে না। এ বছর লেকগুলোতে পরিযায়ী পাখিও আশঙ্কাজনকভাবে কম এসেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।
ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে দর্শনার্থী জাহানারা খাতুন বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আগেও কয়েকবার পাখি মেলায় এসেছিলাম। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে অনেক পরিযায়ী পাখি দেখেছি। কী সুন্দর করে পাখিরা উড়ত, কিচিরমিচির ডাকত আর জলকেলি করত। কিন্তু এবার কোনো পাখি দেখতে পাচ্ছি না, তাই কিছুটা মন খারাপ। শুনেছি, একটা লেকে পাখি আছে, তবে সেখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।’
মেলা উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘পাখি মেলার অর্থ এই নয়, যে সেখানে পাখি থাকতে হবে। অনেকেই বলছেন, এই ক্যাম্পাসে পাখি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমরা সেটিকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের ও পেছনের উভয় লেকে আগে পাখি বসত। ওই লেক দুটি পরিষ্কার করা হয়েছে এরপরও পাখি বসেনি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস-উপযোগী পরিবেশ ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করার স্বার্থে আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে হবে। ক্যাম্পাসের প্রকৃতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে অনেক অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সত্ত্বেও ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে ব্যাপকসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। ব্যাপক জনসমাগম রোধ করা সম্ভব হলে পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
এবারের দিনব্যাপী মেলায় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্রপত্রিকা প্রদর্শনী, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা এবং সবার জন্য উন্মুক্ত পাখিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, পাখি মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পাখি বিশারদ ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী, আইসিইউএনের প্রতিনিধি সারোয়ার আলম দিপু ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আরিফুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১০ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে