মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকতজুড়ে কয়েকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ওজন ১২০ কেজি। অন্তত সাত-আট দিন আগে এটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে পরপর দুটি ইরাবতী ও একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন এবং একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইস ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে ৬৬টি অলিভ রিডলি প্রজাতির মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ হাজমপাড়া এবং সোনাদিয়া উপকূলে ২৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
বোরির বিজ্ঞানীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্র উপকূল পরিদর্শন করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও মা কচ্ছপ মারা পড়ার এই চিত্র দেখতে পান। মারা পড়া কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরীরে জাল প্যাঁচানো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, কেন এবং কীভাবে প্রাণীগুলো মারা পড়ছে, তার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে জানিয়ে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক প্রাণী জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলার ও জাহাজে ধাক্কা খেয়ে বা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। একের পর এক বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ লোক মাঠ পর্যায়ে নেই। এ নিয়ে বোরির সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে গবেষণা করে আসছেন কক্সবাজার প্রকৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস।
আহমদ গিয়াস বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ মারা পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।
এভাবে টানা কচ্ছপ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা মৃত ভেসে আসা প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে প্রজাতি চিহ্নিত ও মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।
এভাবেই আশঙ্কাজনক হারে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও কচ্ছপ মারা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও বোরির সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে যে মারা পড়ছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ছাড়া গোস্ট নেট বা সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বিহুন্দি জাল কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর ফাঁদ। এ বিষয়ে জেলেদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকতজুড়ে কয়েকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ওজন ১২০ কেজি। অন্তত সাত-আট দিন আগে এটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে পরপর দুটি ইরাবতী ও একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন এবং একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইস ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে ৬৬টি অলিভ রিডলি প্রজাতির মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ হাজমপাড়া এবং সোনাদিয়া উপকূলে ২৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
বোরির বিজ্ঞানীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্র উপকূল পরিদর্শন করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও মা কচ্ছপ মারা পড়ার এই চিত্র দেখতে পান। মারা পড়া কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরীরে জাল প্যাঁচানো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, কেন এবং কীভাবে প্রাণীগুলো মারা পড়ছে, তার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে জানিয়ে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক প্রাণী জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলার ও জাহাজে ধাক্কা খেয়ে বা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। একের পর এক বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ লোক মাঠ পর্যায়ে নেই। এ নিয়ে বোরির সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে গবেষণা করে আসছেন কক্সবাজার প্রকৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস।
আহমদ গিয়াস বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ মারা পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।
এভাবে টানা কচ্ছপ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা মৃত ভেসে আসা প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে প্রজাতি চিহ্নিত ও মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।
এভাবেই আশঙ্কাজনক হারে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও কচ্ছপ মারা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও বোরির সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে যে মারা পড়ছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ছাড়া গোস্ট নেট বা সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বিহুন্দি জাল কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর ফাঁদ। এ বিষয়ে জেলেদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৩ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে