আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তবে কি সমুদ্র তার নীল রং হারাতে যাচ্ছে? এমন আশঙ্কার প্রশ্ন তৈরি করেছে একটি গবেষণা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সমুদ্রের প্রকৃত রং পরিবর্তিত হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন একদল সমুদ্র গবেষক। গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটি বলছে, বিশেষভাবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি নিম্ন অক্ষাংশের অঞ্চলগুলোর গভীর নীল সমুদ্র ধীরে ধীরে নীল থেকে সবুজ হয়ে উঠছে। এর প্রধান গবেষক ও সাউদাম্পটনের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের গবেষক বি বি কায়েলের মতে, ‘রং পরিবর্তন হচ্ছে এটি নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। তবে এই পরিবর্তন বাস্তুতন্ত্রের প্রকৃত অবস্থার পরিবর্তনেরই প্রতিফলন—সেটিই মূলত আশঙ্কার।’
আগের বিভিন্ন গবেষণায় সমুদ্রের সবুজ পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে কায়েলের দল ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আরও বিস্তৃত তথ্য নিয়ে নীল ও লাল হওয়াসহ সমুদ্রের বিভিন্ন রঙের পরিবর্তনের বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছেন। নাসার মোডিস-অ্যাকুয়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা। সমুদ্রের এই পরিবর্তনকে একটি কৃত্রিম সমুদ্র (কম্পিউটার মডেল) বানিয়ে পরীক্ষা করেছেন। সেখানে গবেষকেরা দেখেছেন, মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক জলবায়ুর উষ্ণায়ন না ঘটলে সমুদ্রের রঙের এই পরিবর্তন হতো না।
এ প্রসঙ্গে কায়েল বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপক্রান্তীয় অঞ্চলের প্রায় সব মহাসাগরে উল্লেখযোগ্যভাবে সমুদ্রের রঙে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এই পরিবর্তনের হার পৃথিবীর মোট সামুদ্রিক অঞ্চলের প্রায় ৫৬ শতাংশ, যা একত্রে পৃথিবীর সমস্ত ভূখণ্ডের চেয়েও বড়। বেশির ভাগ সমুদ্রে প্রকৃত রং পরিবর্তিত হয়ে সবুজ রং ধারণ করলেও অনেক জায়গায় লাল ও নীল রং হয় বাড়ছে, নয় কমছে বলেও উল্লেখ করেন কায়েল।
এই পরিবর্তন সূক্ষ্ম। তবে এটি মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে ধ্বংস হওয়া বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম নজির। এ বিষয়ে কায়েল বলেন, ‘মানব কার্যকলাপ সম্ভবত বিশ্ব জীবজগতের বৃহৎ অংশকে এমনভাবে প্রভাবিত করছে, যা আমরা বুঝতে পারিনি।’
অন্যদিকে, ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির সমুদ্র উৎপাদনশীলতাবিষয়ক গবেষক মাইকেল জে বেহরেনফেল্ডের মতে, এখনো স্পষ্ট নয় যে, এই পরিবর্তনগুলো কতটা শক্তিশালী এবং সমুদ্রের অভ্যন্তরে কী পরিবর্তন ঘটছে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে, পরিবর্তনের এসব প্রবণতা সমান্তরালভাবে একাধিক কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সমুদ্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক সমুদ্রের পানিতে আলোর বিচ্ছুরণ বাড়ায়।
দ্য গার্ডিয়ান
তবে কি সমুদ্র তার নীল রং হারাতে যাচ্ছে? এমন আশঙ্কার প্রশ্ন তৈরি করেছে একটি গবেষণা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সমুদ্রের প্রকৃত রং পরিবর্তিত হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন একদল সমুদ্র গবেষক। গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটি বলছে, বিশেষভাবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি নিম্ন অক্ষাংশের অঞ্চলগুলোর গভীর নীল সমুদ্র ধীরে ধীরে নীল থেকে সবুজ হয়ে উঠছে। এর প্রধান গবেষক ও সাউদাম্পটনের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের গবেষক বি বি কায়েলের মতে, ‘রং পরিবর্তন হচ্ছে এটি নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। তবে এই পরিবর্তন বাস্তুতন্ত্রের প্রকৃত অবস্থার পরিবর্তনেরই প্রতিফলন—সেটিই মূলত আশঙ্কার।’
আগের বিভিন্ন গবেষণায় সমুদ্রের সবুজ পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে কায়েলের দল ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আরও বিস্তৃত তথ্য নিয়ে নীল ও লাল হওয়াসহ সমুদ্রের বিভিন্ন রঙের পরিবর্তনের বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছেন। নাসার মোডিস-অ্যাকুয়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা। সমুদ্রের এই পরিবর্তনকে একটি কৃত্রিম সমুদ্র (কম্পিউটার মডেল) বানিয়ে পরীক্ষা করেছেন। সেখানে গবেষকেরা দেখেছেন, মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক জলবায়ুর উষ্ণায়ন না ঘটলে সমুদ্রের রঙের এই পরিবর্তন হতো না।
এ প্রসঙ্গে কায়েল বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপক্রান্তীয় অঞ্চলের প্রায় সব মহাসাগরে উল্লেখযোগ্যভাবে সমুদ্রের রঙে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এই পরিবর্তনের হার পৃথিবীর মোট সামুদ্রিক অঞ্চলের প্রায় ৫৬ শতাংশ, যা একত্রে পৃথিবীর সমস্ত ভূখণ্ডের চেয়েও বড়। বেশির ভাগ সমুদ্রে প্রকৃত রং পরিবর্তিত হয়ে সবুজ রং ধারণ করলেও অনেক জায়গায় লাল ও নীল রং হয় বাড়ছে, নয় কমছে বলেও উল্লেখ করেন কায়েল।
এই পরিবর্তন সূক্ষ্ম। তবে এটি মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে ধ্বংস হওয়া বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম নজির। এ বিষয়ে কায়েল বলেন, ‘মানব কার্যকলাপ সম্ভবত বিশ্ব জীবজগতের বৃহৎ অংশকে এমনভাবে প্রভাবিত করছে, যা আমরা বুঝতে পারিনি।’
অন্যদিকে, ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির সমুদ্র উৎপাদনশীলতাবিষয়ক গবেষক মাইকেল জে বেহরেনফেল্ডের মতে, এখনো স্পষ্ট নয় যে, এই পরিবর্তনগুলো কতটা শক্তিশালী এবং সমুদ্রের অভ্যন্তরে কী পরিবর্তন ঘটছে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে, পরিবর্তনের এসব প্রবণতা সমান্তরালভাবে একাধিক কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সমুদ্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক সমুদ্রের পানিতে আলোর বিচ্ছুরণ বাড়ায়।
দ্য গার্ডিয়ান
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১৬ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
২ দিন আগে