ডয়চে ভেলে
জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় ইতালিতে একাধিক পেশা সংকটের মুখে পড়ছে। দেশটির ক্ল্যাম্প সংগ্রহকারীরাও পরিস্থিতির অবনতি টের পাচ্ছেন। নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা পরিবেশের সুরক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৭টার সময় গোরোতে গিয়ে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা পোডেল্টার বন্দর প্রায় ঢেকে দিয়েছে। ফলে ভাদিস পেসান্টির জন্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বারবার নির্দিষ্ট কিছু স্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এমন এক সকালে এত ঘন কুয়াশার কারণে দিক নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন। আমরা এই কুয়াশাকে ‘‘কালিগা’’ বলি।’
ভাদিসের বাবাও অ্যাড্রিয়াটিক সাগরে জাল ফেলতেন। তবে ভাদিস এখন শুধু ‘ক্ল্যাম’ ঝিনুক ধরেন। কোথায় কতটা ধরা হবে, সেটা দৈনিক ভিত্তিতে ঠিক করে দেওয়া হয়। ভাদিস বলেন, ‘সন্ধ্যাবেলায় আমরা সমবায় থেকে একটা বার্তা পাই। তাতে বলা হয়, আগামীকাল অমুক জোনে মাছ ধরা হবে। ঠিক কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে, তারও উল্লেখ থাকে। কত পরিমাণ আমরা ধরে আনতে পারব, তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়।’
উপহ্রদের শান্ত পরিবেশে প্রায় আধ ঘণ্টা এগোনোর পর আচমকা শব্দ বেড়ে গেল। ভূতের মতো ক্ল্যাম শিকারিরা কুয়াশার মধ্য থেকে বেরিয়ে পড়লেন। গোরো উপহ্রদে প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ এই কাজ করেন। শেষ পর্যন্ত ভাদিসও তাঁর ক্ল্যাম ধরার এলাকায় পৌঁছে গেলেন। পানি গভীর না হলেও বেশ শীতল।
কমপ্রেসড এয়ার রেকের সাহায্যে তাঁরা বালুর ওপর থেকে ক্ল্যাম সংগ্রহ করেন। উপহ্রদের পানির তাপমাত্রা প্রায় ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালে ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত। কিন্তু গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা লাগাতার ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সেখানেও হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ভাদিস পেসান্টি বলেন, ‘যেমন সমুদ্রের স্তরে পরিবর্তন ঘটলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা টের পাই। অথবা শিরোকো বাতাস বইলে বা চাঁদের বিভিন্ন পর্যায়ের সময়ে তা বোঝা যায়। আমাদের এখানে আগে কখনো দেখা যায়নি এমন মাছ, ক্ল্যাম বা কাঁকড়া দেখলেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে পারি।’
সে কারণে ক্ল্যাম চাষ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে ভাদিস মনে করছেন। তাঁর মতে, সেটা জলবায়ুর জন্য ভালো। তিনি বলেন, ‘ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বা চুনাপাথর দিয়ে খোল তৈরি, যা আবদ্ধ কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ফারেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এলেনা টাম্বুরিনি জলবায়ুর জন্য ক্ল্যাম্পের গুরুত্বসংক্রান্ত এক গবেষণা চালিয়েছেন। তিনিও গোরোর জেলেদের তত্ত্ব সঠিক হিসেবে মনে করেন। অধ্যাপক টাম্বুরিনি বলেন, ‘বেড়ে ওঠার সময় এই নরম প্রাণীগুলো খোলস তৈরি করে, যা কার্বন-ডাই-অক্সাইড আবদ্ধ করে। এক কিলো ক্ল্যাম্প নিলে মনে রাখতে হবে, বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য যে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করা হয়েছে, তার মাত্রা কিন্তু বেড়ে ওঠা ক্ল্যাম্পের খোলসে বন্দী গ্যাসের মাত্রার তুলনায় অনেক কম। সেটাই এ ক্ষেত্রে বিস্ময়কর ঘটনা।’
উপহ্রদে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গোরোর জেলেরা প্রায় এক ডজন প্রজাতির এই নরম প্রাণী চাষ করছেন।
প্রায় সাত বছর আগে ভাদিস ও তাঁর সহযোগীরা আরও একটি পরিবেশবান্ধব প্রকল্প শুরু করেন। জোয়ারের টান কাজে লাগিয়ে তাঁরা ভূমধ্যসাগরে অয়েস্টার সংগ্রহ করছেন। ভাদিস পেসান্টি বলেন, ‘গোটা ইতালিতে একমাত্র আমাদের এখানেই অয়েস্টার উৎপাদন হয়। এখন চূড়ান্ত ভাটার সময় চলছে এবং কচি অয়েস্টারে ভর্তি এই ঝুড়িগুলো শূন্যে ভাসছে এব রোদ পাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা পর জোয়ার এলে গোটা এলাকা ডুবে যাবে।’
এই জগৎ রক্ষা করতে ভাদিস ও গোরোর জেলেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় ইতালিতে একাধিক পেশা সংকটের মুখে পড়ছে। দেশটির ক্ল্যাম্প সংগ্রহকারীরাও পরিস্থিতির অবনতি টের পাচ্ছেন। নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা পরিবেশের সুরক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৭টার সময় গোরোতে গিয়ে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা পোডেল্টার বন্দর প্রায় ঢেকে দিয়েছে। ফলে ভাদিস পেসান্টির জন্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বারবার নির্দিষ্ট কিছু স্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এমন এক সকালে এত ঘন কুয়াশার কারণে দিক নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন। আমরা এই কুয়াশাকে ‘‘কালিগা’’ বলি।’
ভাদিসের বাবাও অ্যাড্রিয়াটিক সাগরে জাল ফেলতেন। তবে ভাদিস এখন শুধু ‘ক্ল্যাম’ ঝিনুক ধরেন। কোথায় কতটা ধরা হবে, সেটা দৈনিক ভিত্তিতে ঠিক করে দেওয়া হয়। ভাদিস বলেন, ‘সন্ধ্যাবেলায় আমরা সমবায় থেকে একটা বার্তা পাই। তাতে বলা হয়, আগামীকাল অমুক জোনে মাছ ধরা হবে। ঠিক কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে, তারও উল্লেখ থাকে। কত পরিমাণ আমরা ধরে আনতে পারব, তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়।’
উপহ্রদের শান্ত পরিবেশে প্রায় আধ ঘণ্টা এগোনোর পর আচমকা শব্দ বেড়ে গেল। ভূতের মতো ক্ল্যাম শিকারিরা কুয়াশার মধ্য থেকে বেরিয়ে পড়লেন। গোরো উপহ্রদে প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ এই কাজ করেন। শেষ পর্যন্ত ভাদিসও তাঁর ক্ল্যাম ধরার এলাকায় পৌঁছে গেলেন। পানি গভীর না হলেও বেশ শীতল।
কমপ্রেসড এয়ার রেকের সাহায্যে তাঁরা বালুর ওপর থেকে ক্ল্যাম সংগ্রহ করেন। উপহ্রদের পানির তাপমাত্রা প্রায় ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালে ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত। কিন্তু গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা লাগাতার ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সেখানেও হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ভাদিস পেসান্টি বলেন, ‘যেমন সমুদ্রের স্তরে পরিবর্তন ঘটলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা টের পাই। অথবা শিরোকো বাতাস বইলে বা চাঁদের বিভিন্ন পর্যায়ের সময়ে তা বোঝা যায়। আমাদের এখানে আগে কখনো দেখা যায়নি এমন মাছ, ক্ল্যাম বা কাঁকড়া দেখলেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে পারি।’
সে কারণে ক্ল্যাম চাষ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে ভাদিস মনে করছেন। তাঁর মতে, সেটা জলবায়ুর জন্য ভালো। তিনি বলেন, ‘ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বা চুনাপাথর দিয়ে খোল তৈরি, যা আবদ্ধ কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ফারেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এলেনা টাম্বুরিনি জলবায়ুর জন্য ক্ল্যাম্পের গুরুত্বসংক্রান্ত এক গবেষণা চালিয়েছেন। তিনিও গোরোর জেলেদের তত্ত্ব সঠিক হিসেবে মনে করেন। অধ্যাপক টাম্বুরিনি বলেন, ‘বেড়ে ওঠার সময় এই নরম প্রাণীগুলো খোলস তৈরি করে, যা কার্বন-ডাই-অক্সাইড আবদ্ধ করে। এক কিলো ক্ল্যাম্প নিলে মনে রাখতে হবে, বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য যে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করা হয়েছে, তার মাত্রা কিন্তু বেড়ে ওঠা ক্ল্যাম্পের খোলসে বন্দী গ্যাসের মাত্রার তুলনায় অনেক কম। সেটাই এ ক্ষেত্রে বিস্ময়কর ঘটনা।’
উপহ্রদে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গোরোর জেলেরা প্রায় এক ডজন প্রজাতির এই নরম প্রাণী চাষ করছেন।
প্রায় সাত বছর আগে ভাদিস ও তাঁর সহযোগীরা আরও একটি পরিবেশবান্ধব প্রকল্প শুরু করেন। জোয়ারের টান কাজে লাগিয়ে তাঁরা ভূমধ্যসাগরে অয়েস্টার সংগ্রহ করছেন। ভাদিস পেসান্টি বলেন, ‘গোটা ইতালিতে একমাত্র আমাদের এখানেই অয়েস্টার উৎপাদন হয়। এখন চূড়ান্ত ভাটার সময় চলছে এবং কচি অয়েস্টারে ভর্তি এই ঝুড়িগুলো শূন্যে ভাসছে এব রোদ পাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা পর জোয়ার এলে গোটা এলাকা ডুবে যাবে।’
এই জগৎ রক্ষা করতে ভাদিস ও গোরোর জেলেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১৯ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
২ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
২ দিন আগে