অনলাইন ডেস্ক
গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া শেষে নিজেকে যে অনেক সৌভাগ্যবান ভাববেন সন্দেহ নেই।
আতাকামা মরুভূমি, চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমিকে অনেকেই বিবেচনা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা হিসেবে। এখনকার কোনো কোনো আবহাওয়া স্টেশন নাকি ১৬ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি। এমনকি অফিশিয়ালি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার রেকর্ডও আতাকামার আরিকার। উত্তর আতাকামার এ জায়গাটিতে বিশ শতকের গোড়ার দিকে টানা ১৭৩ মাস বৃষ্টি হয়নি।
আতাকামা মরুভূমি এতটাই শুষ্ক যে এখানকার পর্বতগুলোর উচ্চতা অনেক হওয়ার পরও একেবারেই হিমবাহমুক্ত। এই মরুভূমি এতো শুকনো হওয়ার কারণ বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এমন মেঘমালা সৃষ্টিতে বাধা দেয় অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা শীতল বাতাস। এই শুষ্ক মরুভূমি নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। প্রতি পাঁচ কী ১০ বছরে এর কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, আর এতে মরুর বুকে গজিয়ে ওঠে উজ্জ্বল ফুল, উদ্ভিদে। যদিও রঙের এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল সপ্তাহ খানিক।
অউলেফ, আলজেরিয়া
মরুভূমি ঘিরে রাখা ছোট্ট এক শহর অউলেফ। চারপাশের মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এটি আলজেরিয়ার উষ্ণ এবং শুকনো জায়গাগুলির অন্যতম। বছরে এখানে ১২.১৯ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়। শহরের বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ অবশ্য এর বাসিন্দাদের তীব্র উত্তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেয়। উষ্ণতম মাস জুলাই। তখন চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়ানের বেশি তাপমাত্রা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে এখানে পরিষ্কার থাকে বছরজুড়েই।
লুক্সর, মিশর
নীল নদের তীরে অবস্থান দক্ষিণ মিসরের এ শহরটির। পৃথিবীর উষ্ণ, শুকনো ও রৌদ্রোজ্জ্বল শহরগুলোর একটি হিসেবে নাম আছে এর। বছরজুড়ে এখানে ৪ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যতাপ মেলে। বছরে এখানে গড় বৃষ্টিপাত কত শুনবেন? মাত্র ০.৮৬২ মিলিমিটার। নিয়মিতই বালুঝড়ের কবলে পড়তে হয় শহরটিকে। প্রাচীন মন্দির, সমাধিসহ নানা আর্টিফেক্টের জন্য বিখ্যাত শহরটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য।
আসওয়ান, মিশর
মিশরতো বটেই গোটা পৃথিবীর শুকনো ও উষ্ণ জায়গাগুলির অন্যতম। এর অবস্থান দক্ষিণ মিশরে, যেখানে গড় উচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। শহরটিতে বছরে এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কোনো কোনো বছরে এমনকি বৃষ্টির দেখাই পায় না শহরের মাটি। ট্রপিক অব ক্যানসারের নিকটবর্তী হওয়াই এর এমন শুকনো ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণ।
পেলিকান পয়েন্ট, নামিবিয়া
বালিয়াড়িতে ভরা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় অবস্থান পেলিকান পয়েন্টে। এখানে বছরে কেবল ৮.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে মজার ঘটনা পেলিকান পয়েন্টের পাশের সাগর সার্ফারদের খুব পছন্দের জায়গা। উপসাগরের কাছে শীতল বায়ুর উপস্থিতির কারণে এখানে কখনোই আবহাওয়া খুব গরম বা ঠান্ডা হয় না।
ম্যাকমারডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার নাম শুনলে বরফ আর হিমবাহের কথাই মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার ড্রাই ভ্যালি বা শুকনো উপত্যকা পৃথিবীর শুকনো বা বৃষ্টিহীন জায়গাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। উপত্যকায় সে অর্থে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। মহাদেশের বরফমুক্ত সবচেয়ে বড় এলাকাও এটি। শুকনো আবহাওয়া ও বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা একে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেন।
ওয়াদি হালফা, সুদান
গরমে নাভিশ্বাস ওঠা শহরটির অবস্থান সুদানের উত্তরাঞ্চলে, নুবিয়া হ্রদের তীরে। বছরে এখানে মাত্র ২.৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে প্রচণ্ড উষ্ণ আর শুকনো হওয়ার পরও শহরটিতে মোটামুটি ১৫ হাজার মানুষের বাস।
লিস্ট ভার্স ও ম্যাপ কোয়েস্ট ডট কম অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান
গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া শেষে নিজেকে যে অনেক সৌভাগ্যবান ভাববেন সন্দেহ নেই।
আতাকামা মরুভূমি, চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমিকে অনেকেই বিবেচনা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা হিসেবে। এখনকার কোনো কোনো আবহাওয়া স্টেশন নাকি ১৬ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি। এমনকি অফিশিয়ালি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার রেকর্ডও আতাকামার আরিকার। উত্তর আতাকামার এ জায়গাটিতে বিশ শতকের গোড়ার দিকে টানা ১৭৩ মাস বৃষ্টি হয়নি।
আতাকামা মরুভূমি এতটাই শুষ্ক যে এখানকার পর্বতগুলোর উচ্চতা অনেক হওয়ার পরও একেবারেই হিমবাহমুক্ত। এই মরুভূমি এতো শুকনো হওয়ার কারণ বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এমন মেঘমালা সৃষ্টিতে বাধা দেয় অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা শীতল বাতাস। এই শুষ্ক মরুভূমি নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। প্রতি পাঁচ কী ১০ বছরে এর কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, আর এতে মরুর বুকে গজিয়ে ওঠে উজ্জ্বল ফুল, উদ্ভিদে। যদিও রঙের এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল সপ্তাহ খানিক।
অউলেফ, আলজেরিয়া
মরুভূমি ঘিরে রাখা ছোট্ট এক শহর অউলেফ। চারপাশের মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এটি আলজেরিয়ার উষ্ণ এবং শুকনো জায়গাগুলির অন্যতম। বছরে এখানে ১২.১৯ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়। শহরের বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ অবশ্য এর বাসিন্দাদের তীব্র উত্তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেয়। উষ্ণতম মাস জুলাই। তখন চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়ানের বেশি তাপমাত্রা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে এখানে পরিষ্কার থাকে বছরজুড়েই।
লুক্সর, মিশর
নীল নদের তীরে অবস্থান দক্ষিণ মিসরের এ শহরটির। পৃথিবীর উষ্ণ, শুকনো ও রৌদ্রোজ্জ্বল শহরগুলোর একটি হিসেবে নাম আছে এর। বছরজুড়ে এখানে ৪ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যতাপ মেলে। বছরে এখানে গড় বৃষ্টিপাত কত শুনবেন? মাত্র ০.৮৬২ মিলিমিটার। নিয়মিতই বালুঝড়ের কবলে পড়তে হয় শহরটিকে। প্রাচীন মন্দির, সমাধিসহ নানা আর্টিফেক্টের জন্য বিখ্যাত শহরটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য।
আসওয়ান, মিশর
মিশরতো বটেই গোটা পৃথিবীর শুকনো ও উষ্ণ জায়গাগুলির অন্যতম। এর অবস্থান দক্ষিণ মিশরে, যেখানে গড় উচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। শহরটিতে বছরে এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কোনো কোনো বছরে এমনকি বৃষ্টির দেখাই পায় না শহরের মাটি। ট্রপিক অব ক্যানসারের নিকটবর্তী হওয়াই এর এমন শুকনো ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণ।
পেলিকান পয়েন্ট, নামিবিয়া
বালিয়াড়িতে ভরা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় অবস্থান পেলিকান পয়েন্টে। এখানে বছরে কেবল ৮.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে মজার ঘটনা পেলিকান পয়েন্টের পাশের সাগর সার্ফারদের খুব পছন্দের জায়গা। উপসাগরের কাছে শীতল বায়ুর উপস্থিতির কারণে এখানে কখনোই আবহাওয়া খুব গরম বা ঠান্ডা হয় না।
ম্যাকমারডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার নাম শুনলে বরফ আর হিমবাহের কথাই মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার ড্রাই ভ্যালি বা শুকনো উপত্যকা পৃথিবীর শুকনো বা বৃষ্টিহীন জায়গাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। উপত্যকায় সে অর্থে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। মহাদেশের বরফমুক্ত সবচেয়ে বড় এলাকাও এটি। শুকনো আবহাওয়া ও বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা একে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেন।
ওয়াদি হালফা, সুদান
গরমে নাভিশ্বাস ওঠা শহরটির অবস্থান সুদানের উত্তরাঞ্চলে, নুবিয়া হ্রদের তীরে। বছরে এখানে মাত্র ২.৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে প্রচণ্ড উষ্ণ আর শুকনো হওয়ার পরও শহরটিতে মোটামুটি ১৫ হাজার মানুষের বাস।
লিস্ট ভার্স ও ম্যাপ কোয়েস্ট ডট কম অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
৫ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে