অনলাইন ডেস্ক
বিশালদেহী প্রাণী হাতির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত হলেও এদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু আমাদের অধিকাংশেরই জানা নেই। এরা যে চমৎকার স্মৃতিশক্তির অধিকারী, প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কিংবা লবণ সংগ্রহ করে খায় জঙ্গল থেকে এসব তথ্যের কয়টাই বা আমাদের জানা আছে বলুন? বিশ্ব হাতি দিবসে তাই থাকছে হাতি নিয়ে মজার কিছু তথ্য।
১. হাতিদের তিনটি আলাদা প্রজাতি আছে। আমাদের চিড়িয়াখানায় বা পথে মাহুতের সঙ্গে যে হাতিগুলো দেখেন সেগুলো এশীয় হাতি। বাংলাদেশের পাহাড়-জঙ্গলে এখনো কিছু বুনো এশীয় হাতি টিকে আছে। এ ছাড়া আফ্রিকান হাতি আছে দুই প্রজাতির। একটি আফ্রিকান সাভানা হাতি আরেকটি আফ্রিকান ফরেস্ট হাতি। আফ্রিকান ও এশীয় হাতিদের কান দেখে সহজেই আলাদা করতে পারবেন। আফ্রিকান হাতিদের কান আকারে বড় ও ছড়ানো। আফ্রিকান ফরেস্ট এলিফ্যান্টের বাস কঙ্গোর গহিন জঙ্গলে। সাভানা হাতিদের তুলনায় এদের দাঁত সোজা ও কান বেশি গোলাকার।
২. আফ্রিকান হাতি তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, ওজন ৪০০০ থেকে ৭৫০০ কেজি। এশীয় হাতি আকারে একটু ছোট, উচ্চতা ২.৭ মিটার, ওজনে ৩০০০-৬০০০ কেজি।
৩. হাতির দাঁতের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছু বলে দিতে পারবেন। এদের দাঁত সব সময়ই বাড়তে থাকে। তার মানে দীর্ঘ দাঁত হাতিটি যে বয়স্ক সে ইঙ্গিত দেয়। আফ্রিকান হাতি পুরুষ হোক কী স্ত্রী তাদের দাঁত থাকে। তবে এশিয়া হাতিদের বেলায় কেবল পুরুষ বা মদ্দা হাতিদের দাঁত থাকে।
৪. দিনে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা ঘাস, লতা-পাতা আর ফল খেয়ে কাটে হাতিদের। লম্বা শুঁড় তাদের খাবারের গন্ধ নিতে সাহায্য করে। তারপর এটার সাহায্যে মজাদার খাবারটা মুখে পুরে নেয়। বেশি খাওয়া মানে বেশি মল ত্যাগ করা। এক সপ্তাহে একটা হাতি মোটামুটি এক টনের মতো মল ত্যাগ করে। এই মল বা নাদি মাটিকে উর্বর করে। এই নাদির মাধ্যমে বিভিন্ন বৃক্ষের বীজও ছড়িয়ে দেয় হাতিরা। হাতিরা মাটি খুঁড়ে পানির উৎস তৈরি করে। তেমনি চলার পথ তৈরি করে। তার মানে একটা হাতি তার আশপাশের এলাকার ভূ-প্রকৃতি পাল্টে দিতে ভূমিকা রাখে।
৫. হাতিদের শরীরের খনিজের চাহিদা পূরণের জন্য লবণ দরকার হয়। তারা জঙ্গল থেকে নিজেদের জন্য লবণ সংগ্রহ করে নেয়। যেমন কেনিয়ার মাউন্ট এলগনের হাতিদের একটি দল দাঁত দিয়ে মাটির তলের গুহার সল্টলিক থেকে খুঁচিয়ে লবণের চাঁই তুলে আনে। তারপর শুঁড় দিয়ে ভেঙে এই লবণ খায়।
৬. হাতিদের স্মরণশক্তির কোনো তুলনা নেই। হাতিদের মগজটাও কিন্তু বিশাল। বিশেষ করে মগজের যে অংশের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির সম্পর্ক আছে সেটি আকারে অনেক বড়। বহু বছরের ব্যবধানেও দূরবর্তী কোনো পানির উৎস, অন্য হাতি এবং যেসব মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাদের মনে রাখতে পারে হাতিরা। দলনেত্রীর মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম নিজেদের জ্ঞান সংরক্ষণ করে হাতিরা। এটা প্রাণীটিকে টিকে থাকতে সাহায্য করে। তেমনি স্মরণশক্তি ব্যবহার করে কোনো ফল কখন পাকবে তা বুঝে সময়মতো সেখানে পৌঁছে যেতে পারে হাতিরা।
৭. হাতিদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এদের শুঁড়। একটি হাতির শুঁড়ে প্রায় দেড় লাখ পেশি আছে। একবারে শুঁড় দিয়ে আট লিটার পানি তুলতে পারে হাতিরা। সাঁতার কাটার সময় শুঁড়ের সাহায্যে শ্বাস নিতে পারে এরা।
৮. হাতিরা নিজেদের সানস্ক্রিন তৈরি করে নেয়। কোনো নদী বা জলাভূমিতে গোসলের পর কাদা আর বালু দিয়ে শরীরে প্রলেপের মতো দেয় তারা। এটি গনগনে সূর্যের তাপে পুড়ে যাওয়া থেকে তাদের চামড়াকে রক্ষা করে।
৯. আশ্চর্যজনক হলেও হাতি শিশু জন্মের ২০ মিনিটের মধ্যে ওঠে দাঁড়াতে পারে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে হাঁটা-চলা করতে পারে।
১০. হাতিরা মৌমাছিকে ভয় পায়। কৃষকেরা এমনকি নিজেদের জমি থেকে হাতিদের দূরে সরিয়ে রাখতে মৌমাছির চাক ব্যবহার করে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে জানা যায় এশিয়ার কোনো কোনো খামারি বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক তারের বদলে এই কৌশল ব্যবহার করেন হাতি তাড়াতে। তেমনি স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন জানিয়েছে কেনিয়ার কৃষকেরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
১১. হাতি হলো একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যে লাফাতে পারে না। এমনকি দৌড়ানোর সময়ও অন্তত দুটি পা মাটিতে থাকে।
১২. পৃথিবীতে এখন যেসব প্রাণী টিকে আছে এদের মধ্যে হাতির সবচেয়ে নিকটতম জ্ঞাতি কে শুনলে অবাক হবেন। সে মোটেই বিশালাকায় কোনো প্রাণী নয়। তার নাম রক হাইরেক্স। ছোট্ট এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটির বাস আফ্রিকা মহাদেশের সাব-সাহারান অঞ্চল ও আরব উপদ্বীপের উপকূলীয় এলাকার পাথুরে জমিতে।
১৩. হাতিরা চীনাবাদাম খেতে মোটেই পছন্দ করে না। বুনো অবস্থায় তাদের চীনা বাদাম খাবার কোনো খবর মেলেনি। তেমনি চিড়িয়াখানাগুলোতে পোষা হাতিকেও এটি খাওয়ানো হয় না।
ন্যাট জিও কিডস, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড, ট্রি হাগার ডট কম, ইনসাইডার ডট কম, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন
বিশালদেহী প্রাণী হাতির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত হলেও এদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু আমাদের অধিকাংশেরই জানা নেই। এরা যে চমৎকার স্মৃতিশক্তির অধিকারী, প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কিংবা লবণ সংগ্রহ করে খায় জঙ্গল থেকে এসব তথ্যের কয়টাই বা আমাদের জানা আছে বলুন? বিশ্ব হাতি দিবসে তাই থাকছে হাতি নিয়ে মজার কিছু তথ্য।
১. হাতিদের তিনটি আলাদা প্রজাতি আছে। আমাদের চিড়িয়াখানায় বা পথে মাহুতের সঙ্গে যে হাতিগুলো দেখেন সেগুলো এশীয় হাতি। বাংলাদেশের পাহাড়-জঙ্গলে এখনো কিছু বুনো এশীয় হাতি টিকে আছে। এ ছাড়া আফ্রিকান হাতি আছে দুই প্রজাতির। একটি আফ্রিকান সাভানা হাতি আরেকটি আফ্রিকান ফরেস্ট হাতি। আফ্রিকান ও এশীয় হাতিদের কান দেখে সহজেই আলাদা করতে পারবেন। আফ্রিকান হাতিদের কান আকারে বড় ও ছড়ানো। আফ্রিকান ফরেস্ট এলিফ্যান্টের বাস কঙ্গোর গহিন জঙ্গলে। সাভানা হাতিদের তুলনায় এদের দাঁত সোজা ও কান বেশি গোলাকার।
২. আফ্রিকান হাতি তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, ওজন ৪০০০ থেকে ৭৫০০ কেজি। এশীয় হাতি আকারে একটু ছোট, উচ্চতা ২.৭ মিটার, ওজনে ৩০০০-৬০০০ কেজি।
৩. হাতির দাঁতের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছু বলে দিতে পারবেন। এদের দাঁত সব সময়ই বাড়তে থাকে। তার মানে দীর্ঘ দাঁত হাতিটি যে বয়স্ক সে ইঙ্গিত দেয়। আফ্রিকান হাতি পুরুষ হোক কী স্ত্রী তাদের দাঁত থাকে। তবে এশিয়া হাতিদের বেলায় কেবল পুরুষ বা মদ্দা হাতিদের দাঁত থাকে।
৪. দিনে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা ঘাস, লতা-পাতা আর ফল খেয়ে কাটে হাতিদের। লম্বা শুঁড় তাদের খাবারের গন্ধ নিতে সাহায্য করে। তারপর এটার সাহায্যে মজাদার খাবারটা মুখে পুরে নেয়। বেশি খাওয়া মানে বেশি মল ত্যাগ করা। এক সপ্তাহে একটা হাতি মোটামুটি এক টনের মতো মল ত্যাগ করে। এই মল বা নাদি মাটিকে উর্বর করে। এই নাদির মাধ্যমে বিভিন্ন বৃক্ষের বীজও ছড়িয়ে দেয় হাতিরা। হাতিরা মাটি খুঁড়ে পানির উৎস তৈরি করে। তেমনি চলার পথ তৈরি করে। তার মানে একটা হাতি তার আশপাশের এলাকার ভূ-প্রকৃতি পাল্টে দিতে ভূমিকা রাখে।
৫. হাতিদের শরীরের খনিজের চাহিদা পূরণের জন্য লবণ দরকার হয়। তারা জঙ্গল থেকে নিজেদের জন্য লবণ সংগ্রহ করে নেয়। যেমন কেনিয়ার মাউন্ট এলগনের হাতিদের একটি দল দাঁত দিয়ে মাটির তলের গুহার সল্টলিক থেকে খুঁচিয়ে লবণের চাঁই তুলে আনে। তারপর শুঁড় দিয়ে ভেঙে এই লবণ খায়।
৬. হাতিদের স্মরণশক্তির কোনো তুলনা নেই। হাতিদের মগজটাও কিন্তু বিশাল। বিশেষ করে মগজের যে অংশের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির সম্পর্ক আছে সেটি আকারে অনেক বড়। বহু বছরের ব্যবধানেও দূরবর্তী কোনো পানির উৎস, অন্য হাতি এবং যেসব মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাদের মনে রাখতে পারে হাতিরা। দলনেত্রীর মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম নিজেদের জ্ঞান সংরক্ষণ করে হাতিরা। এটা প্রাণীটিকে টিকে থাকতে সাহায্য করে। তেমনি স্মরণশক্তি ব্যবহার করে কোনো ফল কখন পাকবে তা বুঝে সময়মতো সেখানে পৌঁছে যেতে পারে হাতিরা।
৭. হাতিদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এদের শুঁড়। একটি হাতির শুঁড়ে প্রায় দেড় লাখ পেশি আছে। একবারে শুঁড় দিয়ে আট লিটার পানি তুলতে পারে হাতিরা। সাঁতার কাটার সময় শুঁড়ের সাহায্যে শ্বাস নিতে পারে এরা।
৮. হাতিরা নিজেদের সানস্ক্রিন তৈরি করে নেয়। কোনো নদী বা জলাভূমিতে গোসলের পর কাদা আর বালু দিয়ে শরীরে প্রলেপের মতো দেয় তারা। এটি গনগনে সূর্যের তাপে পুড়ে যাওয়া থেকে তাদের চামড়াকে রক্ষা করে।
৯. আশ্চর্যজনক হলেও হাতি শিশু জন্মের ২০ মিনিটের মধ্যে ওঠে দাঁড়াতে পারে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে হাঁটা-চলা করতে পারে।
১০. হাতিরা মৌমাছিকে ভয় পায়। কৃষকেরা এমনকি নিজেদের জমি থেকে হাতিদের দূরে সরিয়ে রাখতে মৌমাছির চাক ব্যবহার করে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে জানা যায় এশিয়ার কোনো কোনো খামারি বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক তারের বদলে এই কৌশল ব্যবহার করেন হাতি তাড়াতে। তেমনি স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন জানিয়েছে কেনিয়ার কৃষকেরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
১১. হাতি হলো একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যে লাফাতে পারে না। এমনকি দৌড়ানোর সময়ও অন্তত দুটি পা মাটিতে থাকে।
১২. পৃথিবীতে এখন যেসব প্রাণী টিকে আছে এদের মধ্যে হাতির সবচেয়ে নিকটতম জ্ঞাতি কে শুনলে অবাক হবেন। সে মোটেই বিশালাকায় কোনো প্রাণী নয়। তার নাম রক হাইরেক্স। ছোট্ট এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটির বাস আফ্রিকা মহাদেশের সাব-সাহারান অঞ্চল ও আরব উপদ্বীপের উপকূলীয় এলাকার পাথুরে জমিতে।
১৩. হাতিরা চীনাবাদাম খেতে মোটেই পছন্দ করে না। বুনো অবস্থায় তাদের চীনা বাদাম খাবার কোনো খবর মেলেনি। তেমনি চিড়িয়াখানাগুলোতে পোষা হাতিকেও এটি খাওয়ানো হয় না।
ন্যাট জিও কিডস, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড, ট্রি হাগার ডট কম, ইনসাইডার ডট কম, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
২১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে