নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: পঞ্চাশ বছরের পুরনো শতাধিক গাছ কেটে ঐতিহাসিক সোহরায়ার্দী উদ্যানে সরকার যে উন্নয়ন কাজ করছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদিরা।
তারা বলছেন, উদ্যানে অবকাঠামো নির্মাণের নিয়মনীতি না মেনেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। গাছগুলো রেখেই এসব কাজ করা সম্ভব।
তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, সোহরায়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কিছু গাছ কাটা পড়লেও সেখানে এক হাজার গাছ লাগানো হবে।
বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট সংলগ্ন নির্মিতব্য রেস্টুরেন্টের সামনে মানববন্ধন করে ‘ষোল আনা বাঙ্গালী’ ও ‘নোঙর বাংলাদেশ’ নামের দুটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা অপরিকল্পিতভাবে ৫০ বছরের পুরনো গাছ কাটার প্রতিবাদ জানান। এসব গাছ রেখেই এই উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব বলেও দাবি করেন তারা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে বক্তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আরও ১০ হাজার গাছ লাগানোর দাবিও জানান।
স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের কাজের অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। সাতটি রেস্টুরেন্ট, ফোয়ারা, ওয়াকওয়ে, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং, আন্ডারপাস ও মসজিদ নির্মাণ ছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুপার্ক আধুনিকায়নের কাজ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স’র (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদ্যানে কতটুকু কংক্রিটাইজেশন করা যাবে তার আলাদা নিয়ম আছে। সেই নিয়মনীতি আমলে না নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট, ওয়াকওয়ে বানানো হচ্ছে।
‘উদ্যানে উন্নয়ন কাজ চালানো হলে কম সংখ্যক কংক্রিট ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে তা করা যায় সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’
অধ্যাপক আদিল বলেন, উদ্যানের পরিবেশ বলতে শুধু গাছ নয়, গাছকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সামগ্রিক বাস্তুসংস্থান প্রক্রিয়াকে বোঝায়। তাই গাছ কেটে মাত্রাতিরিক্ত কংক্রিট ব্যবহার করলে উদ্যান তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য হারাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫০ বছরের পুরোনা গাছ কেটে নতুন গাছ লাগিয়ে সেই ক্ষতি পোষানো সম্ভব না। এই সাধারণ কথাটা যারা বোঝে না তারা উন্নয়নও বোঝেন না।
‘যারাই এটা করে থাকুক, খুবই জঘন্য কাজ করছে। গাছ বাঁচিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় সরকারের সে পরিকল্পনা করা উচিত।’
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য স্থাপন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য স্থাপন, ইন্দিরা মঞ্চ নির্মাণ, ওয়াটার বডি ও ফাউন্টেইন নির্মাণ, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ীর কার পার্কিং এবং শিশুপার্ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবৃবিতে বলা হয়েছে, ‘এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু গাছ কাটা হলেও এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সকল কার্যক্রমগুলোর বিষয়ে খণ্ডিত তথ্য প্রচারিত হওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সমর্থন ও সহযোগিতাও চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ঢাকা: পঞ্চাশ বছরের পুরনো শতাধিক গাছ কেটে ঐতিহাসিক সোহরায়ার্দী উদ্যানে সরকার যে উন্নয়ন কাজ করছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদিরা।
তারা বলছেন, উদ্যানে অবকাঠামো নির্মাণের নিয়মনীতি না মেনেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। গাছগুলো রেখেই এসব কাজ করা সম্ভব।
তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, সোহরায়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কিছু গাছ কাটা পড়লেও সেখানে এক হাজার গাছ লাগানো হবে।
বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট সংলগ্ন নির্মিতব্য রেস্টুরেন্টের সামনে মানববন্ধন করে ‘ষোল আনা বাঙ্গালী’ ও ‘নোঙর বাংলাদেশ’ নামের দুটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা অপরিকল্পিতভাবে ৫০ বছরের পুরনো গাছ কাটার প্রতিবাদ জানান। এসব গাছ রেখেই এই উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব বলেও দাবি করেন তারা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে বক্তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আরও ১০ হাজার গাছ লাগানোর দাবিও জানান।
স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের কাজের অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। সাতটি রেস্টুরেন্ট, ফোয়ারা, ওয়াকওয়ে, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং, আন্ডারপাস ও মসজিদ নির্মাণ ছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুপার্ক আধুনিকায়নের কাজ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স’র (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদ্যানে কতটুকু কংক্রিটাইজেশন করা যাবে তার আলাদা নিয়ম আছে। সেই নিয়মনীতি আমলে না নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট, ওয়াকওয়ে বানানো হচ্ছে।
‘উদ্যানে উন্নয়ন কাজ চালানো হলে কম সংখ্যক কংক্রিট ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে তা করা যায় সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।’
অধ্যাপক আদিল বলেন, উদ্যানের পরিবেশ বলতে শুধু গাছ নয়, গাছকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সামগ্রিক বাস্তুসংস্থান প্রক্রিয়াকে বোঝায়। তাই গাছ কেটে মাত্রাতিরিক্ত কংক্রিট ব্যবহার করলে উদ্যান তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য হারাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫০ বছরের পুরোনা গাছ কেটে নতুন গাছ লাগিয়ে সেই ক্ষতি পোষানো সম্ভব না। এই সাধারণ কথাটা যারা বোঝে না তারা উন্নয়নও বোঝেন না।
‘যারাই এটা করে থাকুক, খুবই জঘন্য কাজ করছে। গাছ বাঁচিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় সরকারের সে পরিকল্পনা করা উচিত।’
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য স্থাপন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য স্থাপন, ইন্দিরা মঞ্চ নির্মাণ, ওয়াটার বডি ও ফাউন্টেইন নির্মাণ, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ীর কার পার্কিং এবং শিশুপার্ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবৃবিতে বলা হয়েছে, ‘এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু গাছ কাটা হলেও এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সকল কার্যক্রমগুলোর বিষয়ে খণ্ডিত তথ্য প্রচারিত হওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সমর্থন ও সহযোগিতাও চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
২ দিন আগে