ইশতিয়াক হাসান
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। বন্যপ্রাণী প্রেমে সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে। কয়েকটা দিন রাম পাহাড়, সীতা পাহাড় এবং কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গল, ঝিরিতে বেশ কেটেছিল। তখনই ওখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে শুনি লতা বাঘের কথা। গাছ বাওয়ায় ওদের জুড়ি মেলা ভার। অনুমান করি জন্তুটা মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান কাপ্তাইয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপ মেঘলা চিতার ছবিও পান।
গত বছরের ডিসেম্বরে কেওক্রাডাং যাওয়ার পথে দার্জিলিং পাড়াসহ আরও কয়েকটি জায়গার বমদের মেঘলা চিতার ছবি দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে চিনে ফেলল লতা বাঘ নামে। বগা লেক ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝের এক নির্জন পাহাড়ে দিন কয়েক আগেই মেঘলা চিতা দেখার গল্প বলেছিলেন এক বম বৃদ্ধ।
মেঘলা চিতার আরও গল্প শোনার আগে বরং সে দেখতে কেমন, তা একটু জেনে নিই। গায়ের রং ধূসর থেকে মেটে বাদামি। শরীরে মেঘের মতো ছোপ ছোপ। তাই নাম ক্লাইডেড ল্যাপার্ড, মেঘলা চিতা বা মেঘা বাঘ। গেছো বাঘ, লাম চিতা নামেও চেনেন অনেকে। ওজন ১৮-২০ কেজি। লম্বায় তিন ফুট বা তার বেশি। প্রায় শরীরের সমান লেজটি ভারী সুন্দর। বৃক্ষচর মেঘলা চিতাদের গাছে গাছে কাটে সময়। গাছে চলাফেরার সময় লেজটি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে। গাছে থাকার কারণেই মেঘলা চিতাদের পায়ের পাতা বিড়াল গোত্রের অন্য জন্তুদের মতো নরম নয়, শক্ত। মেঘলা চিতারা বেশ লম্বা, নাদুস-নুদুস হলেও খাটো পায়ের কারণে এদের দেখতে যতটা বড় লাগার কথা ততটা লাগে না। গাছে থাকে বলে এদের প্রিয় শিকার বানর। কখনো গাছে ওত পেতে থেকে, আবার কখনো নিচ দিয়ে যাওয়া হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ওপর লাফিয়ে পড়ে আচমকা। গাছ থেকে নামার সময় মাথা থাকে নিচের দিকে।
রাঙামাটির সাজেকের পাশেই ভারতের ডামপা টাইগার রিজার্ভ। আমার জানামতে পৃথিবীর যেসব অরণ্যে মেঘলা চিতার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ডামপা অন্যতম। ডামপার পাশের সাজেকের পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাজেকের ধারের কসালং রিজার্ভেও লাম চিতাদের দেখা মেলে মাঝে মাঝেই—জানান দুর্গম পাড়াগুলোর বাসিন্দারা। অর্থাৎ, সাজেক-কাসালংয়ের পাহাড় রাজ্যে এরা বেশ আছে এখনো।
পাহাড়ি জঙ্গল মেঘলা চিতাদের বেশ প্রিয়। এমনকি হিমালয়ের ৯ হাজার ফুট উচ্চতায়ও দেখা মিলেছে এদের। ম্যানগ্রোভ বনেও আছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তুটি। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের সুন্দ্রায় ম্যানগ্রোভের পরিবেশের সঙ্গে মেঘলা চিতারা সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে। এমনকি গ্রামীণ বনেও এর উপস্থিতি দেখা যায়। এ ধরনের একটা মেঘলা চিতা শিকারের বিবরণ আছে সরওয়ার পাঠানের ‘শিকার রোমাঞ্চ’ বইয়ে।
ঘটনাটা ১৯৬৭-৬৮ সালের। গাজীপুরের শালবন থেকে একটি গেছো বাঘ শীতলক্ষ্যা পেরিয়ে আসে নরসিংদীর চরসিন্দুরের সুলতানপুর গ্রামে। বেশ কয়েকটি ছাগল আর কুকুর পেটে যায় ওর। তখন ওটাকে শিকার করেন সরওয়ার পাঠানের বাবা ফজলুল হক পাঠান।
এবার একটু সিলেটের জঙ্গলের দিকে নজর দিই। একসময় সিলেট অঞ্চলে লাম চিতারা সংখ্যায় বেশ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় হবিগঞ্জের নানার বাড়িতে গেলে বিশাল লোহাগড়া বাঘ, মাঝারি আকারের ফুলেশ্বরীসহ নানা ধরনের বাঘের গল্প শুনতাম। পরে জানতে পারি এই ফুলেশ্বরী আসলে গেছো বাঘ বা লাম চিতাই। মুক্তাগাছার জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ণ আচার্য চৌধুরী তাঁর বই ‘শিকার ও শিকারি’–তেও লিখেছেন ফুলেশ্বরীর কথা। আসামের জঙ্গলে বিংশ শতকের প্রথম থেকে তৃতীয় দশক পর্যন্ত শিকারে গিয়ে ব্রজেন্দ্রনারায়ণের ফুলেশ্বরী শিকারের কথা জানা যায়। তখনো আসামের কেবল গভীর জঙ্গলেই এদের দেখা পাওয়া যেত। কোথাও কোথাও চিতা বাঘকেও ফুলেশ্বরী বলা হয় বলে শুনেছি।
কর্নেল এইচ এস উড ছিলেন চিকিৎসক। আসাম, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) ও সিলেটে ছিল পোস্টিং। সিভিল সার্জন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ওই সব এলাকায়। তাঁর বইয়েও সিলেটে বিস্তর ক্লাউডেড ল্যাপার্ড ছিল বলে অনুমানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সে সময় এসব মেঘলা চিতা স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে ধরাও পড়ত হঠাৎ হঠাৎ।
এইচ এস উড লিখেছেন, আসামের লোকেরা একে ‘বান্দর বাঘ’ বলত। তবে গাছ বাওয়ায় দক্ষ বলে, নাকি বানর শিকারে পটু বলে এই নামকরণ—নিশ্চিত হতে পারেননি উড। মেঘলা চিতার ভয়ে বানরদের তিনি দলেবলে গাছে না থেকে পাথরের চাতালে রাত কাটাতে দেখেছিলেন। অভিজ্ঞতাগুলো কিন্তু আজ থেকে ১০০ বছর আগের। উড একটা লাম চিতা শিকারও করেছিলেন। গাছে প্রায় ৮০ ফুট উঠে ওপর থেকে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল চিতাটা। তখনই শটগানের গুলিতে মারেন জন্তুটাকে।
সিলেটের জঙ্গলে উঁচু সব গাছে এখনো অল্প হলেও মেঘলা চিতাদের আবাস আছে বলে ধারণা করা হয়। আমার অনুমান, সিলেট বিভাগের রেমা-কালেঙ্গা, সাগরনাল, আদমপুর-খুরমার মতো অরণ্যগুলোতে মেঘলা চিতাদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এবার মেঘলা চিতা নিয়ে একটু অন্য ধরনের কিছু তথ্য দেওয়া যাক। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এক শ ডিগ্রি কোনে মুখ হা করতে পারে এরা। আবার মাথার খুলির আকার অনুপাতে বিড়াল গোত্রের জন্তুদের মধ্যে এদের শ্বদন্তই সবচেয়ে বড়। এদের অনেকে ‘টুথ টাইগার’ বা ‘দাঁতাল বাঘ’ও বলে আদর করে।
শাহরিয়ার সিজার রহমানদের সংগঠন ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ক্যামেরা ট্র্যাপে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্যে মেঘলা চিতারা বন্দী হয়েছে কয়েকবারই। ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সিজার রহমানের ছবিসহ একটি পোস্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেশ নাদুসনুদুস একটা মেঘলা চিতা মারা পড়ছিল আলীকদম এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিকারিদের হাতে।
গত মাসে আলীকদমের দুর্গম অঞ্চলে থাকা এক ম্রোর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাতামুহুরি অরণ্যে এখনো এরা আছে বেশ। গহিন জঙ্গলে যাওয়া মানুষেরা এদের দেখা পান হঠাৎ হঠাৎ। পাহাড়প্রেমী, জঙ্গলপ্রেমী অপু নজরুল গত বছর থানচি থেকে রাতের বেলা বান্দরবান শহরে আসার পথে গাড়ির লাইটের আলোয় রাস্তা পেরিয়ে যেতে দেখেছেন লাম চিতাকে।
আজ বিশ্ব মেঘলা চিতা দিবস। গহিন পাহাড়ে, উঁচু সব মহিরুহের শরীরে মিশে থাকা আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তু আরও বহু বছর ফাঁকি দেবে মানুষকে, টিকে থাকবে এ দেশের অরণ্য-পাহাড়ে—এটুকুই চাওয়া।
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। বন্যপ্রাণী প্রেমে সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে। কয়েকটা দিন রাম পাহাড়, সীতা পাহাড় এবং কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গল, ঝিরিতে বেশ কেটেছিল। তখনই ওখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে শুনি লতা বাঘের কথা। গাছ বাওয়ায় ওদের জুড়ি মেলা ভার। অনুমান করি জন্তুটা মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান কাপ্তাইয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপ মেঘলা চিতার ছবিও পান।
গত বছরের ডিসেম্বরে কেওক্রাডাং যাওয়ার পথে দার্জিলিং পাড়াসহ আরও কয়েকটি জায়গার বমদের মেঘলা চিতার ছবি দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে চিনে ফেলল লতা বাঘ নামে। বগা লেক ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝের এক নির্জন পাহাড়ে দিন কয়েক আগেই মেঘলা চিতা দেখার গল্প বলেছিলেন এক বম বৃদ্ধ।
মেঘলা চিতার আরও গল্প শোনার আগে বরং সে দেখতে কেমন, তা একটু জেনে নিই। গায়ের রং ধূসর থেকে মেটে বাদামি। শরীরে মেঘের মতো ছোপ ছোপ। তাই নাম ক্লাইডেড ল্যাপার্ড, মেঘলা চিতা বা মেঘা বাঘ। গেছো বাঘ, লাম চিতা নামেও চেনেন অনেকে। ওজন ১৮-২০ কেজি। লম্বায় তিন ফুট বা তার বেশি। প্রায় শরীরের সমান লেজটি ভারী সুন্দর। বৃক্ষচর মেঘলা চিতাদের গাছে গাছে কাটে সময়। গাছে চলাফেরার সময় লেজটি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে। গাছে থাকার কারণেই মেঘলা চিতাদের পায়ের পাতা বিড়াল গোত্রের অন্য জন্তুদের মতো নরম নয়, শক্ত। মেঘলা চিতারা বেশ লম্বা, নাদুস-নুদুস হলেও খাটো পায়ের কারণে এদের দেখতে যতটা বড় লাগার কথা ততটা লাগে না। গাছে থাকে বলে এদের প্রিয় শিকার বানর। কখনো গাছে ওত পেতে থেকে, আবার কখনো নিচ দিয়ে যাওয়া হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ওপর লাফিয়ে পড়ে আচমকা। গাছ থেকে নামার সময় মাথা থাকে নিচের দিকে।
রাঙামাটির সাজেকের পাশেই ভারতের ডামপা টাইগার রিজার্ভ। আমার জানামতে পৃথিবীর যেসব অরণ্যে মেঘলা চিতার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ডামপা অন্যতম। ডামপার পাশের সাজেকের পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাজেকের ধারের কসালং রিজার্ভেও লাম চিতাদের দেখা মেলে মাঝে মাঝেই—জানান দুর্গম পাড়াগুলোর বাসিন্দারা। অর্থাৎ, সাজেক-কাসালংয়ের পাহাড় রাজ্যে এরা বেশ আছে এখনো।
পাহাড়ি জঙ্গল মেঘলা চিতাদের বেশ প্রিয়। এমনকি হিমালয়ের ৯ হাজার ফুট উচ্চতায়ও দেখা মিলেছে এদের। ম্যানগ্রোভ বনেও আছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তুটি। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের সুন্দ্রায় ম্যানগ্রোভের পরিবেশের সঙ্গে মেঘলা চিতারা সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে। এমনকি গ্রামীণ বনেও এর উপস্থিতি দেখা যায়। এ ধরনের একটা মেঘলা চিতা শিকারের বিবরণ আছে সরওয়ার পাঠানের ‘শিকার রোমাঞ্চ’ বইয়ে।
ঘটনাটা ১৯৬৭-৬৮ সালের। গাজীপুরের শালবন থেকে একটি গেছো বাঘ শীতলক্ষ্যা পেরিয়ে আসে নরসিংদীর চরসিন্দুরের সুলতানপুর গ্রামে। বেশ কয়েকটি ছাগল আর কুকুর পেটে যায় ওর। তখন ওটাকে শিকার করেন সরওয়ার পাঠানের বাবা ফজলুল হক পাঠান।
এবার একটু সিলেটের জঙ্গলের দিকে নজর দিই। একসময় সিলেট অঞ্চলে লাম চিতারা সংখ্যায় বেশ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় হবিগঞ্জের নানার বাড়িতে গেলে বিশাল লোহাগড়া বাঘ, মাঝারি আকারের ফুলেশ্বরীসহ নানা ধরনের বাঘের গল্প শুনতাম। পরে জানতে পারি এই ফুলেশ্বরী আসলে গেছো বাঘ বা লাম চিতাই। মুক্তাগাছার জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ণ আচার্য চৌধুরী তাঁর বই ‘শিকার ও শিকারি’–তেও লিখেছেন ফুলেশ্বরীর কথা। আসামের জঙ্গলে বিংশ শতকের প্রথম থেকে তৃতীয় দশক পর্যন্ত শিকারে গিয়ে ব্রজেন্দ্রনারায়ণের ফুলেশ্বরী শিকারের কথা জানা যায়। তখনো আসামের কেবল গভীর জঙ্গলেই এদের দেখা পাওয়া যেত। কোথাও কোথাও চিতা বাঘকেও ফুলেশ্বরী বলা হয় বলে শুনেছি।
কর্নেল এইচ এস উড ছিলেন চিকিৎসক। আসাম, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) ও সিলেটে ছিল পোস্টিং। সিভিল সার্জন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ওই সব এলাকায়। তাঁর বইয়েও সিলেটে বিস্তর ক্লাউডেড ল্যাপার্ড ছিল বলে অনুমানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সে সময় এসব মেঘলা চিতা স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে ধরাও পড়ত হঠাৎ হঠাৎ।
এইচ এস উড লিখেছেন, আসামের লোকেরা একে ‘বান্দর বাঘ’ বলত। তবে গাছ বাওয়ায় দক্ষ বলে, নাকি বানর শিকারে পটু বলে এই নামকরণ—নিশ্চিত হতে পারেননি উড। মেঘলা চিতার ভয়ে বানরদের তিনি দলেবলে গাছে না থেকে পাথরের চাতালে রাত কাটাতে দেখেছিলেন। অভিজ্ঞতাগুলো কিন্তু আজ থেকে ১০০ বছর আগের। উড একটা লাম চিতা শিকারও করেছিলেন। গাছে প্রায় ৮০ ফুট উঠে ওপর থেকে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল চিতাটা। তখনই শটগানের গুলিতে মারেন জন্তুটাকে।
সিলেটের জঙ্গলে উঁচু সব গাছে এখনো অল্প হলেও মেঘলা চিতাদের আবাস আছে বলে ধারণা করা হয়। আমার অনুমান, সিলেট বিভাগের রেমা-কালেঙ্গা, সাগরনাল, আদমপুর-খুরমার মতো অরণ্যগুলোতে মেঘলা চিতাদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এবার মেঘলা চিতা নিয়ে একটু অন্য ধরনের কিছু তথ্য দেওয়া যাক। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এক শ ডিগ্রি কোনে মুখ হা করতে পারে এরা। আবার মাথার খুলির আকার অনুপাতে বিড়াল গোত্রের জন্তুদের মধ্যে এদের শ্বদন্তই সবচেয়ে বড়। এদের অনেকে ‘টুথ টাইগার’ বা ‘দাঁতাল বাঘ’ও বলে আদর করে।
শাহরিয়ার সিজার রহমানদের সংগঠন ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ক্যামেরা ট্র্যাপে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্যে মেঘলা চিতারা বন্দী হয়েছে কয়েকবারই। ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সিজার রহমানের ছবিসহ একটি পোস্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেশ নাদুসনুদুস একটা মেঘলা চিতা মারা পড়ছিল আলীকদম এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিকারিদের হাতে।
গত মাসে আলীকদমের দুর্গম অঞ্চলে থাকা এক ম্রোর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাতামুহুরি অরণ্যে এখনো এরা আছে বেশ। গহিন জঙ্গলে যাওয়া মানুষেরা এদের দেখা পান হঠাৎ হঠাৎ। পাহাড়প্রেমী, জঙ্গলপ্রেমী অপু নজরুল গত বছর থানচি থেকে রাতের বেলা বান্দরবান শহরে আসার পথে গাড়ির লাইটের আলোয় রাস্তা পেরিয়ে যেতে দেখেছেন লাম চিতাকে।
আজ বিশ্ব মেঘলা চিতা দিবস। গহিন পাহাড়ে, উঁচু সব মহিরুহের শরীরে মিশে থাকা আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তু আরও বহু বছর ফাঁকি দেবে মানুষকে, টিকে থাকবে এ দেশের অরণ্য-পাহাড়ে—এটুকুই চাওয়া।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১৩ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
২ দিন আগে