অনলাইন ডেস্ক
আধুনিক খাদ্য ব্যবস্থায় কলা খুবই সাধারণ একটি খাবার হলেও, এটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সম্পূর্ণ হলুদ এ ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। তবে যা অনেকেই জানেন না তা হলো, হাজারেরও বেশি প্রজাতির মধ্যে মানুষ কেবল একটি প্রজাতির কলাই খায়। আর তা হলো ক্যাভেনডিশ জাতের কলা। এই এক জাতের কলাও এখন রয়েছে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে।
গত সপ্তাহে রোমে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ব্যানানা ফোরামের বৈঠক নিয়ে তেমন কোনো শিরোনাম না হলেও এর আলোচ্য বিষয় সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী কলার বাণিজ্য ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। যেকোনো দোকানে ও সুপারশপেই সহজলভ্য ও অত্যন্ত সাশ্রয়ী এ ফল পাওয়া যায়। বৈশ্বিক বাণিজ্যের বেশির ভাগই এই এক জাতের কলার ওপর নির্ভরশীল। অথচ এই এক জাত ঝুঁকির মুখে পড়তে শুরু করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো বিকল্প পরিকল্পনাই নেই।
ফোরামের এ বছরের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক ড. কিউ ডঙ্গিউ। তিনি বলেন, ‘এক হাজারেরও বেশি কলার জাত থাকার পরও কেন বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ ক্যাভেনডিশ জাতের কলার ওপরই নির্ভর করে? এটি বদলাতে হবে এবং আমরা সবাই এ সমস্যার অংশ।’
মানুষ যেসব কলা খায় এর সবগুলোই দেখতে এক এবং এদের স্বাদও একই। অথচ ইন্দোনেশিয়ার ব্লু জাভা জাতের কলা দেখতে ও স্বাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ কলাটির স্বাদ ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো। চীনা কলার তীব্র ঘ্রাণ একে অন্যান্য জাত থেকে আলাদা করে। গো সান হিওং জাতের এ কলার নামের অর্থ হলো—পাশের পর্বত থেকেও ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
তবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যের চেয়ে মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাশ্রয়ী, উচ্চ ফলনশীল জাতের চাহিদার কারণে বিশ্বব্যাপী এক জাতের কলার একচেটিয়া চাষ হচ্ছে। অন্যান্য খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকে। খাদ্য ব্যবস্থায় একজাতীয় শস্যের ওপর নির্ভরশীলতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল। কারণ এতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে আমাদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
বুনো কলা বীজ থেকে জন্মালেও ক্যাভেনডিশ জাতের কলা জন্মায় সাকার পদ্ধতিতে। মাটির নিচে গোড়া থেকেই নতুন গাছ জন্মায়। অর্থাৎ এতে গাছের বিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই এরা পরিবেশের নতুন কোনো হুমকিও মোকাবিলা করতে পারে না।
সম্প্রতি এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে পানামা রোগের বিস্তার দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলগুলোতে বিশ্বে সরবরাহের ৮০ শতাংশ কলা উৎপাদিত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে পাতার কিনারা হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং গোড়া থেকে ভেঙে পড়ে। এরপর শিগগিরই গাছ মারা যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে গাছ গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। কোদাল বা পোশাকে লেগে থাকা সংক্রমিত গাছের একটি স্পোরও সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট করে ফেলতে পারে। আক্রান্ত জমিতে ক্যাভেনডিশ কলা চাষ আর সম্ভব হয় না।
এ রোগ নির্মূলের একটি উপায় হলো জেনেটিক মডিফিকেশন বা জিন রূপান্তরের মাধ্যমে কলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক জেমস ডেল কয়েক দশক ধরে ক্যাভেনডিশের একটি রূপান্তরিত সংস্করণ নিয়ে কাজ করছেন। এতে ক্যাভেনডিশ জাতের কলায় পানামা রোগের বিরুদ্ধে ‘অত্যন্ত প্রতিরোধী’ রূপ দেওয়া হয়েছে।
বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি এক ফসলি হয়ে উঠেছে। এটি প্রকৃতির জন্য স্বাভাবিক নয়। আগে বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থায় অনেক বেশি বৈচিত্র্য ছিল। তবে উচ্চ ফলনশীল শস্যের চাহিদার কারণে বৈচিত্র্য হারিয়ে গেছে। বৈচিত্র্য কমে যাওয়ার কারণে সহজেই যেকোনো খাদ্য এখন ঝুঁকির মুখে পড়ে সংকট তৈরি করতে পারে। ফসলের মাঠে বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞানীরা তাই এখন প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
তবে এ চেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন মানুষ বৈচিত্র্য গ্রহণ করতে সম্মত হবে। ভোক্তাদের মধ্যে যখন বিভিন্ন জাতের কলার চাহিদা তৈরি হবে, তখনই বাণিজ্য ও উৎপাদনে এর প্রভাব পড়বে, আর এক জাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আধুনিক খাদ্য ব্যবস্থায় কলা খুবই সাধারণ একটি খাবার হলেও, এটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সম্পূর্ণ হলুদ এ ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। তবে যা অনেকেই জানেন না তা হলো, হাজারেরও বেশি প্রজাতির মধ্যে মানুষ কেবল একটি প্রজাতির কলাই খায়। আর তা হলো ক্যাভেনডিশ জাতের কলা। এই এক জাতের কলাও এখন রয়েছে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে।
গত সপ্তাহে রোমে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ব্যানানা ফোরামের বৈঠক নিয়ে তেমন কোনো শিরোনাম না হলেও এর আলোচ্য বিষয় সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী কলার বাণিজ্য ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। যেকোনো দোকানে ও সুপারশপেই সহজলভ্য ও অত্যন্ত সাশ্রয়ী এ ফল পাওয়া যায়। বৈশ্বিক বাণিজ্যের বেশির ভাগই এই এক জাতের কলার ওপর নির্ভরশীল। অথচ এই এক জাত ঝুঁকির মুখে পড়তে শুরু করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো বিকল্প পরিকল্পনাই নেই।
ফোরামের এ বছরের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক ড. কিউ ডঙ্গিউ। তিনি বলেন, ‘এক হাজারেরও বেশি কলার জাত থাকার পরও কেন বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ ক্যাভেনডিশ জাতের কলার ওপরই নির্ভর করে? এটি বদলাতে হবে এবং আমরা সবাই এ সমস্যার অংশ।’
মানুষ যেসব কলা খায় এর সবগুলোই দেখতে এক এবং এদের স্বাদও একই। অথচ ইন্দোনেশিয়ার ব্লু জাভা জাতের কলা দেখতে ও স্বাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ কলাটির স্বাদ ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো। চীনা কলার তীব্র ঘ্রাণ একে অন্যান্য জাত থেকে আলাদা করে। গো সান হিওং জাতের এ কলার নামের অর্থ হলো—পাশের পর্বত থেকেও ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
তবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যের চেয়ে মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাশ্রয়ী, উচ্চ ফলনশীল জাতের চাহিদার কারণে বিশ্বব্যাপী এক জাতের কলার একচেটিয়া চাষ হচ্ছে। অন্যান্য খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকে। খাদ্য ব্যবস্থায় একজাতীয় শস্যের ওপর নির্ভরশীলতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল। কারণ এতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে আমাদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
বুনো কলা বীজ থেকে জন্মালেও ক্যাভেনডিশ জাতের কলা জন্মায় সাকার পদ্ধতিতে। মাটির নিচে গোড়া থেকেই নতুন গাছ জন্মায়। অর্থাৎ এতে গাছের বিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই এরা পরিবেশের নতুন কোনো হুমকিও মোকাবিলা করতে পারে না।
সম্প্রতি এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে পানামা রোগের বিস্তার দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলগুলোতে বিশ্বে সরবরাহের ৮০ শতাংশ কলা উৎপাদিত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে পাতার কিনারা হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং গোড়া থেকে ভেঙে পড়ে। এরপর শিগগিরই গাছ মারা যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে গাছ গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। কোদাল বা পোশাকে লেগে থাকা সংক্রমিত গাছের একটি স্পোরও সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট করে ফেলতে পারে। আক্রান্ত জমিতে ক্যাভেনডিশ কলা চাষ আর সম্ভব হয় না।
এ রোগ নির্মূলের একটি উপায় হলো জেনেটিক মডিফিকেশন বা জিন রূপান্তরের মাধ্যমে কলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক জেমস ডেল কয়েক দশক ধরে ক্যাভেনডিশের একটি রূপান্তরিত সংস্করণ নিয়ে কাজ করছেন। এতে ক্যাভেনডিশ জাতের কলায় পানামা রোগের বিরুদ্ধে ‘অত্যন্ত প্রতিরোধী’ রূপ দেওয়া হয়েছে।
বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি এক ফসলি হয়ে উঠেছে। এটি প্রকৃতির জন্য স্বাভাবিক নয়। আগে বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থায় অনেক বেশি বৈচিত্র্য ছিল। তবে উচ্চ ফলনশীল শস্যের চাহিদার কারণে বৈচিত্র্য হারিয়ে গেছে। বৈচিত্র্য কমে যাওয়ার কারণে সহজেই যেকোনো খাদ্য এখন ঝুঁকির মুখে পড়ে সংকট তৈরি করতে পারে। ফসলের মাঠে বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞানীরা তাই এখন প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
তবে এ চেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন মানুষ বৈচিত্র্য গ্রহণ করতে সম্মত হবে। ভোক্তাদের মধ্যে যখন বিভিন্ন জাতের কলার চাহিদা তৈরি হবে, তখনই বাণিজ্য ও উৎপাদনে এর প্রভাব পড়বে, আর এক জাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
২১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে