ইশতিয়াক হাসান
এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্য প্রাণী। এই মাসের গোড়ার দিকেই যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
৪ মে, শনিবার। শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় লাল মিয়া তাঁর জমিতে একটি বন্যপ্রাণী দেখতে পান। এ ধরনের প্রাণী আগে কখনো দেখেননি তিনি। নাকসহ শরীরের কিছু অংশ শূকরের মতো। আবার বেশ পার্থক্যও আছে। লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেন। তারপর সবাই মিলে ‘অদ্ভুত’ প্রাণীটিকে বেঁধে ফেলেন। সৌভাগ্যক্রমে এটিকে মেরে না ফেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেন তাঁরা। পরে জানা যায় এর আসল পরিচয়, এটি একটি হগ ব্যাজার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন হগ ব্যাজারটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে ছাড়েন।
তিন বছরেরও বেশি আগের একটি ঘটনায় ফিরে যাই। এবারের প্রাণীটির ভাগ্য অবশ্য হগ ব্যাজারটির তুলনায় অনেকই খারাপ ছিল। ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চিতনা গ্রাম। এক ব্যক্তি মারা গেলে কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরদিন সকালে অদ্ভুত চেহারার এক জন্তুকে সেই কবরের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখে এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল, লাশখেকো একটি জন্তুর খোঁজ মিলেছে।
ব্যস, আর যায় কোথায়! ওটাকে ধরে মহাসমারোহে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসী। এতটুকুই তথ্য জোগাড় করেছিলাম পত্রিকা থেকে। যদিও ওখানে প্রাণীটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল গন্ধগোকুল বা খাটাশ হিসেবে। তবে জন্তুটির লোমশ শরীর বলছিল অন্য কথা। দেখে একে বিন্টুরং বা ভামের মতোই মনে হচ্ছিল। পরে ছবি দেখে নিশ্চিত হই ওটা বিন্টুরংই।
কিন্তু শেরপুর শহরে হগ ব্যাজার কিংবা নাসিরনগরের গ্রামীণ বনে বিন্টুরং এল কীভাবে?
শুরুটা করছি হগ ব্যাজার দিয়ে। তার আগে একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। গায়ে-গতের শূূকরাকার ব্যাজাররা মাঝারি। দৈর্ঘ্য ২২-২৬ ইঞ্চি। লেজটা ৫-৬ ইঞ্চি। ওজন ৫-৮ কেজি। নাকটা শূকরের মতো হওয়ায় শূকরাকার ব্যাজার বা হগ ব্যাজার নাম পেয়েছে। তবে দেহের বিভিন্ন অংশ শূকর থেকে অনেকই আলাদা। গাট্টাগোট্টা শরীরে বাদামি লোম থাকে। গলা-মুখ সাদাটে, পিঠের ওপর লম্বা দুটো কালো দাগ। এদের চেহারার সঙ্গে হানি ব্যাজারদেরও বেশ মিল আছে। তবে কথা হলো, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এখন হানি ব্যাজার আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
আশার কথা, হগ ব্যাজার বা শূূকরাকার ব্যাজার বাংলাদেশের বনগুলোতে এখনো অল্পবিস্তর আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার বন-পাহাড়ে। ভাগ্যচক্রে দু-একজন পর্যটক এর দেখাও পেয়ে যান। এমনই একজন প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। হঠাৎ এদের একটার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সীতাকুণ্ডের বন-পাহাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়বকুণ্ড থেকে তীর্থদাম অগ্নিকুণ্ডে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে এক ঝিরিতে গা ভেজাচ্ছেলেন। আচমকা ওটাকে দেখেন। শূকরের মতো মুখ, লোমশ চামড়ার আশ্চর্য এই প্রাণী দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তাঁর। বেচারা আগে কখনো হগ ব্যাজারের কথা শোনেননি। চম্পট দেন ওখান থেকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এর আগেই কাঁপা কাঁপা হাতে দুর্দান্ত দুটি ছবি তুলে ফেলেন ওটার।
হগ ব্যাজাররা মোটামুটি সর্বভুক। ফলমূল, গাছের শিকড়, ছোট জন্তু, মাছ—কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই।
আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামের সূত্রে জানতে পারলাম, দিঘারপাড়ের পরেই বিল আছে। বিলের পর আবার আছে দুটি ইটভাটা। পৌরসভার মধ্যে পড়লেও জায়গাটির পরিবেশ গ্রামীণ। বিভিন্ন বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড় কিংবা গাছপালা আছে। বিলের কাছে বাড়ি-ঘর থাকলেও সেগুলোর চারপাশেও ঝোপঝাড় ও বেশ গাছপালা আছে। এদিকে এই এলাকা থেকে গারো পাহাড় বেশ দূরে। তাহলে আমরা অনুমান করতেই পারি, হগ ব্যাজারটি এখানকার স্থানীয় প্রাণী। হয়তো এ রকম আরও দু-চারটি এখনো সেখানে টিকে আছে।
এবার নাসিরনগরের ওই ভামকাণ্ডে চোখ বোলানো যাক আবার। ভামরা আমি যত দূর জানি সর্বভুক। ওটা যে আসলেই লাশ খেয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। যদিও গ্রামবাসী নিশ্চিত না হয়েই জন্তুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আমরা সত্যি জানি না, যে অপরাধে মারা হয়েছে, তা ওই জন্তুটা করেছে কি না।
কথা হলো, নাসিরনগরে তারা এল কীভাবে? নাসিরনগরের সবচেয়ে কাছের সংরক্ষিত বন সাতছড়ি। তা-ও ওখান থেকে একটি বিন্টুরং অতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে আসাটা স্বাভাবিক নয়! তবে খোঁজ-খবর নিয়ে যত দূর জানতে পেরেছি, নাসিরনগরে কিছু বাঁশ-বন আছে। আর এটা মোটামুটি জানা যে, ভালুকেরা বাঁশবনকে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পছন্দ করে। তাহলে সম্ভবত নাসিরনগরের বাঁশবাগানই ছিল এর আস্তানা। তবে কি সেখানে আরও আছে? নাকি শেষটাকেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছি!
এই নাসিরনগরের বাঁশবনের কথা ভাবতে গিয়েই মনে পড়ল আমার নানাবাড়ি পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরষপুরে প্রচুর বাঁশবন আছে। ওই সব বনের দু-চারটায় আমি ঘোরাফেরাও করেছি বেশ। তাহলে ওই সব বাঁশবাগানেও দু-চারটা বিন্টুরং আছে নাকি! এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটোরে একটা বাঁশভালুক দেখার খবর মিলেছিল।
এবার বিন্টুরং জন্তুটি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন এদের। লোমশ শরীর, গায়ের রং কালো, তবে পা চারটি খাটো। লোমশ লেজটা শুরুর দিকে চওড়া, তারপর ধীরে ধীরে একটু সরু হয়ে শেষ অংশে ভেতরের দিকে কুঁকড়ে গেছে। এই লেজ দিয়ে এরা শক্তভাবে গাছের ডাল বা অন্য যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। চোখ বড়, গোল কান ছোট। সর্বভুক জন্তুটি খুদে স্তন্যপায়ী জন্তু থেকে শুরু করে পাখি, মাছ, ফলমূল সবই খায়। ডুমুর প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে ওপরের দিকে। শাক-সবজি, লতাপাতায়ও আপত্তি নেই। তবে এর মড়াখেকো হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতির খবর খুব একটা জানা নেই।
এবার মেছো বিড়ালদের নিয়ে একটু আলাপ করি। বাংলাদেশের অনেক শহরের সীমানায় এমনকি খোদ ঢাকা শহরের পূর্বাচল এলাকায়ও মেছো বিড়াল এখনো অল্প সংখ্যায় হলো টিকে আছে। তেমনি ঢাকা শহরের সীমানায় অল্প-বিস্তর শিয়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুলও আছে এখনো। বিভিন্ন শহরে ও গ্রামের ঘর-বাড়ির কাছে ছোট বন কিংবা গাছপালা আছে এমন জায়গায় টিকে আছে বনবিড়াল, গন্ধেগোকুল, বাঘডাঁসের মতো প্রাণীরা।
একটা সময় গ্রামীণ বনে, শহরে মানুষের আশপাশে অনেক বন্যপ্রাণীই বিচরণ করত। তখন এত ঝামেলাও হতো না। মানুষ এদের সঙ্গে পরিচিতও ছিল। কিন্তু নগারায়ণের কারণে এসব বন্যপ্রাণী ক্রমেই পিছু হটেছে। অনেকগুলো মানুষের হাতে মারা পড়েছে। কিছু আবার বড় বনের দিকে সরে পড়েছে। তবে এত কিছুর পরও অল্প-বিস্তর বন্যপ্রাণী যে এখনো শহরে বা শহরতলি কিংবা মানুষের বাড়ি-ঘরের আশপাশে কালেভদ্রে দেখা যায়, এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কিন্তু কোনো বন্যপ্রাণীকে আশপাশে দেখলেই মেরে ফেলা তো একেবারেই উচিত নয়। তেমনি সাফারি পার্কে কিংবা কোনো বনে অবমুক্ত করাটাও কি খুব যুক্তিযুক্ত?
একটা জন্তুকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য জায়গায় সরানোটাও তো নিষ্ঠুরতা। আমাদের মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য সব করতে হবে? আমাদের আশপাশে কি বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না?
বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, হগ ব্যাজার যে শুধুই বনে থাকে ব্যাপারটি এমন নয়। গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে, শেরপুরে যেখানে একে পাওয়া যায়, তার আশপাশে হোমস্টেড ফরেস্ট বা গ্রামীণ বন আছে। লাগোয়া বিলও আছে। অচেনা প্রাণী শুধু খুব গহিন বনেই থাকে—এই চিন্তাধারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে কনফ্লিক্টিং।
‘অচেনা’ প্রাণী বাসার পেছনের বাঁশবনেও থাকতে পারে। হগ ব্যাজার একটু ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। বিল, বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বন—সবকিছু মিলিয়ে এই হগ ব্যাজার শেরপুরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলেই মনে হয়। হগ ব্যাজারদের কিন্তু কখনো কখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হলের আশপাশে ঘুরঘুর করতেও দেখা গেছে। এদিকে বাঁশভালুক নাসিরনগর বা আশপাশের এলাকার বাঁশবনে এখনো টিকে থাকা অসম্ভব নয়। বাঁশভালুক নিয়ে বাংলাদেশে সে অর্থে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে বাইরের গবেষণা বলছে, বাড়ির আশপাশের বাঁশবনেও এদের থাকা সম্ভব।
মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মেছো বিড়াল আর বনবিড়ালের কথাও আমাদের চিন্তা করা উচিত। শ্রীমঙ্গলে যেমন কোনো মেছো বিড়াল ধরা পড়লেই এদের বাইক্কার বিলের আশপাশে বা কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ বাইক্কার বিল একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। তেমনি প্রতিটি বনের ধারণক্ষমতা আছে। মেছো বিড়াল, বনবিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের আশপাশের এলাকায়ও থাকার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্কটল্যান্ডে যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওয়াইল্ড ক্যাটেরা; বাংলাদেশের বনবিড়াল, মেছো বিড়াল বা হগ ব্যাজারদের একই অবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কটল্যান্ডের একটি বনে কেবল ১২-১৪টি পিউর ওয়াইল্ড ক্যাট টিকে আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, হগ ব্যাজার-বাঁশভালুকের মতো প্রাণীরা নিজের বাসস্থান ছেড়ে খুব বেশি দূরে যায় না। কাজেই এসব প্রাণী যে এলাকায় ধরা পড়েছে, সেই এলাকারই হওয়ার কথা। হগ ব্যাজার শেরপুরে যেখানে ধরা পড়েছে, এর আশপাশে কোথাও থাকতেই পারে। দিনে মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, রাতে বের হয়। কাজেই এটা এত দিন মানুষের চোখে না পড়া অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোনো প্রাণী যে জায়গায় ধরা পড়ে, সেখানে তার বসবাসের পরিবেশ থাকলে ওই জায়গাটায় ছাড়াটাই উচিত। কিন্তু পরিবেশ না থাকলে অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় ছাড়তে হয়। না হলে আবার মানুষের হাতে ধরা পড়বে। আর আহত হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই সুস্থ করে ছাড়া উচিত। তা ছাড়া যেসব জায়গায় এসব প্রাণী বসবাসের পরিবেশ ছিল, একসময় সেখানে নতুন করে হেবিটেট তৈরি করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এসব ক্ষেত্রে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করাটাও জরুরি।
আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। এই দিনের চাওয়া—ভালো থাকুক দেশের বন্যপ্রাণী, আপন পরিবেশেই সুস্থ থাকুক এরা। আমরা মানুষ একটু উদার হলে এসব প্রাণীকে বোঝার চেষ্টা করলেই আমাদের আশপাশেও টিকে থাকতে পারে এরা।
এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্য প্রাণী। এই মাসের গোড়ার দিকেই যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
৪ মে, শনিবার। শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় লাল মিয়া তাঁর জমিতে একটি বন্যপ্রাণী দেখতে পান। এ ধরনের প্রাণী আগে কখনো দেখেননি তিনি। নাকসহ শরীরের কিছু অংশ শূকরের মতো। আবার বেশ পার্থক্যও আছে। লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেন। তারপর সবাই মিলে ‘অদ্ভুত’ প্রাণীটিকে বেঁধে ফেলেন। সৌভাগ্যক্রমে এটিকে মেরে না ফেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেন তাঁরা। পরে জানা যায় এর আসল পরিচয়, এটি একটি হগ ব্যাজার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন হগ ব্যাজারটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে ছাড়েন।
তিন বছরেরও বেশি আগের একটি ঘটনায় ফিরে যাই। এবারের প্রাণীটির ভাগ্য অবশ্য হগ ব্যাজারটির তুলনায় অনেকই খারাপ ছিল। ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চিতনা গ্রাম। এক ব্যক্তি মারা গেলে কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরদিন সকালে অদ্ভুত চেহারার এক জন্তুকে সেই কবরের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখে এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল, লাশখেকো একটি জন্তুর খোঁজ মিলেছে।
ব্যস, আর যায় কোথায়! ওটাকে ধরে মহাসমারোহে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসী। এতটুকুই তথ্য জোগাড় করেছিলাম পত্রিকা থেকে। যদিও ওখানে প্রাণীটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল গন্ধগোকুল বা খাটাশ হিসেবে। তবে জন্তুটির লোমশ শরীর বলছিল অন্য কথা। দেখে একে বিন্টুরং বা ভামের মতোই মনে হচ্ছিল। পরে ছবি দেখে নিশ্চিত হই ওটা বিন্টুরংই।
কিন্তু শেরপুর শহরে হগ ব্যাজার কিংবা নাসিরনগরের গ্রামীণ বনে বিন্টুরং এল কীভাবে?
শুরুটা করছি হগ ব্যাজার দিয়ে। তার আগে একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। গায়ে-গতের শূূকরাকার ব্যাজাররা মাঝারি। দৈর্ঘ্য ২২-২৬ ইঞ্চি। লেজটা ৫-৬ ইঞ্চি। ওজন ৫-৮ কেজি। নাকটা শূকরের মতো হওয়ায় শূকরাকার ব্যাজার বা হগ ব্যাজার নাম পেয়েছে। তবে দেহের বিভিন্ন অংশ শূকর থেকে অনেকই আলাদা। গাট্টাগোট্টা শরীরে বাদামি লোম থাকে। গলা-মুখ সাদাটে, পিঠের ওপর লম্বা দুটো কালো দাগ। এদের চেহারার সঙ্গে হানি ব্যাজারদেরও বেশ মিল আছে। তবে কথা হলো, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এখন হানি ব্যাজার আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
আশার কথা, হগ ব্যাজার বা শূূকরাকার ব্যাজার বাংলাদেশের বনগুলোতে এখনো অল্পবিস্তর আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার বন-পাহাড়ে। ভাগ্যচক্রে দু-একজন পর্যটক এর দেখাও পেয়ে যান। এমনই একজন প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। হঠাৎ এদের একটার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সীতাকুণ্ডের বন-পাহাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়বকুণ্ড থেকে তীর্থদাম অগ্নিকুণ্ডে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে এক ঝিরিতে গা ভেজাচ্ছেলেন। আচমকা ওটাকে দেখেন। শূকরের মতো মুখ, লোমশ চামড়ার আশ্চর্য এই প্রাণী দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তাঁর। বেচারা আগে কখনো হগ ব্যাজারের কথা শোনেননি। চম্পট দেন ওখান থেকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এর আগেই কাঁপা কাঁপা হাতে দুর্দান্ত দুটি ছবি তুলে ফেলেন ওটার।
হগ ব্যাজাররা মোটামুটি সর্বভুক। ফলমূল, গাছের শিকড়, ছোট জন্তু, মাছ—কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই।
আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামের সূত্রে জানতে পারলাম, দিঘারপাড়ের পরেই বিল আছে। বিলের পর আবার আছে দুটি ইটভাটা। পৌরসভার মধ্যে পড়লেও জায়গাটির পরিবেশ গ্রামীণ। বিভিন্ন বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড় কিংবা গাছপালা আছে। বিলের কাছে বাড়ি-ঘর থাকলেও সেগুলোর চারপাশেও ঝোপঝাড় ও বেশ গাছপালা আছে। এদিকে এই এলাকা থেকে গারো পাহাড় বেশ দূরে। তাহলে আমরা অনুমান করতেই পারি, হগ ব্যাজারটি এখানকার স্থানীয় প্রাণী। হয়তো এ রকম আরও দু-চারটি এখনো সেখানে টিকে আছে।
এবার নাসিরনগরের ওই ভামকাণ্ডে চোখ বোলানো যাক আবার। ভামরা আমি যত দূর জানি সর্বভুক। ওটা যে আসলেই লাশ খেয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। যদিও গ্রামবাসী নিশ্চিত না হয়েই জন্তুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আমরা সত্যি জানি না, যে অপরাধে মারা হয়েছে, তা ওই জন্তুটা করেছে কি না।
কথা হলো, নাসিরনগরে তারা এল কীভাবে? নাসিরনগরের সবচেয়ে কাছের সংরক্ষিত বন সাতছড়ি। তা-ও ওখান থেকে একটি বিন্টুরং অতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে আসাটা স্বাভাবিক নয়! তবে খোঁজ-খবর নিয়ে যত দূর জানতে পেরেছি, নাসিরনগরে কিছু বাঁশ-বন আছে। আর এটা মোটামুটি জানা যে, ভালুকেরা বাঁশবনকে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পছন্দ করে। তাহলে সম্ভবত নাসিরনগরের বাঁশবাগানই ছিল এর আস্তানা। তবে কি সেখানে আরও আছে? নাকি শেষটাকেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছি!
এই নাসিরনগরের বাঁশবনের কথা ভাবতে গিয়েই মনে পড়ল আমার নানাবাড়ি পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরষপুরে প্রচুর বাঁশবন আছে। ওই সব বনের দু-চারটায় আমি ঘোরাফেরাও করেছি বেশ। তাহলে ওই সব বাঁশবাগানেও দু-চারটা বিন্টুরং আছে নাকি! এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটোরে একটা বাঁশভালুক দেখার খবর মিলেছিল।
এবার বিন্টুরং জন্তুটি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন এদের। লোমশ শরীর, গায়ের রং কালো, তবে পা চারটি খাটো। লোমশ লেজটা শুরুর দিকে চওড়া, তারপর ধীরে ধীরে একটু সরু হয়ে শেষ অংশে ভেতরের দিকে কুঁকড়ে গেছে। এই লেজ দিয়ে এরা শক্তভাবে গাছের ডাল বা অন্য যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। চোখ বড়, গোল কান ছোট। সর্বভুক জন্তুটি খুদে স্তন্যপায়ী জন্তু থেকে শুরু করে পাখি, মাছ, ফলমূল সবই খায়। ডুমুর প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে ওপরের দিকে। শাক-সবজি, লতাপাতায়ও আপত্তি নেই। তবে এর মড়াখেকো হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতির খবর খুব একটা জানা নেই।
এবার মেছো বিড়ালদের নিয়ে একটু আলাপ করি। বাংলাদেশের অনেক শহরের সীমানায় এমনকি খোদ ঢাকা শহরের পূর্বাচল এলাকায়ও মেছো বিড়াল এখনো অল্প সংখ্যায় হলো টিকে আছে। তেমনি ঢাকা শহরের সীমানায় অল্প-বিস্তর শিয়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুলও আছে এখনো। বিভিন্ন শহরে ও গ্রামের ঘর-বাড়ির কাছে ছোট বন কিংবা গাছপালা আছে এমন জায়গায় টিকে আছে বনবিড়াল, গন্ধেগোকুল, বাঘডাঁসের মতো প্রাণীরা।
একটা সময় গ্রামীণ বনে, শহরে মানুষের আশপাশে অনেক বন্যপ্রাণীই বিচরণ করত। তখন এত ঝামেলাও হতো না। মানুষ এদের সঙ্গে পরিচিতও ছিল। কিন্তু নগারায়ণের কারণে এসব বন্যপ্রাণী ক্রমেই পিছু হটেছে। অনেকগুলো মানুষের হাতে মারা পড়েছে। কিছু আবার বড় বনের দিকে সরে পড়েছে। তবে এত কিছুর পরও অল্প-বিস্তর বন্যপ্রাণী যে এখনো শহরে বা শহরতলি কিংবা মানুষের বাড়ি-ঘরের আশপাশে কালেভদ্রে দেখা যায়, এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কিন্তু কোনো বন্যপ্রাণীকে আশপাশে দেখলেই মেরে ফেলা তো একেবারেই উচিত নয়। তেমনি সাফারি পার্কে কিংবা কোনো বনে অবমুক্ত করাটাও কি খুব যুক্তিযুক্ত?
একটা জন্তুকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য জায়গায় সরানোটাও তো নিষ্ঠুরতা। আমাদের মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য সব করতে হবে? আমাদের আশপাশে কি বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না?
বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, হগ ব্যাজার যে শুধুই বনে থাকে ব্যাপারটি এমন নয়। গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে, শেরপুরে যেখানে একে পাওয়া যায়, তার আশপাশে হোমস্টেড ফরেস্ট বা গ্রামীণ বন আছে। লাগোয়া বিলও আছে। অচেনা প্রাণী শুধু খুব গহিন বনেই থাকে—এই চিন্তাধারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে কনফ্লিক্টিং।
‘অচেনা’ প্রাণী বাসার পেছনের বাঁশবনেও থাকতে পারে। হগ ব্যাজার একটু ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। বিল, বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বন—সবকিছু মিলিয়ে এই হগ ব্যাজার শেরপুরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলেই মনে হয়। হগ ব্যাজারদের কিন্তু কখনো কখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হলের আশপাশে ঘুরঘুর করতেও দেখা গেছে। এদিকে বাঁশভালুক নাসিরনগর বা আশপাশের এলাকার বাঁশবনে এখনো টিকে থাকা অসম্ভব নয়। বাঁশভালুক নিয়ে বাংলাদেশে সে অর্থে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে বাইরের গবেষণা বলছে, বাড়ির আশপাশের বাঁশবনেও এদের থাকা সম্ভব।
মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মেছো বিড়াল আর বনবিড়ালের কথাও আমাদের চিন্তা করা উচিত। শ্রীমঙ্গলে যেমন কোনো মেছো বিড়াল ধরা পড়লেই এদের বাইক্কার বিলের আশপাশে বা কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ বাইক্কার বিল একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। তেমনি প্রতিটি বনের ধারণক্ষমতা আছে। মেছো বিড়াল, বনবিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের আশপাশের এলাকায়ও থাকার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্কটল্যান্ডে যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওয়াইল্ড ক্যাটেরা; বাংলাদেশের বনবিড়াল, মেছো বিড়াল বা হগ ব্যাজারদের একই অবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কটল্যান্ডের একটি বনে কেবল ১২-১৪টি পিউর ওয়াইল্ড ক্যাট টিকে আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, হগ ব্যাজার-বাঁশভালুকের মতো প্রাণীরা নিজের বাসস্থান ছেড়ে খুব বেশি দূরে যায় না। কাজেই এসব প্রাণী যে এলাকায় ধরা পড়েছে, সেই এলাকারই হওয়ার কথা। হগ ব্যাজার শেরপুরে যেখানে ধরা পড়েছে, এর আশপাশে কোথাও থাকতেই পারে। দিনে মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, রাতে বের হয়। কাজেই এটা এত দিন মানুষের চোখে না পড়া অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোনো প্রাণী যে জায়গায় ধরা পড়ে, সেখানে তার বসবাসের পরিবেশ থাকলে ওই জায়গাটায় ছাড়াটাই উচিত। কিন্তু পরিবেশ না থাকলে অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় ছাড়তে হয়। না হলে আবার মানুষের হাতে ধরা পড়বে। আর আহত হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই সুস্থ করে ছাড়া উচিত। তা ছাড়া যেসব জায়গায় এসব প্রাণী বসবাসের পরিবেশ ছিল, একসময় সেখানে নতুন করে হেবিটেট তৈরি করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এসব ক্ষেত্রে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করাটাও জরুরি।
আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। এই দিনের চাওয়া—ভালো থাকুক দেশের বন্যপ্রাণী, আপন পরিবেশেই সুস্থ থাকুক এরা। আমরা মানুষ একটু উদার হলে এসব প্রাণীকে বোঝার চেষ্টা করলেই আমাদের আশপাশেও টিকে থাকতে পারে এরা।
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে