বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটির সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সংযুক্ত করতে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় ‘জয় বাংলা কনসার্ট’।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই কনসার্টে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো। ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, আরবোভাইরাস, পপাই বাংলাদেশ ও সংগীতশিল্পী অনি হাসান আগেই জানিয়েছে কনসার্টে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এবার এই তালিকায় নাম লেখাল ব্যান্ড শিরোনামহীন, মেঘদল, ইন্দালো, দৃক ও অ্যাভোয়েডরাফা।
জয় বাংলা কনসার্ট বর্জন প্রসঙ্গে ব্যান্ড শিরোনামহীনের ভাষ্য, ‘অনেক প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সবার অবগতির জন্য একটা তথ্য জানাতে চাই—শিরোনামহীন সাত বছর ধরে কোনো জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করেনি। আসলে শিরোনামহীনকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করব, এই তথ্যটাও আপনাদের দিয়ে রাখলাম। যাঁরা নিয়মিত পারফর্ম করতেন, তাঁদের অনেকেই কনসার্টটি বয়কট করেছেন। তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
গত দুই বছর জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করেছে ব্যান্ড মেঘদল। ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তারা এই কনসার্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মেঘদল থেকে জানানো হয়েছে, ‘ছাত্রদের উত্থাপিত ন্যায্য দাবির বিপরীতে সরকারের দমননীতি এবং তৎপরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ এবং পুলিশের গুলিতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও দেশে বিরাজমান নাগরিক অধিকার পরিপন্থী সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণজাগরণে মেঘদল একাত্ম।...দুই বছর ধরে মেঘদল জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করার জন্য ডাক পাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, দেশের এই একমাত্র বড় কনসার্ট আয়োজন সরকারের কর্মকাণ্ডের কারণে তরুণদের কাছে আবেদন হারিয়েছে। মেঘদল তরুণদের এই আবেগকে সম্মান জানিয়ে জয় বাংলা কনসার্টের সামনের আয়োজনগুলো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।’
জয় বাংলা কনসার্ট বর্জন করার পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সব ধরনের গণ-হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে মেঘদল।
মেঘদলের মতো জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করা ব্যান্ড অ্যাভোয়েডরাফাও এই আয়োজন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। অ্যাভোয়েডরাফার ব্যান্ডের পেজে লেখা হয়েছে, ‘জয় বাংলা কনসার্ট আমাদের আনন্দের জায়গা, আমাদের মহান স্বাধীনতা এবং বিজয় উদ্যাপনের জায়গা। কিন্তু আহত হৃদয়, পরাজিত মন কিংবা ভেজা চোখ নিয়ে উদ্যাপন হয় না। করা যায় না। আমরাও পারছি না। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রেখে আমরা অ্যাভোয়েডরাফা জয় বাংলা কনসার্ট থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহার করছি।’
জয় বাংলা কনসার্ট বর্জন করে ব্যান্ড ইন্দালোর ফেসবুক পেজ থেকে লেখা হয়েছে, ‘মেধাভিত্তিক না হয়ে কোটাভিত্তিক হওয়ার জন্যই সম্ভবত আমরা কখনো জয় বাংলা কনসার্টের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। এ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কিংবা দলীয় কনসার্টেই আমরা ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী না। কাজেই জয় বাংলা কনসার্টে আমাদের ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণের কোনো রকম সম্ভাবনা নেই।’
দৃক ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘আমরা দৃক জয় বাংলা কনসার্ট বয়কট করছি বলে বাহবা পেতে চাই না। কারণ, দৃক কখনো আমন্ত্রণই পায়নি। সম্ভাবনাও নাই পাওয়ার। যাঁরা নিয়মিত এ আয়োজনে পারফর্ম করতেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বয়কট করেছেন এবং করছেন। সবার সিদ্ধান্তকেই সাধুবাদ জানাই। এ আয়োজনে যদি ভবিষ্যতে আমাদের আমন্ত্রণ জানানোও হয়, সেটা আমরা গ্রহণ করব না।’
এর আগে ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম না করার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, আরবোভাইরাস, পপাই বাংলাদেশ ও সংগীতশিল্পী অনি হাসান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটির সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সংযুক্ত করতে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় ‘জয় বাংলা কনসার্ট’।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই কনসার্টে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো। ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, আরবোভাইরাস, পপাই বাংলাদেশ ও সংগীতশিল্পী অনি হাসান আগেই জানিয়েছে কনসার্টে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এবার এই তালিকায় নাম লেখাল ব্যান্ড শিরোনামহীন, মেঘদল, ইন্দালো, দৃক ও অ্যাভোয়েডরাফা।
জয় বাংলা কনসার্ট বর্জন প্রসঙ্গে ব্যান্ড শিরোনামহীনের ভাষ্য, ‘অনেক প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সবার অবগতির জন্য একটা তথ্য জানাতে চাই—শিরোনামহীন সাত বছর ধরে কোনো জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করেনি। আসলে শিরোনামহীনকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করব, এই তথ্যটাও আপনাদের দিয়ে রাখলাম। যাঁরা নিয়মিত পারফর্ম করতেন, তাঁদের অনেকেই কনসার্টটি বয়কট করেছেন। তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
গত দুই বছর জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করেছে ব্যান্ড মেঘদল। ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তারা এই কনসার্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মেঘদল থেকে জানানো হয়েছে, ‘ছাত্রদের উত্থাপিত ন্যায্য দাবির বিপরীতে সরকারের দমননীতি এবং তৎপরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ এবং পুলিশের গুলিতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও দেশে বিরাজমান নাগরিক অধিকার পরিপন্থী সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণজাগরণে মেঘদল একাত্ম।...দুই বছর ধরে মেঘদল জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করার জন্য ডাক পাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, দেশের এই একমাত্র বড় কনসার্ট আয়োজন সরকারের কর্মকাণ্ডের কারণে তরুণদের কাছে আবেদন হারিয়েছে। মেঘদল তরুণদের এই আবেগকে সম্মান জানিয়ে জয় বাংলা কনসার্টের সামনের আয়োজনগুলো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।’
জয় বাংলা কনসার্ট বর্জন করার পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সব ধরনের গণ-হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে মেঘদল।
মেঘদলের মতো জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম করা ব্যান্ড অ্যাভোয়েডরাফাও এই আয়োজন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। অ্যাভোয়েডরাফার ব্যান্ডের পেজে লেখা হয়েছে, ‘জয় বাংলা কনসার্ট আমাদের আনন্দের জায়গা, আমাদের মহান স্বাধীনতা এবং বিজয় উদ্যাপনের জায়গা। কিন্তু আহত হৃদয়, পরাজিত মন কিংবা ভেজা চোখ নিয়ে উদ্যাপন হয় না। করা যায় না। আমরাও পারছি না। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রেখে আমরা অ্যাভোয়েডরাফা জয় বাংলা কনসার্ট থেকে আমাদের নাম প্রত্যাহার করছি।’
জয় বাংলা কনসার্ট বর্জন করে ব্যান্ড ইন্দালোর ফেসবুক পেজ থেকে লেখা হয়েছে, ‘মেধাভিত্তিক না হয়ে কোটাভিত্তিক হওয়ার জন্যই সম্ভবত আমরা কখনো জয় বাংলা কনসার্টের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। এ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কিংবা দলীয় কনসার্টেই আমরা ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী না। কাজেই জয় বাংলা কনসার্টে আমাদের ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণের কোনো রকম সম্ভাবনা নেই।’
দৃক ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘আমরা দৃক জয় বাংলা কনসার্ট বয়কট করছি বলে বাহবা পেতে চাই না। কারণ, দৃক কখনো আমন্ত্রণই পায়নি। সম্ভাবনাও নাই পাওয়ার। যাঁরা নিয়মিত এ আয়োজনে পারফর্ম করতেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বয়কট করেছেন এবং করছেন। সবার সিদ্ধান্তকেই সাধুবাদ জানাই। এ আয়োজনে যদি ভবিষ্যতে আমাদের আমন্ত্রণ জানানোও হয়, সেটা আমরা গ্রহণ করব না।’
এর আগে ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে জয় বাংলা কনসার্টে পারফর্ম না করার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, আরবোভাইরাস, পপাই বাংলাদেশ ও সংগীতশিল্পী অনি হাসান।
সারা বছর ঝিমিয়ে থাকলেও ঈদের সময় চাঙা হয়ে ওঠে দেশের সিনেমা হলগুলো। নির্মাতা ও প্রযোজকেরা দুই ঈদ ঘিরে সিনেমা বানাতে চান। রোজার ঈদের এখনো সাড়ে চার মাস বাকি, এরই মধ্যে ঈদের সিনেমা নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, রোজার ঈদে নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন শাকিব খান, আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেতরুণ রক মিউজিশিয়ানদের খোঁজে শুরু হচ্ছে ট্যালেন্ট হান্ট রিয়েলিটি শো ‘দ্য কেইজ’। অনলাইন অডিশনের মাধ্যমে ‘দ্য কেইজ’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। শীর্ষ ১০০ প্রার্থী সরাসরি অডিশনের জন্য নির্বাচিত হবেন।
২ ঘণ্টা আগেপ্রায় আট বছর পর ‘লাল গোলাপ’ অনুষ্ঠান নিয়ে ফিরছেন সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমান। এরই মধ্যে দুই পর্বের শুটিংও শেষ করেছেন, যা সম্প্রচার হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগে