বিনোদন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে জীবনাবসান হলো বৃটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ৭০ বছর রাজত্ব করেছেন তিনি। রাজকার্য পরিচালনার পাশাপাশি এলিজাবেথের নানা দিকে আগ্রহ ছিল। যার মধ্যে অন্যতম হল সিনেমা। তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের নানা অধ্যায় গল্পের আকারে বারবার উঠে এসেছে পর্দায়। রাজ পরিবারের উপর তৈরি কিছু সিনেমা ও সিরিজেও পাওয়া গেছে তাঁকে।
দ্য ক্যুইন
২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল স্টিফেন ফ্রেয়ার্সের ‘দ্য ক্যুইন’। এই সিনেমায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী হেলেন মিরেনকে। রানির চরিত্রে অভিনয় করে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ও ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান অভিনেত্রী। ‘দ্য অডিয়েন্স’ সিনেমাতেও তিনি রানির চরিত্রে অভিনয় করেন। রানি প্রথম এলিজাবেথের চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন হেলেন। ২০০৫ সালে টিভি সিরিজ ‘ফার্স্ট এলিজাবেথ’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হেলেনই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি দুই এলিজাবেথের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন।
দ্য ক্রাউন
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য ক্রাউন’ সিরিজে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লেয়ার ফয়। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এই টিভি সিরিজেই ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রানির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অলিভিয়া কোলম্যানকে। রানির চরিত্রে অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন অলিভিয়া। অলিভিয়ার হাতে ওঠে এমি পুরস্কারও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবন সুকৌশলে তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। বলা হয়, এটি এই সময়ের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজগুলোর একটি।
দ্য ম্যাজেস্টিক লাইফ অব এলিজাবেথ টু
রানির শৈশব থেকে তার রাজত্বকাল— এই তথ্যচিত্রে তার জীবনের সব অধ্যায় সম্পর্কেই আগ্রহীদের কৌতুহল মিটবে। তার সঙ্গেই আছে বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার। রানির এমন অনেক দৃশ্য দেখানো হয়েছে যা আগে কোথাও প্রকাশ পায়নি। এমন ফুটেজ এতদিন পর কিভাবে এই তথ্যচিত্রের নির্মাতাদের হাতে এলো সেটা নিয়েও রয়েছে বিস্তর আলোচনা।
প্রিন্স ফিলিপ: অ্যান এক্সট্রা অর্ডিনারি লাইফ
প্রিন্স ফিলিপের জীবনী নিয়ে তৈরি এই সিনেমাতে রানি সম্পর্কেও নানা তথ্য মিলেছে। প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন গ্রিসের এক রাজপরিবারের সন্তান। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় তার পরিবারকে। আশ্রয় মেলে ইংল্যান্ডে। নৌবাহিনীর ক্যাডেট হিসেবে মন জয় করেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত রাণী প্রিন্সেস এলিজাবেথের। প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথের প্রথম দেখা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে। তখন প্রিন্সেস এলিজাবেথের বয়স মাত্র ১৩। রাজা ষষ্ঠ জর্জ এসেছিলেন ডার্টমুথ কলেজ সফরে। সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেট। তখন প্রিন্স ফিলিপ সেখানে নৌবাহিনীর এক তরুণ ক্যাডেট। এই দুজনকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয় প্রিন্স ফিলিপের ওপর। সুদর্শন প্রিন্স ফিলিপ এই সময় প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে গভীর ছাপ রাখতে সক্ষম হন। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেম এবং চিঠি চালাচালি শুরু হয়। প্রিন্স ফিলিপ বেশ কয়েকবার রাজপরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য আমন্ত্রিত হন। সেসময় প্রিন্সেস এলিজাবেথের ড্রেসিং টেবিলে শোভা পেত প্রিন্স ফিলিপের ছবি। ১৯৪৩ সালে প্রিন্স ফিলিপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাদের বিয়েতে রাজপরিবারের কেউ কেউ আপত্তি তুলেছিলেন। গোল বেধেছিল জাতীয়তা নিয়েও। তাঁদের এনগেজমেন্টের আগে প্রিন্স ফিলিপকে তাঁর গ্রিসের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয় এবং ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণের পর তিনি তার নাম পাল্টে মাউন্টব্যাটেন রাখেন। এটি ছিল তার মামাদের দিকের পদবি। প্রিন্স ফিলিপ ও রানির জীবনের এমন অনেক কিছুই উঠে এসেছে এই সিনেমায়।
এলিজাবেথ অ্যান্ড মার্গারেট: লাভ অ্যান্ড লয়্য়ালটি
এক দেশে ছিল এক রাজা আর রানি। তাদের ছিল দুই রাজকন্যা। রাজা তার দুই কন্যাকেই প্রচণ্ড ভালোবাসতেন......। রাজা রানির রূপকথার গল্প জড়িয়ে আছে আমাদের শৈশবের স্মৃতিতে। তবে শুধু রূপকথাই নয় বাস্তবেও ছিলেন এমন রাজা। তার দুই কন্যা ছিল তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। এক কন্যা তার গর্ব আর অন্যজন তার আনন্দ। রাজা ষষ্ঠ জর্জের মতামত ছিল এমনই। রাজা ষষ্ঠ জর্জের বড় কন্যা দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ছোট কন্যা মার্গারেট। রাজ পরিবারের সদস্য হয়েও সিংহাসন দূরেই থেকে যায় বেশির ভাগের কাছে। রাজা ষষ্ঠ জর্জের ছোট কন্যা রাজকুমারী মার্গারেটও আজীবন ছিলেন সেই দলে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বোন ছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র। তার বর্ণময় জীবন সবসময়েই ছিল বড় বোন দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছায়ায় ঢাকা। ৭১ বছর বয়সে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান নানা নেশায় আশক্ত প্রিন্সেস মার্গারেট। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তার বোন মার্গারেটের সম্পর্ক কেমন ছিল জানতে চান? তবে দেখে নিতে পারেন এই তথ্যচিত্র।
আওয়ার কুইন অ্যাট ওয়ার
রানিকে নিয়ে এটি একটি ডকুফিল্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রানি ছিলেন তরুণী। সেই সময়ে তিনি কীভাবে যুক্ত ছিলেন, তার ভূমিকা কী ছিলো- এটি নিয়েই এই ডকুফিল্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ সেনাদের সাহায্য করেছিলেন রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নারী শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্স ও ট্রাকও চালান প্রয়োজনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে, রানি এলিজাবেথ ও রাজা ষষ্ঠ জর্জের উৎসাহে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রিন্সেস এলিজাবেথ দ্বিতীয়। সেই সময় যুদ্ধের জেরে ঘর ছাড়া হয়েছিলেন ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ছিলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন ব্রিটেনের দুই রাজকন্যা মার্গারেট ও এলিজাবেথ দ্বিতীয়। তাঁর মতো অসংখ্য শিশুদের সাহস জোগাতে ১৩ বছরের এলিজাবেথ দ্বিতীয় বিবিসির চিল্ড্রেনস আওয়ারে বক্তব্য রাখেন। সেটাই ছিল তাঁর প্রথম ভাষণ। উইন্ডসল ক্যাসোল থেকে তিনি বক্তব্য রাখেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাওয়া তাঁদের দুই বোনের কথা বলেন। ব্রিটেনের অসংখ্য শিশু সঙ্গে তিনি একাত্ম বোধ করেন। তিনি শরণার্থী হয়ে যাওয়া, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা হয়ে যাওয়া শিশুদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। অল্প কিছু মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নারী বিভাগে জুনিয়র কমান্ডোর হিসেবে উন্নীত হয়েছিলেন। তিনি সেই সময় প্রয়োজনে গাড়ি মেরামতের কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। এমন অনেককিছুর তথ্য পাওয়া যায় এই ডকুফিল্মে।
দ্য রয়্যাল হাউস অব উইন্ডসর
রাজপরিবারের ১০০ বছরের ইতিহাস ছয়টি এপিসোডে ভাগ করে দেখানো হয়েছে। পৃথিবীর মানুষের কাছে এটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
দ্য কিংস স্পিচ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে অস্কারজয়ী এই সিনেমার গল্প। ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাজা ষষ্ঠ জর্জের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রেডিও ভাষণের মাধ্যমে তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ব্যপারটা সহজ মনে হলেও সহজ ছিল না। কারণ রাজা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারতেন না, তোতলামির কারণে তাকে বেশ বেগ পেতে হতো কথা বলতে। তাই রাজার স্পিচ থেরাপিস্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয় লিওনেল লগকে। তিনি কাজ শুরু করেন, ধীরে ধীরে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে থাকেন রাজা এবং রেডিওতে বলিষ্ঠ এবং সুস্পষ্টভাবে বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় এলিজাবেথের শৈশব কেমন ছিল, এই সিনেমা দেখে তা জানতে পারবেন। রানির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রেয়া উইলসন।
এছাড়াও ২০১২ সালে ‘প্লেহাউস প্রেজেন্টস’ সিরিজে রানির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী এমা থম্পসনকে। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘রয়্যাল কোরগি’। এই সিনেমাতে রানির চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জুলিয়া ওয়াল্টার্স। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে একাধিক সিনেমাতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী জিনেট চার্লসকে। ‘এলিজাবেথ- অ্য পোট্রেট ইন পার্টস’, ‘রয়াল ফ্যামিলি’- এর মতো ডকুমেন্টারিতে বিস্তারিত জানা যায় রানিকে নিয়ে।
বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে জীবনাবসান হলো বৃটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ৭০ বছর রাজত্ব করেছেন তিনি। রাজকার্য পরিচালনার পাশাপাশি এলিজাবেথের নানা দিকে আগ্রহ ছিল। যার মধ্যে অন্যতম হল সিনেমা। তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের নানা অধ্যায় গল্পের আকারে বারবার উঠে এসেছে পর্দায়। রাজ পরিবারের উপর তৈরি কিছু সিনেমা ও সিরিজেও পাওয়া গেছে তাঁকে।
দ্য ক্যুইন
২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল স্টিফেন ফ্রেয়ার্সের ‘দ্য ক্যুইন’। এই সিনেমায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী হেলেন মিরেনকে। রানির চরিত্রে অভিনয় করে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ও ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান অভিনেত্রী। ‘দ্য অডিয়েন্স’ সিনেমাতেও তিনি রানির চরিত্রে অভিনয় করেন। রানি প্রথম এলিজাবেথের চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন হেলেন। ২০০৫ সালে টিভি সিরিজ ‘ফার্স্ট এলিজাবেথ’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হেলেনই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি দুই এলিজাবেথের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন।
দ্য ক্রাউন
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য ক্রাউন’ সিরিজে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লেয়ার ফয়। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এই টিভি সিরিজেই ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রানির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অলিভিয়া কোলম্যানকে। রানির চরিত্রে অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন অলিভিয়া। অলিভিয়ার হাতে ওঠে এমি পুরস্কারও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবন সুকৌশলে তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। বলা হয়, এটি এই সময়ের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজগুলোর একটি।
দ্য ম্যাজেস্টিক লাইফ অব এলিজাবেথ টু
রানির শৈশব থেকে তার রাজত্বকাল— এই তথ্যচিত্রে তার জীবনের সব অধ্যায় সম্পর্কেই আগ্রহীদের কৌতুহল মিটবে। তার সঙ্গেই আছে বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার। রানির এমন অনেক দৃশ্য দেখানো হয়েছে যা আগে কোথাও প্রকাশ পায়নি। এমন ফুটেজ এতদিন পর কিভাবে এই তথ্যচিত্রের নির্মাতাদের হাতে এলো সেটা নিয়েও রয়েছে বিস্তর আলোচনা।
প্রিন্স ফিলিপ: অ্যান এক্সট্রা অর্ডিনারি লাইফ
প্রিন্স ফিলিপের জীবনী নিয়ে তৈরি এই সিনেমাতে রানি সম্পর্কেও নানা তথ্য মিলেছে। প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন গ্রিসের এক রাজপরিবারের সন্তান। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় তার পরিবারকে। আশ্রয় মেলে ইংল্যান্ডে। নৌবাহিনীর ক্যাডেট হিসেবে মন জয় করেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত রাণী প্রিন্সেস এলিজাবেথের। প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথের প্রথম দেখা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে। তখন প্রিন্সেস এলিজাবেথের বয়স মাত্র ১৩। রাজা ষষ্ঠ জর্জ এসেছিলেন ডার্টমুথ কলেজ সফরে। সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেট। তখন প্রিন্স ফিলিপ সেখানে নৌবাহিনীর এক তরুণ ক্যাডেট। এই দুজনকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয় প্রিন্স ফিলিপের ওপর। সুদর্শন প্রিন্স ফিলিপ এই সময় প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে গভীর ছাপ রাখতে সক্ষম হন। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেম এবং চিঠি চালাচালি শুরু হয়। প্রিন্স ফিলিপ বেশ কয়েকবার রাজপরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য আমন্ত্রিত হন। সেসময় প্রিন্সেস এলিজাবেথের ড্রেসিং টেবিলে শোভা পেত প্রিন্স ফিলিপের ছবি। ১৯৪৩ সালে প্রিন্স ফিলিপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাদের বিয়েতে রাজপরিবারের কেউ কেউ আপত্তি তুলেছিলেন। গোল বেধেছিল জাতীয়তা নিয়েও। তাঁদের এনগেজমেন্টের আগে প্রিন্স ফিলিপকে তাঁর গ্রিসের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয় এবং ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণের পর তিনি তার নাম পাল্টে মাউন্টব্যাটেন রাখেন। এটি ছিল তার মামাদের দিকের পদবি। প্রিন্স ফিলিপ ও রানির জীবনের এমন অনেক কিছুই উঠে এসেছে এই সিনেমায়।
এলিজাবেথ অ্যান্ড মার্গারেট: লাভ অ্যান্ড লয়্য়ালটি
এক দেশে ছিল এক রাজা আর রানি। তাদের ছিল দুই রাজকন্যা। রাজা তার দুই কন্যাকেই প্রচণ্ড ভালোবাসতেন......। রাজা রানির রূপকথার গল্প জড়িয়ে আছে আমাদের শৈশবের স্মৃতিতে। তবে শুধু রূপকথাই নয় বাস্তবেও ছিলেন এমন রাজা। তার দুই কন্যা ছিল তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। এক কন্যা তার গর্ব আর অন্যজন তার আনন্দ। রাজা ষষ্ঠ জর্জের মতামত ছিল এমনই। রাজা ষষ্ঠ জর্জের বড় কন্যা দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ছোট কন্যা মার্গারেট। রাজ পরিবারের সদস্য হয়েও সিংহাসন দূরেই থেকে যায় বেশির ভাগের কাছে। রাজা ষষ্ঠ জর্জের ছোট কন্যা রাজকুমারী মার্গারেটও আজীবন ছিলেন সেই দলে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বোন ছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র। তার বর্ণময় জীবন সবসময়েই ছিল বড় বোন দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছায়ায় ঢাকা। ৭১ বছর বয়সে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান নানা নেশায় আশক্ত প্রিন্সেস মার্গারেট। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তার বোন মার্গারেটের সম্পর্ক কেমন ছিল জানতে চান? তবে দেখে নিতে পারেন এই তথ্যচিত্র।
আওয়ার কুইন অ্যাট ওয়ার
রানিকে নিয়ে এটি একটি ডকুফিল্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রানি ছিলেন তরুণী। সেই সময়ে তিনি কীভাবে যুক্ত ছিলেন, তার ভূমিকা কী ছিলো- এটি নিয়েই এই ডকুফিল্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ সেনাদের সাহায্য করেছিলেন রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নারী শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্স ও ট্রাকও চালান প্রয়োজনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে, রানি এলিজাবেথ ও রাজা ষষ্ঠ জর্জের উৎসাহে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রিন্সেস এলিজাবেথ দ্বিতীয়। সেই সময় যুদ্ধের জেরে ঘর ছাড়া হয়েছিলেন ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ছিলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন ব্রিটেনের দুই রাজকন্যা মার্গারেট ও এলিজাবেথ দ্বিতীয়। তাঁর মতো অসংখ্য শিশুদের সাহস জোগাতে ১৩ বছরের এলিজাবেথ দ্বিতীয় বিবিসির চিল্ড্রেনস আওয়ারে বক্তব্য রাখেন। সেটাই ছিল তাঁর প্রথম ভাষণ। উইন্ডসল ক্যাসোল থেকে তিনি বক্তব্য রাখেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাওয়া তাঁদের দুই বোনের কথা বলেন। ব্রিটেনের অসংখ্য শিশু সঙ্গে তিনি একাত্ম বোধ করেন। তিনি শরণার্থী হয়ে যাওয়া, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা হয়ে যাওয়া শিশুদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। অল্প কিছু মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নারী বিভাগে জুনিয়র কমান্ডোর হিসেবে উন্নীত হয়েছিলেন। তিনি সেই সময় প্রয়োজনে গাড়ি মেরামতের কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। এমন অনেককিছুর তথ্য পাওয়া যায় এই ডকুফিল্মে।
দ্য রয়্যাল হাউস অব উইন্ডসর
রাজপরিবারের ১০০ বছরের ইতিহাস ছয়টি এপিসোডে ভাগ করে দেখানো হয়েছে। পৃথিবীর মানুষের কাছে এটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
দ্য কিংস স্পিচ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে অস্কারজয়ী এই সিনেমার গল্প। ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাজা ষষ্ঠ জর্জের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রেডিও ভাষণের মাধ্যমে তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ব্যপারটা সহজ মনে হলেও সহজ ছিল না। কারণ রাজা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারতেন না, তোতলামির কারণে তাকে বেশ বেগ পেতে হতো কথা বলতে। তাই রাজার স্পিচ থেরাপিস্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয় লিওনেল লগকে। তিনি কাজ শুরু করেন, ধীরে ধীরে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে থাকেন রাজা এবং রেডিওতে বলিষ্ঠ এবং সুস্পষ্টভাবে বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় এলিজাবেথের শৈশব কেমন ছিল, এই সিনেমা দেখে তা জানতে পারবেন। রানির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রেয়া উইলসন।
এছাড়াও ২০১২ সালে ‘প্লেহাউস প্রেজেন্টস’ সিরিজে রানির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী এমা থম্পসনকে। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘রয়্যাল কোরগি’। এই সিনেমাতে রানির চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জুলিয়া ওয়াল্টার্স। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চরিত্রে একাধিক সিনেমাতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী জিনেট চার্লসকে। ‘এলিজাবেথ- অ্য পোট্রেট ইন পার্টস’, ‘রয়াল ফ্যামিলি’- এর মতো ডকুমেন্টারিতে বিস্তারিত জানা যায় রানিকে নিয়ে।
সারা বছর ঝিমিয়ে থাকলেও ঈদের সময় চাঙা হয়ে ওঠে দেশের সিনেমা হলগুলো। নির্মাতা ও প্রযোজকেরা দুই ঈদ ঘিরে সিনেমা বানাতে চান। রোজার ঈদের এখনো সাড়ে চার মাস বাকি, এরই মধ্যে ঈদের সিনেমা নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, রোজার ঈদে নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন শাকিব খান, আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ।
৬ ঘণ্টা আগেতরুণ রক মিউজিশিয়ানদের খোঁজে শুরু হচ্ছে ট্যালেন্ট হান্ট রিয়েলিটি শো ‘দ্য কেইজ’। অনলাইন অডিশনের মাধ্যমে ‘দ্য কেইজ’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। শীর্ষ ১০০ প্রার্থী সরাসরি অডিশনের জন্য নির্বাচিত হবেন।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রায় আট বছর পর ‘লাল গোলাপ’ অনুষ্ঠান নিয়ে ফিরছেন সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমান। এরই মধ্যে দুই পর্বের শুটিংও শেষ করেছেন, যা সম্প্রচার হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগে