অনলাইন ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে পুওর থিংস, সল্টবার্ন এবং অল অব আস স্ট্রেঞ্জারস–এর মতো চলচ্চিত্রকে পর্দায় যৌনতার পুনরুজ্জীবন হিসেবে চিহ্নিত করছেন দর্শক ও সমালোচকেরা। কিন্তু সিনেমাগুলো জেড জেনারেশনের (১৯৯৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) দর্শকদের তেমন প্রেক্ষাগৃহে টানতে পারেনি। চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিললেও জেনারেশন জেডের এই অনাগ্রহ কিছুটা ধাঁধা তৈরি করেছে।
সে যাই হোক, নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, হলিউডের সিনেমায় যৌন দৃশ্য দেখানোর প্রবণতা দ্রুত কমছে। চলতি সহস্রাব্দের (২০০০ সাল) শুরুর তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান ও আলোচিত চলচ্চিত্রগুলোতে প্রায় ৪০ শতাংশ কম যৌন দৃশ্য রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ডেটা বিশ্লেষক স্টিফেন ফলোস এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৫০টি করে সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোতে যৌন দৃশ্যের পরিমাণ ২০০০ সালে শীর্ষ আয় করা ২৫০ সিনেমায় যত যৌন দৃশ্য দেখানো হয়েছে তার ৬০ শতাংশের কিছু বেশি ছিল। জনার (ধরন) অনুসারে, অ্যাকশন সিনেমাগুলোতে যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৭০ শতাংশ)। তবে রোমান্টিক চলচ্চিত্রগুলোতে এই পরিবর্তন এসেছে খুব কম—মাত্র ২০ শতাংশের কিছু কম।
একই সময়ে, যৌন বিষয়বস্তু ছাড়াই শীর্ষ আয়কারী চলচ্চিত্রের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০০০ সালে এমন চলচ্চিত্র ছিল প্রায় ১৮ শতাংশ, ২০২৩ সালে এই অনুপাত বেড়ে ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ কোনো ধরনের যৌন দৃশ্য দেখানো ছাড়াই অনেক সিনেমা এখন ভালো ব্যবসা করছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে সিনেমায় যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো একটিও যৌন দৃশ্য নেই এমন সিনেমায় সংখ্যা বেড়েছে। এই ধরনের সিনেমায় সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১৯ সালে। এ বছর শীর্ষ আয় করা ২৫০ সিনেমার অর্ধেকেই কোনো যৌন দৃশ্য ছিল না। যৌন দৃশ্য শূন্য সিনেমার সংখ্যা গত বছর কিছুটা বাড়লেও সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার ৪৬ শতাংশই ছিল এমন।
ফলোসের প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যৌন দৃশ্যের এই হ্রাসের সবচেয়ে বড় অনুঘটক—শুধু পর্দায় কম যৌন দৃশ্য দেখানোই নয়, আনুপাতিকভাবে কম সিনেমায়ও এখন যৌন দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে পুওর থিংসের মতো চলচ্চিত্র নিয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এমা স্টোন অভিনীত এই সিনেমায় প্রচুর যৌন দৃশ্য রয়েছে। পাশাপাশি রোসামুন্ড পাইক অভিনীত সল্টবার্নের একটি ‘স্নানের দৃশ্য’ নিয়েও ব্যাপক আলোচনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সিনেমায় যৌন দৃশ্য কমলেও অন্যান্য তথাকথিত ‘আপত্তিকর’ বিষয় সিনেমায় দেখানোর প্রবণতা একই হারে কমছে না। যেমন, চলচ্চিত্রে গালিগালাজ বা অশ্লীল শব্দের ব্যবহার, মাদকের ব্যবহার এবং সহিংসতা ২০০০ সালের মতো প্রায় একই স্তরে রয়েছে। এর মধ্যে সহিংস দৃশ্য দেখানোর প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে।
সিনেমায় যৌন দৃশ্য কম দেখানোর পেছনে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন গবেষক স্টিফেন ফলোস। এর মধ্যে দর্শকদের রুচির পরিবর্তন অন্যতম। এখন নির্মাতারা কনটেন্ট বা গল্প ও উপস্থাপনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। যৌন দৃশ্য সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে বা আরও দক্ষতা ও চালাকির সঙ্গে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
চলচ্চিত্রের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যের কারণে সিনেমা মুক্তির সময় যৌন দৃশ্য নিয়ে উদ্বেগ বড় হয়ে ওঠে। কারণ কিছু দেশে এমন দৃশ্য সেন্সরের মুখে পড়তে পারে বা শুধু এ কারণেই সিনেমা মুক্তিই বাধার মুখে পড়তে পারে। এ ছাড়া সব বয়সের দর্শক টানতে যাতে কোনো বাধা না থাকে সে জন্য নির্দিষ্ট রেটিংয়ের সিনেমা বানানো হচ্ছে না। কারণ এতে নির্দিষ্ট বয়স বা শ্রেণির দর্শক কমে যেতে পারে।
চলচ্চিত্রে এখনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সমন্বয় ও পরিচালনার জন্য পেশাদারের অনেক সংকট রয়েছে। ফলোসের আগের একটি বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২০ সাল থেকে সিনেমায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সমন্বয়কারীর অংশগ্রহণ আট গুণ বেড়েছে। যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার পেছনে এই সমন্বয়কারীদের প্রভাবও বড় ভূমিকা রাখছে।
হলিউডের সিনেমায় যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে আরেকটি বিষয়কে সামনে এনেছেন স্টিফেন ফলোস। তাঁর মতে, জেনারেশন জেড এখন যৌনতায় আগ্রহ কম দেখাচ্ছে। সেই সঙ্গে অনলাইনে পর্নো ছবি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট দেখার জন্য মানুষ সিনেমা দেখতে যায় না।
সাম্প্রতিক সময়ে পুওর থিংস, সল্টবার্ন এবং অল অব আস স্ট্রেঞ্জারস–এর মতো চলচ্চিত্রকে পর্দায় যৌনতার পুনরুজ্জীবন হিসেবে চিহ্নিত করছেন দর্শক ও সমালোচকেরা। কিন্তু সিনেমাগুলো জেড জেনারেশনের (১৯৯৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) দর্শকদের তেমন প্রেক্ষাগৃহে টানতে পারেনি। চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিললেও জেনারেশন জেডের এই অনাগ্রহ কিছুটা ধাঁধা তৈরি করেছে।
সে যাই হোক, নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, হলিউডের সিনেমায় যৌন দৃশ্য দেখানোর প্রবণতা দ্রুত কমছে। চলতি সহস্রাব্দের (২০০০ সাল) শুরুর তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান ও আলোচিত চলচ্চিত্রগুলোতে প্রায় ৪০ শতাংশ কম যৌন দৃশ্য রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ডেটা বিশ্লেষক স্টিফেন ফলোস এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৫০টি করে সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোতে যৌন দৃশ্যের পরিমাণ ২০০০ সালে শীর্ষ আয় করা ২৫০ সিনেমায় যত যৌন দৃশ্য দেখানো হয়েছে তার ৬০ শতাংশের কিছু বেশি ছিল। জনার (ধরন) অনুসারে, অ্যাকশন সিনেমাগুলোতে যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৭০ শতাংশ)। তবে রোমান্টিক চলচ্চিত্রগুলোতে এই পরিবর্তন এসেছে খুব কম—মাত্র ২০ শতাংশের কিছু কম।
একই সময়ে, যৌন বিষয়বস্তু ছাড়াই শীর্ষ আয়কারী চলচ্চিত্রের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০০০ সালে এমন চলচ্চিত্র ছিল প্রায় ১৮ শতাংশ, ২০২৩ সালে এই অনুপাত বেড়ে ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ কোনো ধরনের যৌন দৃশ্য দেখানো ছাড়াই অনেক সিনেমা এখন ভালো ব্যবসা করছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে সিনেমায় যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো একটিও যৌন দৃশ্য নেই এমন সিনেমায় সংখ্যা বেড়েছে। এই ধরনের সিনেমায় সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১৯ সালে। এ বছর শীর্ষ আয় করা ২৫০ সিনেমার অর্ধেকেই কোনো যৌন দৃশ্য ছিল না। যৌন দৃশ্য শূন্য সিনেমার সংখ্যা গত বছর কিছুটা বাড়লেও সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার ৪৬ শতাংশই ছিল এমন।
ফলোসের প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যৌন দৃশ্যের এই হ্রাসের সবচেয়ে বড় অনুঘটক—শুধু পর্দায় কম যৌন দৃশ্য দেখানোই নয়, আনুপাতিকভাবে কম সিনেমায়ও এখন যৌন দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে পুওর থিংসের মতো চলচ্চিত্র নিয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এমা স্টোন অভিনীত এই সিনেমায় প্রচুর যৌন দৃশ্য রয়েছে। পাশাপাশি রোসামুন্ড পাইক অভিনীত সল্টবার্নের একটি ‘স্নানের দৃশ্য’ নিয়েও ব্যাপক আলোচনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সিনেমায় যৌন দৃশ্য কমলেও অন্যান্য তথাকথিত ‘আপত্তিকর’ বিষয় সিনেমায় দেখানোর প্রবণতা একই হারে কমছে না। যেমন, চলচ্চিত্রে গালিগালাজ বা অশ্লীল শব্দের ব্যবহার, মাদকের ব্যবহার এবং সহিংসতা ২০০০ সালের মতো প্রায় একই স্তরে রয়েছে। এর মধ্যে সহিংস দৃশ্য দেখানোর প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে।
সিনেমায় যৌন দৃশ্য কম দেখানোর পেছনে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন গবেষক স্টিফেন ফলোস। এর মধ্যে দর্শকদের রুচির পরিবর্তন অন্যতম। এখন নির্মাতারা কনটেন্ট বা গল্প ও উপস্থাপনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। যৌন দৃশ্য সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে বা আরও দক্ষতা ও চালাকির সঙ্গে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
চলচ্চিত্রের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যের কারণে সিনেমা মুক্তির সময় যৌন দৃশ্য নিয়ে উদ্বেগ বড় হয়ে ওঠে। কারণ কিছু দেশে এমন দৃশ্য সেন্সরের মুখে পড়তে পারে বা শুধু এ কারণেই সিনেমা মুক্তিই বাধার মুখে পড়তে পারে। এ ছাড়া সব বয়সের দর্শক টানতে যাতে কোনো বাধা না থাকে সে জন্য নির্দিষ্ট রেটিংয়ের সিনেমা বানানো হচ্ছে না। কারণ এতে নির্দিষ্ট বয়স বা শ্রেণির দর্শক কমে যেতে পারে।
চলচ্চিত্রে এখনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সমন্বয় ও পরিচালনার জন্য পেশাদারের অনেক সংকট রয়েছে। ফলোসের আগের একটি বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২০ সাল থেকে সিনেমায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সমন্বয়কারীর অংশগ্রহণ আট গুণ বেড়েছে। যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার পেছনে এই সমন্বয়কারীদের প্রভাবও বড় ভূমিকা রাখছে।
হলিউডের সিনেমায় যৌন দৃশ্য কমে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে আরেকটি বিষয়কে সামনে এনেছেন স্টিফেন ফলোস। তাঁর মতে, জেনারেশন জেড এখন যৌনতায় আগ্রহ কম দেখাচ্ছে। সেই সঙ্গে অনলাইনে পর্নো ছবি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট দেখার জন্য মানুষ সিনেমা দেখতে যায় না।
বহুদিন ধরে বলিউড পাড়ায় গুঞ্জন চলছিল ভাঙতে বসেছে মাইলাকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরের প্রেম। অবশেষে গুঞ্জনে সিলমোহর দেন অর্জুন, জানান তিনি সিঙ্গেল। এর কিছুদিন পর ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে মালাইকার একটি ভিডিও। সেই ভিডিও নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ভক্ত-অনুরাগীদের। ভিডিওতে কি বলেছিলেন এই ফিটনেস কুইন?
২ ঘণ্টা আগেসারা বছর ঝিমিয়ে থাকলেও ঈদের সময় চাঙা হয়ে ওঠে দেশের সিনেমা হলগুলো। নির্মাতা ও প্রযোজকেরা দুই ঈদ ঘিরে সিনেমা বানাতে চান। রোজার ঈদের এখনো সাড়ে চার মাস বাকি, এরই মধ্যে ঈদের সিনেমা নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, রোজার ঈদে নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন শাকিব খান, আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ।
৯ ঘণ্টা আগেতরুণ রক মিউজিশিয়ানদের খোঁজে শুরু হচ্ছে ট্যালেন্ট হান্ট রিয়েলিটি শো ‘দ্য কেইজ’। অনলাইন অডিশনের মাধ্যমে ‘দ্য কেইজ’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। শীর্ষ ১০০ প্রার্থী সরাসরি অডিশনের জন্য নির্বাচিত হবেন।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রায় আট বছর পর ‘লাল গোলাপ’ অনুষ্ঠান নিয়ে ফিরছেন সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমান। এরই মধ্যে দুই পর্বের শুটিংও শেষ করেছেন, যা সম্প্রচার হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে।
৯ ঘণ্টা আগে