বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজনা করেছে কালজয়ী নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক ‘কবর’। গতকাল বুধবার কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো. মোস্তফা আমীন ও শংকর কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও এবং নাট্যকার ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস।
গোপনে রাতে আঁধারে, ভাষার দাবিতে নিহত আন্দোলনকারীদের লাশ দাফন করাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে ‘কবর’ নাটকের প্রেক্ষাপট। পুরো ঘটনাই গোরস্থানের ভেতরে সংঘটিত হয়েছে। নেতা আর ইন্সপেক্টর হাফিজের অর্ধ-মাতাল অবস্থায় সংলাপের মধ্য দিয়ে নাটকটি সামনের দিকে আগাতে থাকে।
এর মধ্যে অশরীরী আত্মার মতো হঠাৎ এসে উপস্থিত হয় মুর্দা ফকির। মুর্দা ফকির ‘মুর্দা’ নয়, জীবিত; তবু ভয় পায়। আপাতদৃষ্টিতে তার কথার মধ্যে পাগলামির সংমিশ্রণ আছে তবে এটা নাটকের বহিরঙ্গ। মুর্দা ফকির দুর্ভিক্ষে নিজের স্ত্রী সন্তানের মৃত্যুর পর কবরের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তাই সে গোরস্থানেই থাকে। সে মনে করে কবর দিতে না পারায় যে শিয়াল শকুনে তার প্রিয়জনদের দেহ খাবলে যেভাবে খেয়েছে, তাই সে কবরেই অবস্থান করে, যাতে তার কবরের সংকট না হয়। কিন্তু রাতের গহিন আঁধারে, ভাষার দাবিতে মিছিলে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করা এবং আন্দোলনকারীদের মৃতদেহ করব দেওয়াটাকে সে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না; প্রতিবাদ করে, কবর দিতে বাঁধা দেয়। লাশকে কবর থেকে উঠে আসতে আহ্বান জানায়।
নেশায় বিভ্রম নেতা ও হাফিজ দেখে লাশ কবর থেকে উঠে এসেছে। মূর্তিরূপী লাশ প্রতিবাদ করছে, তারা কবরে যেতে চায় না। অন্যায়ের তোষামোদকারী হাফিজ তাদের বোঝাবার চেষ্টা করে। এক সময় মুর্দার ডাকে মিছিলে শরিক হয়ে লাশ চলে যায়। ভোরে আলো ফোটে এবং অন্যায় ভাবে হত্যা লাশকে দাফন করে চলে যায় নেতা ও হাফিজ। কিন্তু প্রতিবাদী বাঙালি চেতনাকে কোনভাবেই কবর দিতে পারে না তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কমিউনিস্ট নেতা রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধে ভাষা আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি ‘কবর’ নাটক লেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কারাবন্দী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। রাতে কারাগারের বাতি নিভিয়ে দেওয়া হলে লণ্ঠনের আলোয় সেই নাটকের প্রথম মঞ্চায়নও হয়েছিল ঢাকা কারাগারে। পরবর্তীতে এটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশে মঞ্চায়িত হওয়া অন্যতম জনপ্রিয় নাটকে পরিণত হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহতদের মরদেহ পাকিস্তান সরকার গোপনে কবর দিতে চেয়েছিল। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটকের কাহিনি এগিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজনা করেছে কালজয়ী নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক ‘কবর’। গতকাল বুধবার কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো. মোস্তফা আমীন ও শংকর কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও এবং নাট্যকার ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস।
গোপনে রাতে আঁধারে, ভাষার দাবিতে নিহত আন্দোলনকারীদের লাশ দাফন করাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে ‘কবর’ নাটকের প্রেক্ষাপট। পুরো ঘটনাই গোরস্থানের ভেতরে সংঘটিত হয়েছে। নেতা আর ইন্সপেক্টর হাফিজের অর্ধ-মাতাল অবস্থায় সংলাপের মধ্য দিয়ে নাটকটি সামনের দিকে আগাতে থাকে।
এর মধ্যে অশরীরী আত্মার মতো হঠাৎ এসে উপস্থিত হয় মুর্দা ফকির। মুর্দা ফকির ‘মুর্দা’ নয়, জীবিত; তবু ভয় পায়। আপাতদৃষ্টিতে তার কথার মধ্যে পাগলামির সংমিশ্রণ আছে তবে এটা নাটকের বহিরঙ্গ। মুর্দা ফকির দুর্ভিক্ষে নিজের স্ত্রী সন্তানের মৃত্যুর পর কবরের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তাই সে গোরস্থানেই থাকে। সে মনে করে কবর দিতে না পারায় যে শিয়াল শকুনে তার প্রিয়জনদের দেহ খাবলে যেভাবে খেয়েছে, তাই সে কবরেই অবস্থান করে, যাতে তার কবরের সংকট না হয়। কিন্তু রাতের গহিন আঁধারে, ভাষার দাবিতে মিছিলে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করা এবং আন্দোলনকারীদের মৃতদেহ করব দেওয়াটাকে সে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না; প্রতিবাদ করে, কবর দিতে বাঁধা দেয়। লাশকে কবর থেকে উঠে আসতে আহ্বান জানায়।
নেশায় বিভ্রম নেতা ও হাফিজ দেখে লাশ কবর থেকে উঠে এসেছে। মূর্তিরূপী লাশ প্রতিবাদ করছে, তারা কবরে যেতে চায় না। অন্যায়ের তোষামোদকারী হাফিজ তাদের বোঝাবার চেষ্টা করে। এক সময় মুর্দার ডাকে মিছিলে শরিক হয়ে লাশ চলে যায়। ভোরে আলো ফোটে এবং অন্যায় ভাবে হত্যা লাশকে দাফন করে চলে যায় নেতা ও হাফিজ। কিন্তু প্রতিবাদী বাঙালি চেতনাকে কোনভাবেই কবর দিতে পারে না তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কমিউনিস্ট নেতা রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধে ভাষা আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি ‘কবর’ নাটক লেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কারাবন্দী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। রাতে কারাগারের বাতি নিভিয়ে দেওয়া হলে লণ্ঠনের আলোয় সেই নাটকের প্রথম মঞ্চায়নও হয়েছিল ঢাকা কারাগারে। পরবর্তীতে এটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশে মঞ্চায়িত হওয়া অন্যতম জনপ্রিয় নাটকে পরিণত হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহতদের মরদেহ পাকিস্তান সরকার গোপনে কবর দিতে চেয়েছিল। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটকের কাহিনি এগিয়েছে।
ঢাকাই সিনেমায় দুই যুগের ক্যারিয়ার শাকিব খানের। সম্প্রতি তিনি যুক্ত হয়েছেন ক্রিকেটের সঙ্গে। শাকিবের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান দল কিনেছে বিপিএলে। দলের নাম ঢাকা ক্যাপিটালস। শাকিবের ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে ম্যাচ খেলবেন দেশের শোবিজ তারকারা। এমনটাই জানালেন শাকিবের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান...
৩২ মিনিট আগে‘মুভিং বাংলাদেশ’ নামের সিনেমার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ফান্ডিং পেয়েছেন নুহাশ হুমায়ূন। সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি জানা গেছে, সিনেমাটির সঙ্গে আর যুক্ত থাকছে না সরকার। বাতিল করা হয়েছে মুভিং বাংলাদেশ সিনেমার জন্য ৫০ লাখ...
৪১ মিনিট আগেশাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। সুযোগ পেলেই তাঁরা পরস্পরের প্রতি খড়্গহস্ত হন। এবার টয়লেড ডে-র শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু।
১২ ঘণ্টা আগেইত্যাদির নতুন পর্বের শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নির্মিত মঞ্চে ধারণ করা হয়েছে এবারের ইত্যাদি।
১৪ ঘণ্টা আগে