সাক্ষাৎকার

দর্শক খুব খুশি আমাকে পর্দায় দেখে

Thumbnail Image

অনেক দিন ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত তিনি, তবে গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে মাঝে মাঝে পর্দায় দেখা যায় সুমাইয়া শিমুকে। নুহাশ হুমায়ূনের ২ষ সিরিজের বেসুরা পর্বে অভিনয় করেছেন তিনি। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে এটি শিমুর প্রথম কাজ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

২ষ সিরিজের বেসুরা পর্ব দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হলো আপনার। অভিজ্ঞতা কেমন?

এটিকে বলা হচ্ছে মিউজিক্যাল হরর গল্প। মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো উঠে এসেছে এতে। ভালো কাজ, দর্শকের ভালো লাগবে। ৯ জানুয়ারি চরকিতে রিলিজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমি চাই সবাই কনটেন্টটি দেখুক।

ওটিটিতে অভিষেকের জন্য বেসুরাকে বেছে নেওয়ার কারণ কী?

ওটিটি এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। আন্তর্জাতিক মানের কাজ হচ্ছে। আমাদের দেশেও ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। যেহেতু বেশ আগেই আমি অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ি, তাই এত দিন এই মাধ্যমে অভিনয় করা হয়নি। চাচ্ছিলাম একটি ভালো কনটেন্ট দিয়ে এই মাধ্যমে কাজ শুরু করতে। বেসুরার গল্পটি সত্যিই অন্য রকম। এ ছাড়া নতুন নির্মাতাদের মধ্যে নুহাশ বেশ প্রমিজিং। বেসুরার গল্প ও নুহাশের পরিচালনা—সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে কাজটি করা যায়।

এ গল্পের শুটিং তো ঢাকার বাইরে হয়েছে। আপনি গত বছর মা হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বাইরে গিয়ে শুটিং করাটা কি চ্যালেঞ্জিং ছিল?

বেসুরার শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, পাহাড়ি এলাকায় সেট ফেলে। যখন জানলাম সেখানে গিয়ে শুটিং করতে হবে, তখন কিছুটা চিন্তার মধ্যে পড়ে যাই। তখন আমার পক্ষে ঢাকার বাইরে গিয়ে শুটিং করা কঠিন ছিল। এরপর নুহাশের পরিকল্পনা শোনার পর মনে হলো, যদিও আমার কষ্ট হবে, কিন্তু কাজটি করা উচিত।

বেসুরাতে সব চরিত্রের মুখে ছন্দে ছন্দে সংলাপ শোনা গেছে। এটা কি আপনার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা?

এই প্রথম এমনভাবে সংলাপ বলা হলো। ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। এ ধরনের কাজ আগে কখনো করিনি। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে নির্মাতার সঙ্গে সবকিছু নিয়ে আলাপ করে নিয়েছিলাম। সে কীভাবে আমার চরিত্রটি পর্দায় দেখতে চায়, সেটা ভালোভাবে বুঝে নিয়েছিলাম। আমার নিজের চিন্তাও শেয়ার করেছিলাম। তাই সেটে তেমন অসুবিধা হয়নি। কারণ আমি জানতাম—পরিচালক আমার কাছে কী চাচ্ছে, আর আমাকে কী করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার অভিনয়ের প্রশংসা করছে সবাই। দর্শক আপনাকে নিয়মিত দেখতে পর্দায় দেখতে চায়...

যে সময় নিয়মিত কাজ করেছি, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার এত প্রসার ঘটেনি। ফলে দর্শকের প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ ছিল কম। অনেকে হয়তো ফোন করত। কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে দর্শকের কাছাকাছি থাকা যায়, তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। বেসুরা নিয়ে তাঁদের মন্তব্যগুলো খেয়াল করেছি। অনেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। দর্শক খুব খুশি আমাকে পর্দায় দেখে। এটা আমার জন্য ভালো লাগার ও সম্মানের বিষয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে তারকারা যেমন দর্শকের কাছাকাছি চলে এসেছেন, উল্টো চিত্রও তো আছে। অনেককেই এখন তুচ্ছ কারণে সমালোচিত হতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আপনার কী মন্তব্য?

নেতিবাচক বিষয় নিয়ে সেভাবে কিছু বলতে চাই না। দর্শকেরা কাজটি দেখার পর তারা ভালো-মন্দ দুটোই বলুক। যদি ভালো না লাগে, সেটা বাজেভাবে না বলে গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করবে। ধরুন, কারও কাছে মনে হলো আমার অভিনয়টা ভালো হয়নি, আরও উন্নতির প্রয়োজন। সেটা দর্শক বলতেই পারে। গঠনমূলক সমালোচনা আমার জন্যও ভালো। পরের কাজ করার সময় সেই সমালোচনা মাথায় থাকলে কাজ আরও ভালো হবে। একজন মানুষ যখন মন্তব্য করছেন, তিনি কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমাকে চেনেন না। আমার কাজ দেখে উনি সমালোচনা করছেন। কিন্তু খারাপ ভাষায় মন্তব্য করা আমি আশা করি না। আমরা দর্শকদের ভালো লাগার জন্যই কাজ করি। দর্শক যদি না দেখে তাহলে আমাদের কাজের মূল্যই নেই। এ কারণে আমি চাই, তাঁরা গঠনমূলক সমালোচনা করুন। যাতে আমরা নিজেদের আরও ঋদ্ধ করতে পারি।

একসময় নিয়মিত কাজ করেছেন। প্রায় প্রতিদিন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময়টা মিস করেন?

না, ওইভাবে মিস করা হয় না। যখন নিয়মিত কাজ করেছি, তখন একরকম জীবন ছিল। এখন জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে, গুরুত্বের জায়গা বদলেছে। এখন চাইলেও আগের মতো কাজ করতে পারব না। আগে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতাম, সেগুলোতে মানাবেও না। আবার এটাও সত্যি, অনেক দিন শুটিং না করলে খারাপ লাগে। কারণ অভিনয়কে ভালোবাসি। মানুষ আমাকে চেনে অভিনয়শিল্পী হিসেবে। কিন্তু বর্তমান জীবন নিয়েও আমি খুশি। তবে অভিনয়টা কম হোক বেশি হোক, করতে চাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত