প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ইউরোপ আদর্শ
জাওয়াদ বিন জাহাঙ্গীর শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব ডেব্রেসেন, হাঙ্গেরি
বাইরে পড়তে আসার মূল কারণই ছিল আরও ভালো সুযোগ খুঁজে পাওয়া। আমি জানতাম, স্নাতক করার পর পড়াশোনা ও চাকরি—উভয় ক্ষেত্রে এখান থেকে ভালো সুবিধা পাব।
তা ছাড়া ইউরোপের যেকোনো একটি দেশে পড়াশোনা করতে এলে অন্য দেশগুলোতেও যাওয়ার রাস্তাটা সহজ হয়ে যায়। কারণ, ইউরোপ শেনজেনভুক্ত দেশ। এখানে একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। কেবল ভ্রমণই নয়, এক দেশের ভিসা দিয়ে আরেক দেশে গিয়ে চাকরি করা এবং থাকা যায়।
যারা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে চায়, তাদের জন্য ইউরোপের দেশগুলো আদর্শ। এখানকার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই একাধিক বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। আর পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ তো থাকছেই।
আমার হাঙ্গেরিতে পড়তে আসার কারণ বৃত্তি। আমি হাঙ্গেরি সরকারের স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরি কাম স্কলারশিপের মাধ্যমে এখানে পড়তে আসি। এই স্কলারশিপ পাওয়ায় পড়াশোনার জন্য আমার কোনো টিউশন ফি দরকার হয় না। এ ছাড়া স্নাতক শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়, যাতে আমরা পড়াশোনায় ফোকাস ধরে রাখতে পারি। ইউরোপের অন্য দেশে আমি এই সুবিধাটা হয়তো খুব সহজে পেতাম না।
বিদেশে পড়াশোনার অন্যতম সুবিধা হলো, নতুন একটি সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হলে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিশ্ব সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
যদি বাংলাদেশ আর হাঙ্গেরির শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলি, তাহলে দেখা যাবে, এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য অনেক। এখানে সেশনজটের বালাই নেই, প্রতিটি ক্যাম্পাস ও তাদের পড়াশোনার ধরন শিক্ষার্থীবান্ধব। হাঙ্গেরিতে আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছে মতো কোনো বিষয়ের পরীক্ষা কবে দিতে চান, সেটা নির্বাচন করতে পারবেন। তা ছাড়া কেউ যদি মনে করে যে কোনো কোর্সের পরীক্ষা আরেকবার দিলে আগেরবারের চেয়ে ভালো ফল হবে, সেই সুযোগও আছে। এখানে কেউ চাইলে একই কোর্সের পরীক্ষা দুবার দিতে পারে। আর নিজেই নিজের পরীক্ষার তারিখ নির্বাচনের মাধ্যমে সব কোর্সের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে।
হাঙ্গেরিতে পড়তে আসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা যায়। ইরাসমাস ফান্ডের সহায়তায় অনেক প্রজেক্টে যুক্ত থাকার সুযোগ পাওয়া যায়, যা ইউরোপের যেকোনো দেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
এখানে শিক্ষকেরা বন্ধু হন
নুসাইবা ইয়াছিন শিক্ষার্থী, ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি , কানাডা
কানাডার প্রত্যেক শিক্ষকই একটি বিষয় নিশ্চিত করেন যে, একজন শিক্ষার্থী ভালোমতো পড়াটা বুঝতে পারছে এবং সেটাকে কাজে লাগাচ্ছে।
এখানে টিউটরিয়াল বলে একটি জিনিস হয়, যেখানে পুরো ক্লাস ছোট ছোট কয়েকটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপর সেই দল গিয়ে অধ্যাপকের সঙ্গে আলাদা করে বসে তাদের যত সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে। এমনকি পরীক্ষাসংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন বা সাজেশনের প্রয়োজন হলে, সেটাও জিজ্ঞাসা করে। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখানে শিক্ষকেরা কখনোই শিক্ষার্থীদের এমনটা বোঝান না যে আমি তোমার শিক্ষক। তার মানে আমি তোমার চেয়ে বেশি জানি। আমাদের সঙ্গে তাঁরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন। বলা যায় তাঁরা আমাদের বন্ধুই।
কিন্তু দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ চিত্রটা ভিন্ন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হয়। না হলে উপস্থিতির হারের ওপর নম্বর পাওয়া যায় না। উপস্থিতির নির্ধারিত হারের চেয়ে কম পেলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না বা জরিমানা দিতে হয়। তা ছাড়া সব শিক্ষক পড়ানোর প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখান না। এসব কারণেই কানাডায় পড়তে আসা।
প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ইউরোপ আদর্শ
জাওয়াদ বিন জাহাঙ্গীর শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব ডেব্রেসেন, হাঙ্গেরি
বাইরে পড়তে আসার মূল কারণই ছিল আরও ভালো সুযোগ খুঁজে পাওয়া। আমি জানতাম, স্নাতক করার পর পড়াশোনা ও চাকরি—উভয় ক্ষেত্রে এখান থেকে ভালো সুবিধা পাব।
তা ছাড়া ইউরোপের যেকোনো একটি দেশে পড়াশোনা করতে এলে অন্য দেশগুলোতেও যাওয়ার রাস্তাটা সহজ হয়ে যায়। কারণ, ইউরোপ শেনজেনভুক্ত দেশ। এখানে একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। কেবল ভ্রমণই নয়, এক দেশের ভিসা দিয়ে আরেক দেশে গিয়ে চাকরি করা এবং থাকা যায়।
যারা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে চায়, তাদের জন্য ইউরোপের দেশগুলো আদর্শ। এখানকার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই একাধিক বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। আর পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ তো থাকছেই।
আমার হাঙ্গেরিতে পড়তে আসার কারণ বৃত্তি। আমি হাঙ্গেরি সরকারের স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরি কাম স্কলারশিপের মাধ্যমে এখানে পড়তে আসি। এই স্কলারশিপ পাওয়ায় পড়াশোনার জন্য আমার কোনো টিউশন ফি দরকার হয় না। এ ছাড়া স্নাতক শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়, যাতে আমরা পড়াশোনায় ফোকাস ধরে রাখতে পারি। ইউরোপের অন্য দেশে আমি এই সুবিধাটা হয়তো খুব সহজে পেতাম না।
বিদেশে পড়াশোনার অন্যতম সুবিধা হলো, নতুন একটি সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হলে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিশ্ব সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
যদি বাংলাদেশ আর হাঙ্গেরির শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলি, তাহলে দেখা যাবে, এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য অনেক। এখানে সেশনজটের বালাই নেই, প্রতিটি ক্যাম্পাস ও তাদের পড়াশোনার ধরন শিক্ষার্থীবান্ধব। হাঙ্গেরিতে আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছে মতো কোনো বিষয়ের পরীক্ষা কবে দিতে চান, সেটা নির্বাচন করতে পারবেন। তা ছাড়া কেউ যদি মনে করে যে কোনো কোর্সের পরীক্ষা আরেকবার দিলে আগেরবারের চেয়ে ভালো ফল হবে, সেই সুযোগও আছে। এখানে কেউ চাইলে একই কোর্সের পরীক্ষা দুবার দিতে পারে। আর নিজেই নিজের পরীক্ষার তারিখ নির্বাচনের মাধ্যমে সব কোর্সের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে।
হাঙ্গেরিতে পড়তে আসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা যায়। ইরাসমাস ফান্ডের সহায়তায় অনেক প্রজেক্টে যুক্ত থাকার সুযোগ পাওয়া যায়, যা ইউরোপের যেকোনো দেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
এখানে শিক্ষকেরা বন্ধু হন
নুসাইবা ইয়াছিন শিক্ষার্থী, ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি , কানাডা
কানাডার প্রত্যেক শিক্ষকই একটি বিষয় নিশ্চিত করেন যে, একজন শিক্ষার্থী ভালোমতো পড়াটা বুঝতে পারছে এবং সেটাকে কাজে লাগাচ্ছে।
এখানে টিউটরিয়াল বলে একটি জিনিস হয়, যেখানে পুরো ক্লাস ছোট ছোট কয়েকটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপর সেই দল গিয়ে অধ্যাপকের সঙ্গে আলাদা করে বসে তাদের যত সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে। এমনকি পরীক্ষাসংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন বা সাজেশনের প্রয়োজন হলে, সেটাও জিজ্ঞাসা করে। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখানে শিক্ষকেরা কখনোই শিক্ষার্থীদের এমনটা বোঝান না যে আমি তোমার শিক্ষক। তার মানে আমি তোমার চেয়ে বেশি জানি। আমাদের সঙ্গে তাঁরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন। বলা যায় তাঁরা আমাদের বন্ধুই।
কিন্তু দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ চিত্রটা ভিন্ন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হয়। না হলে উপস্থিতির হারের ওপর নম্বর পাওয়া যায় না। উপস্থিতির নির্ধারিত হারের চেয়ে কম পেলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না বা জরিমানা দিতে হয়। তা ছাড়া সব শিক্ষক পড়ানোর প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখান না। এসব কারণেই কানাডায় পড়তে আসা।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
৪ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
৪ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে