মতিউর রহমান
প্রশ্ন: গ্রিন ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য। তবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে উন্নত ভৌত কাঠামো এবং পরিবেশও জরুরি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজধানীর ক্যাম্পাসে চাইলেও সব ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলা হয়েছে। এটিও আমাদের শিক্ষা-সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ কেমন দেখছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস। সে হিসেবে নিঃসন্দেহে এটি তাদের জন্য আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয় তার সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং উচ্ছ্বাস তো থাকবেই।
প্রশ্ন: শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনারা কী করে থাকেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আমরা ‘এক্সটেন্ডেট লার্নিং’ বলে থাকি। এটা মূলত শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ। কারণ, এর মাধ্যমেই আমাদের শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার সুব্যবস্থা রয়েছে। এ জন্য নতুন ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাঠ। ইনডোর ও আউটডোর গেমসের সুবিধা তো থাকছেই। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮টি ক্লাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সিনে ক্লাব, ব্লাড ক্লাব, ইকো ওয়ারিয়র ক্লাব, সোশ্যাল বন্ডিং ক্লাব ও বিভাগীয় ৮ ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমাদের ফুটবল টিম। বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় বিতর্ক ও এটিএন বাংলা-ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ডিবেটসহ অনেক আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে আমাদের ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে।
প্রশ্ন: দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুবিধা রয়েছে?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সচেতন। এসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর স্কলারশিপ সুবিধা দেওয়া। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ছাত্রীসহ বিভিন্ন কোটায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা।
দ্বিতীয়ত, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির বড় পদক্ষেপ হলো ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ গঠন। আমার উদ্যোগে গড়া এই ফান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তারা মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ (সর্বনিম্ন ১০০ টাকা) টাকা প্রতি মাসে দিয়ে থাকেন। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতিটি সেমিস্টারে এই ফান্ড থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকে। এই পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রমের আলোকে আমাদের দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার কাজ করে থাকে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কতটা ব্যতিক্রম? অর্থাৎ ভবিষ্যৎমুখী গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গবেষণায় অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোগ। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রমকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে ‘জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম’। শিক্ষকদের গবেষণা জন্য সিআরআইটি বা সেন্টার ফর রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন নামে একটি সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার পাশাপাশি তাঁদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিবছর তিনটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত লেখালেখি করেন। ফলে তাঁরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যোগ্য, দক্ষ ও চাকরিযোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা, সহ-শিক্ষাসহ আধুনিক অনেক বৈশিষ্ট্যে অনন্য; যা শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) নামে একটি সেন্টারের মাধ্যমে নিয়মিত ইন্টার্নশিপ ও চাকরির জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করা হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করতে এই সেন্টারের উদ্যোগে প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি কোর্সও পড়ানো হয়। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক মাসিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ওয়ার্কশপ, সাপ্তাহিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্টাডি ট্যুরসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাও গ্রিন ইউনিভার্সিটির নিয়মিত কাজ। এগুলো শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের পাশাপাশি তাঁদের কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ করে।
প্রশ্ন: গ্রিন ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবা দেওয়া। আলোকিত মানুষ তৈরি করা। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য। তবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে উন্নত ভৌত কাঠামো এবং পরিবেশও জরুরি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজধানীর ক্যাম্পাসে চাইলেও সব ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলা হয়েছে। এটিও আমাদের শিক্ষা-সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ কেমন দেখছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস। সে হিসেবে নিঃসন্দেহে এটি তাদের জন্য আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয় তার সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং উচ্ছ্বাস তো থাকবেই।
প্রশ্ন: শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনারা কী করে থাকেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আমরা ‘এক্সটেন্ডেট লার্নিং’ বলে থাকি। এটা মূলত শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ। কারণ, এর মাধ্যমেই আমাদের শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার সুব্যবস্থা রয়েছে। এ জন্য নতুন ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাঠ। ইনডোর ও আউটডোর গেমসের সুবিধা তো থাকছেই। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮টি ক্লাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ডিবেটিং ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সিনে ক্লাব, ব্লাড ক্লাব, ইকো ওয়ারিয়র ক্লাব, সোশ্যাল বন্ডিং ক্লাব ও বিভাগীয় ৮ ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমাদের ফুটবল টিম। বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় বিতর্ক ও এটিএন বাংলা-ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ডিবেটসহ অনেক আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে আমাদের ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে।
প্রশ্ন: দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুবিধা রয়েছে?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সচেতন। এসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর স্কলারশিপ সুবিধা দেওয়া। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ছাত্রীসহ বিভিন্ন কোটায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা।
দ্বিতীয়ত, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির বড় পদক্ষেপ হলো ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ গঠন। আমার উদ্যোগে গড়া এই ফান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তারা মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ (সর্বনিম্ন ১০০ টাকা) টাকা প্রতি মাসে দিয়ে থাকেন। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতিটি সেমিস্টারে এই ফান্ড থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকে। এই পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রশ্ন: শিক্ষাক্রমের আলোকে আমাদের দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার কাজ করে থাকে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কতটা ব্যতিক্রম? অর্থাৎ ভবিষ্যৎমুখী গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিকল্পনা কী?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: গবেষণায় অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোগ। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রমকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে ‘জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম’। শিক্ষকদের গবেষণা জন্য সিআরআইটি বা সেন্টার ফর রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন নামে একটি সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার পাশাপাশি তাঁদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিবছর তিনটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত লেখালেখি করেন। ফলে তাঁরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করছেন?
ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যোগ্য, দক্ষ ও চাকরিযোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা, সহ-শিক্ষাসহ আধুনিক অনেক বৈশিষ্ট্যে অনন্য; যা শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) নামে একটি সেন্টারের মাধ্যমে নিয়মিত ইন্টার্নশিপ ও চাকরির জন্য সর্বাত্মক সাহায্য করা হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করতে এই সেন্টারের উদ্যোগে প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি কোর্সও পড়ানো হয়। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক মাসিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ক্যারিয়ার গঠনমূলক ওয়ার্কশপ, সাপ্তাহিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্টাডি ট্যুরসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাও গ্রিন ইউনিভার্সিটির নিয়মিত কাজ। এগুলো শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের পাশাপাশি তাঁদের কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ করে।
২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
২৫ মিনিট আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৪৪ মিনিট আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে