জুবায়ের ইবনে কামাল
অথই দাস
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যান্ত্রিক ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী অথই দাস। ফেসবুকে নিয়মিত বই নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে ‘বুকস অ্যান্ড মোর’ নামে ফেসবুকে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন অথই। প্রথম দিকে শুধু নিজের পড়া বইগুলোর ভালো লাগা নিয়ে ভিডিও তৈরি করলেও ক্রমে অথই দাসের ভিডিওতে এসেছে বৈচিত্র্য। জনপ্রিয় লেখক ও বইয়ের মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া থেকে অথই ছুটে বেড়িয়েছে বিভিন্ন লাইব্রেরি, বুক ক্যাফে, বইমেলা কিংবা বিভিন্ন বইয়ের দোকানে।
ফেসবুকে বর্তমানে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ অথই দাসের বইয়ের পেজ অনুসরণ করে। তাঁর বই পড়ার শুরুটা হয়েছিল ছোটবেলা থেকে। খুব ছোটবেলায় যখন পুরো বই পড়া অথইয়ের পক্ষে সম্ভব ছিল না, তখন মা তাঁকে বই পড়ে শোনাতেন। স্কুলে কিছুটা বই পড়া হলেও মূল অভ্যাসটা গড়ে ওঠে বড় হওয়ার পর। অথই বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, আমি প্রথম সমরেশ মজুমদারের “গর্ভধারিণী” বইটা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম।’
অথই দাসের বই নিয়ে ভিডিও বানানো কিছুটা আকস্মিক বটে। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগলেও কখনো একা একটা ক্যামেরার সামনে কথা বলার বিষয়ে ভাবেননি তিনি। করোনা অতিমারির ঘরবন্দী সময়ে হুট করে মাথায় আসে বিষয়টা। যেহেতু তখন চাইলেও কারও মুখোমুখি বসে কথা বলা যেত না, তাই নিজের মুঠোফোন সামনে রেখে প্রথমবারের মতো একাই বই নিয়ে কথা বলা শুরু করেন অথই। তারপর আর বন্ধ হয়নি।
অথই দাসের ভিডিওতে কথা বলেছেন লেখক আনিসুল হক, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালসহ অনেকে। অথই দাসের ইচ্ছা—নতুন নতুন ভাবনার মাধ্যমে আরও অনেক মানুষের কাছে বইয়ের কথা পৌঁছে দেওয়া।
সায়মা তাহের শোভন
সায়মা তাহের শোভনের গল্পটা একদমই ভিন্ন। খুব ছোটবেলায় মায়ের অসুস্থতার কারণে পুরো পরিবারসহ বহুদিন তাঁদের থাকতে হয়েছিল চট্টগ্রামে। সেখানে মা-বাবার সময়টা কেটে যেত হাসপাতালে। শোভন তখন নিঃসঙ্গ সময় পার করতেন। সে নিঃসঙ্গতা ভুলতে হাতে তুলে নিয়েছিলেন রূপকথার বই। তিনি বুঝতে পারেন, নিঃসঙ্গ সময়ে বই হয়ে উঠেছে তাঁর সঙ্গী।
সে সময় মায়ের অনুপস্থিতিতে বই পড়া শুরু হলেও মা নিজেই পরে দিয়েছেন অনুপ্রেরণা। ‘মা এখনো মাঝে মাঝে বকা দেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এসব কী করছি বলে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখি, অন্যদের কাছে আবার গর্ব করেও বলেন যে আমার মেয়ে কিন্তু বই নিয়ে দারুণ জিনিস করে’, বলছিলেন শোভন।
‘বিবলিওফাইল শোভন’ নামে তাঁর আছে ইনস্টাগ্রামে একটি বিশেষায়িত অ্যাকাউন্ট। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ইনস্টাগ্রামে বই নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছেন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন শোভন।
সায়মা তাহের শোভনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঢুঁ মারলে বিচিত্র বইয়ের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। হালের জনপ্রিয় রিলসের মাধ্যমেও বইয়ের কথা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল আরেকজনের ইনস্টাগ্রাম দেখে। অদ্রি নামের আরেকজন বইপড়ুয়া মানুষের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট শোভনকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
শোভন ভবিষ্যতে ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি সক্রিয় হতে চান বই নিয়ে। নিজের পছন্দের লেখকদের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাঁদের কথাগুলো ছড়িয়ে দিতে চান অন্যদের মাঝে।
ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে হাজারো নেতিবাচক কনটেন্টের ভিড়ে বইয়ের মতো বিষয় নিয়ে দারুণ কনটেন্ট তৈরি করছেন অথই কিংবা শোভনরা। এটি আমাদের তারুণ্যের জন্য ভীষণ রকম ইতিবাচক বিষয়।
অথই দাস
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যান্ত্রিক ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী অথই দাস। ফেসবুকে নিয়মিত বই নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে ‘বুকস অ্যান্ড মোর’ নামে ফেসবুকে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন অথই। প্রথম দিকে শুধু নিজের পড়া বইগুলোর ভালো লাগা নিয়ে ভিডিও তৈরি করলেও ক্রমে অথই দাসের ভিডিওতে এসেছে বৈচিত্র্য। জনপ্রিয় লেখক ও বইয়ের মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া থেকে অথই ছুটে বেড়িয়েছে বিভিন্ন লাইব্রেরি, বুক ক্যাফে, বইমেলা কিংবা বিভিন্ন বইয়ের দোকানে।
ফেসবুকে বর্তমানে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ অথই দাসের বইয়ের পেজ অনুসরণ করে। তাঁর বই পড়ার শুরুটা হয়েছিল ছোটবেলা থেকে। খুব ছোটবেলায় যখন পুরো বই পড়া অথইয়ের পক্ষে সম্ভব ছিল না, তখন মা তাঁকে বই পড়ে শোনাতেন। স্কুলে কিছুটা বই পড়া হলেও মূল অভ্যাসটা গড়ে ওঠে বড় হওয়ার পর। অথই বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, আমি প্রথম সমরেশ মজুমদারের “গর্ভধারিণী” বইটা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম।’
অথই দাসের বই নিয়ে ভিডিও বানানো কিছুটা আকস্মিক বটে। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগলেও কখনো একা একটা ক্যামেরার সামনে কথা বলার বিষয়ে ভাবেননি তিনি। করোনা অতিমারির ঘরবন্দী সময়ে হুট করে মাথায় আসে বিষয়টা। যেহেতু তখন চাইলেও কারও মুখোমুখি বসে কথা বলা যেত না, তাই নিজের মুঠোফোন সামনে রেখে প্রথমবারের মতো একাই বই নিয়ে কথা বলা শুরু করেন অথই। তারপর আর বন্ধ হয়নি।
অথই দাসের ভিডিওতে কথা বলেছেন লেখক আনিসুল হক, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালসহ অনেকে। অথই দাসের ইচ্ছা—নতুন নতুন ভাবনার মাধ্যমে আরও অনেক মানুষের কাছে বইয়ের কথা পৌঁছে দেওয়া।
সায়মা তাহের শোভন
সায়মা তাহের শোভনের গল্পটা একদমই ভিন্ন। খুব ছোটবেলায় মায়ের অসুস্থতার কারণে পুরো পরিবারসহ বহুদিন তাঁদের থাকতে হয়েছিল চট্টগ্রামে। সেখানে মা-বাবার সময়টা কেটে যেত হাসপাতালে। শোভন তখন নিঃসঙ্গ সময় পার করতেন। সে নিঃসঙ্গতা ভুলতে হাতে তুলে নিয়েছিলেন রূপকথার বই। তিনি বুঝতে পারেন, নিঃসঙ্গ সময়ে বই হয়ে উঠেছে তাঁর সঙ্গী।
সে সময় মায়ের অনুপস্থিতিতে বই পড়া শুরু হলেও মা নিজেই পরে দিয়েছেন অনুপ্রেরণা। ‘মা এখনো মাঝে মাঝে বকা দেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এসব কী করছি বলে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখি, অন্যদের কাছে আবার গর্ব করেও বলেন যে আমার মেয়ে কিন্তু বই নিয়ে দারুণ জিনিস করে’, বলছিলেন শোভন।
‘বিবলিওফাইল শোভন’ নামে তাঁর আছে ইনস্টাগ্রামে একটি বিশেষায়িত অ্যাকাউন্ট। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ইনস্টাগ্রামে বই নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছেন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন শোভন।
সায়মা তাহের শোভনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঢুঁ মারলে বিচিত্র বইয়ের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। হালের জনপ্রিয় রিলসের মাধ্যমেও বইয়ের কথা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল আরেকজনের ইনস্টাগ্রাম দেখে। অদ্রি নামের আরেকজন বইপড়ুয়া মানুষের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট শোভনকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
শোভন ভবিষ্যতে ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি সক্রিয় হতে চান বই নিয়ে। নিজের পছন্দের লেখকদের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাঁদের কথাগুলো ছড়িয়ে দিতে চান অন্যদের মাঝে।
ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে হাজারো নেতিবাচক কনটেন্টের ভিড়ে বইয়ের মতো বিষয় নিয়ে দারুণ কনটেন্ট তৈরি করছেন অথই কিংবা শোভনরা। এটি আমাদের তারুণ্যের জন্য ভীষণ রকম ইতিবাচক বিষয়।
২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
১৪ মিনিট আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৩৩ মিনিট আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে