মুসাররাত আবির
কেমন হয় যদি দেশের স্কুল-কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি কয়েক মাস বাইরের কোনো এক দেশ থেকেও পড়াশোনা করে আসা যায়? ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও এ সুবিধা পেয়ে থাকে।
এশিয়া কাকেহাশি প্রজেক্ট, জাপান
২০১৭ সাল থেকে জাপান সরকার এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করে। জাপানের মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (মেক্সট) প্রকল্পটি পরিচালনা করে। প্রকল্পটি জাপানের সঙ্গে এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে।
এই প্রকল্পের সব ধরনের ব্যয় নির্বাহ করে জাপান সরকার। প্রতিবছর ৬০ জন শিক্ষার্থীকে এই সুযোগ দেওয়া হয়। চার মাসের এই প্রকল্পে স্বল্প আয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সাধারণত প্রতিবছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আবেদন ফরম দিয়ে দেওয়া হয়।
যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে
» বাংলাদেশ থেকে জাপান যাতায়াতের ব্যয়।
» জাপানিজ স্কুলের বেতন।
» স্বাস্থ্যবিমা।
» ডরমিটরি ফি।
» ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
থাকা ও খাওয়া একটি স্থানীয় পরিবার অথবা ডরমিটরি বহন করবে। হোস্ট ফ্যামিলির ক্ষেত্রে নিজে থেকে কোনো পরিবারের সঙ্গে থাকবে তা নির্বাচন করা যাবে না। যেসব শিক্ষার্থী ডরমিটরিতে থাকবে, তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং উৎসবের দিনে সাময়িক হোস্ট পরিবারদের সঙ্গে থাকতে পারবে।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরিবার এবং পরিচিত পরিবেশ ছাড়া সম্পূর্ণ একা কীভাবে ভিন্ন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়, তা শিখবে।
আবেদনের যোগ্যতা
» আবেদনকারীকে এশিয়ার যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে।
» বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে।
» ক্লাসের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
» নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
» জাপানিজ সংস্কৃতিকে জানার আগ্রহ থাকতে হবে।
» টুকটাক কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার মতো জাপানিজ ভাষা জানতে হবে এবং জাপানিজ ভাষা শেখার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।
» একা একা বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা এবং সক্ষমতা থাকতে হবে।
সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
কেনেডি লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি (ইয়েস) প্রোগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমপ্রধান দেশের হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের এক বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্কুলে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয় ইয়েস প্রোগ্রাম।
যারা এই প্রোগ্রামে সুযোগ পায়, তারা সবাই নিজ নিজ দেশের ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর। ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ সুযোগ পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। তারা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ও মূল্যবোধ সম্পর্কে শেখার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত হবে, নেতৃত্বের দক্ষতা অর্জন করবে এবং নিজ নিজ দেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা করবে। সাধারণত প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে আবেদন ফরম দেওয়া হয়।
যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে
» বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত ব্যয়।
» ওরিয়েন্টেশন ক্লাস।
» মাসিক ভাতা।
» স্বাস্থ্যবিমা।
» প্রোগ্রাম অ্যাকটিভিটিজ ও ম্যাটেরিয়ালের খরচ।
» শিক্ষার্থীরা কেমন আছে তা দেখার জন্য একজন দক্ষ কো-অর্ডিনেটর নিয়মিত তার সঙ্গে কথা বলবে এবং গাইডলাইন দেবে।
আবেদনের যোগ্যতা
» বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হতে হবে।
» আবেদন করার সময় অবশ্যই কোনো স্কুল বা কলেজে ভর্তি থাকতে হবে।
» অষ্টম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবে।
» নিজ স্কুলের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম বি গ্রেড পেতে হবে।
» যে বছর আবেদন করবে, তার আগের ৩ বছরের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপশন থাকতে হবে।
» লেখাপড়ায় কোনো বিরতি থাকা যাবে না।
» জে-ওয়ান ভিসা থাকতে হবে।
» কথাবার্তা চালানোর মতো ইংরেজি জানতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
ফরম পূরণের মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত হতে হবে। এরপর দুই ধাপে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। প্রথমে এককভাবে এবং পরে দলগতভাবে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। উত্তীর্ণদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হবে।
কেমন হয় যদি দেশের স্কুল-কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি কয়েক মাস বাইরের কোনো এক দেশ থেকেও পড়াশোনা করে আসা যায়? ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও এ সুবিধা পেয়ে থাকে।
এশিয়া কাকেহাশি প্রজেক্ট, জাপান
২০১৭ সাল থেকে জাপান সরকার এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করে। জাপানের মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (মেক্সট) প্রকল্পটি পরিচালনা করে। প্রকল্পটি জাপানের সঙ্গে এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে।
এই প্রকল্পের সব ধরনের ব্যয় নির্বাহ করে জাপান সরকার। প্রতিবছর ৬০ জন শিক্ষার্থীকে এই সুযোগ দেওয়া হয়। চার মাসের এই প্রকল্পে স্বল্প আয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সাধারণত প্রতিবছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আবেদন ফরম দিয়ে দেওয়া হয়।
যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে
» বাংলাদেশ থেকে জাপান যাতায়াতের ব্যয়।
» জাপানিজ স্কুলের বেতন।
» স্বাস্থ্যবিমা।
» ডরমিটরি ফি।
» ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
থাকা ও খাওয়া একটি স্থানীয় পরিবার অথবা ডরমিটরি বহন করবে। হোস্ট ফ্যামিলির ক্ষেত্রে নিজে থেকে কোনো পরিবারের সঙ্গে থাকবে তা নির্বাচন করা যাবে না। যেসব শিক্ষার্থী ডরমিটরিতে থাকবে, তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং উৎসবের দিনে সাময়িক হোস্ট পরিবারদের সঙ্গে থাকতে পারবে।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরিবার এবং পরিচিত পরিবেশ ছাড়া সম্পূর্ণ একা কীভাবে ভিন্ন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়, তা শিখবে।
আবেদনের যোগ্যতা
» আবেদনকারীকে এশিয়ার যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে।
» বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে।
» ক্লাসের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
» নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
» জাপানিজ সংস্কৃতিকে জানার আগ্রহ থাকতে হবে।
» টুকটাক কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার মতো জাপানিজ ভাষা জানতে হবে এবং জাপানিজ ভাষা শেখার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।
» একা একা বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা এবং সক্ষমতা থাকতে হবে।
সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
কেনেডি লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি (ইয়েস) প্রোগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র মুসলিমপ্রধান দেশের হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের এক বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্কুলে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয় ইয়েস প্রোগ্রাম।
যারা এই প্রোগ্রামে সুযোগ পায়, তারা সবাই নিজ নিজ দেশের ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর। ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ সুযোগ পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে হোস্ট পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। তারা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ও মূল্যবোধ সম্পর্কে শেখার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত হবে, নেতৃত্বের দক্ষতা অর্জন করবে এবং নিজ নিজ দেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা করবে। সাধারণত প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে আবেদন ফরম দেওয়া হয়।
যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে
» বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত ব্যয়।
» ওরিয়েন্টেশন ক্লাস।
» মাসিক ভাতা।
» স্বাস্থ্যবিমা।
» প্রোগ্রাম অ্যাকটিভিটিজ ও ম্যাটেরিয়ালের খরচ।
» শিক্ষার্থীরা কেমন আছে তা দেখার জন্য একজন দক্ষ কো-অর্ডিনেটর নিয়মিত তার সঙ্গে কথা বলবে এবং গাইডলাইন দেবে।
আবেদনের যোগ্যতা
» বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হতে হবে।
» আবেদন করার সময় অবশ্যই কোনো স্কুল বা কলেজে ভর্তি থাকতে হবে।
» অষ্টম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবে।
» নিজ স্কুলের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম বি গ্রেড পেতে হবে।
» যে বছর আবেদন করবে, তার আগের ৩ বছরের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপশন থাকতে হবে।
» লেখাপড়ায় কোনো বিরতি থাকা যাবে না।
» জে-ওয়ান ভিসা থাকতে হবে।
» কথাবার্তা চালানোর মতো ইংরেজি জানতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
ফরম পূরণের মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত হতে হবে। এরপর দুই ধাপে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। প্রথমে এককভাবে এবং পরে দলগতভাবে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। উত্তীর্ণদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৯ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১৯ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে