১৮ আগস্ট, ১৯৬১। দেশের তৃতীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে ও ময়মনসিংহ শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে সাড়ে ১২ শ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে এই সুবিশাল ক্যাম্পাস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পার করে ৬৩ বছরে পা দিয়েছে। দেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করা এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের অভিমত জানার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাবিবুর রনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরি
বাংলাদেশ আজ ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়। মাছ, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। এ ছাড়া কৃষিভিত্তিক ২২টি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষদশে আমাদের দেশ। এসব সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রধানতম হাতিয়ার হয়েছে কৃষি সেক্টর। আর এই সেক্টরকে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগণিত দক্ষ কৃষিবিদ গ্র্যাজুয়েট। প্রতিষ্ঠার পর বিগত ৬২ বছরে দেশ ও জাতিকে মুঠো ভরে সাফল্য এনে দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ৬৩ বছরে পদার্পণের মুহূর্তে সব থেকে বড় প্রত্যাশা হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছে, একইভাবে স্মার্ট ও দক্ষ কৃষিবিদ গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ জেড এম বর্নী
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিমা, ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটালাইজেশন
প্রকৃতিকন্যা খ্যাত চিরসবুজ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ বছরে পদার্পণে একজন কৃষিবিদ হিসেবে সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। অর্ধলক্ষাধিক মানসম্মত কৃষিবিদ উপহারের মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ৬৩ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু চাওয়া-পাওয়া এখনো রয়েই গেছে, যা পূরণ করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। আবাসিক হলগুলোতে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে প্রতিটি আবাসিক হলের পাঠাগারের মান উন্নয়ন এবং সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সহায়ক বইয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি ভোগান্তি নিরসনে সেশন ফি ও পরীক্ষার ফি প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের অন্য কার্যক্রমগুলো ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
এ এইচ এম হেলালুজ্জামান
শিক্ষার্থী, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
বিষয়ভিত্তিক দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে
৬২ বছরের পথ চলা শেষ হতে চলল। এখন সারা বিশ্ব চায় দক্ষ জনশক্তি ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পুকুর আছে। সেই পুকুরগুলোতে গ্রুপ করে মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তাঁদের বিষয়ভিত্তিক লব্ধ জ্ঞান দ্বারা মাছ চাষ করবেন, সেই সঙ্গে গবেষণাও করবেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে যদি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পান, তাহলে তাঁদেরও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে প্রতিটি অনুষদের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্ষেত্রে হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। তৈরি হবে বড় বড় কৃষি উদ্যোক্তা। ৬৩ বছরের পদার্পণে আশা রাখব, বিশ্ববিদ্যালয় এমন উদ্যোগ নেবে যেন শিক্ষার্থীরা নিজ বিষয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠেন।
তানিউল করিম জীম
শিক্ষার্থী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
বহিরাগতের অবাধ প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি
সবুজে ঘেরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) আঙিনা প্রকৃতিকন্যা হিসেবেই সমধিক পরিচিত। এর রূপের যেমন আছে মাধুর্য, তেমনই আছে তিক্ততা। সৌন্দর্যের আবার তিক্ততা কেমন? সেটি বোঝা যায় মূলত ছুটির দিনগুলোতে। আশপাশের এলাকার সবার অবসর সময় কাটানোর প্রধান স্থান হয়ে ওঠে এই বাকৃবি। বহিরাগতদের ফেলা ঝালমুড়ির ঠোঙা, আইসক্রিমের প্যাকেট, কফি কাপ, জুস কাপ, খাবারের প্যাকেটে ঢাকা পড়ে যায় বাকৃবির সবুজ ঘাস। বহিরাগতদের এই অবাধ চলাচল যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে হয়তো সবুজ চাদরেই ঢেকে থাকবে আমার ক্যাম্পাস। যত্রতত্র এই অবাঞ্ছিত ময়লা-আবর্জনা আর হয়তো দূষণ ঘটাবে না বাকৃবিতে। সুস্থ পরিবেশে সতেজ মনে সাবলীলভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
বিশ্ববিদ্যালয় হোক শিক্ষার্থীবান্ধব
কৃষি বিপ্লবের আঁতুড়ঘর বাকৃবি। বাংলাদেশে কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নিঃসন্দেহে অগ্রগণ্য। প্রতিবছর তিন হাজারেরও বেশি কৃষিবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে দেশের কৃষি সেক্টরগুলোতে অবদান রাখছেন। আগামী দিনগুলোতে আরও দক্ষ, চৌকস ও স্মার্ট কৃষিবিদ তৈরির প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে সব সময় আমি গর্ব বোধ করি। তবে প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পার হয়ে গেলেও এমন অনেক সাধারণ প্রয়োজনীয়তা আছে, যা এখনো অপূর্ণ রয়েছে। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের হোটেল খাবারের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ হলের ডাইনিং বন্ধ, যেগুলো চালু রয়েছে সেগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি খাবারের মান কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত হলগুলোতে ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু করা, সেই সঙ্গে খাবারের মূল্য হ্রাস এবং মান উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মো. রোকনুজ্জামান
শিক্ষার্থী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
দক্ষ কৃষিবিদ তৈরিতে প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ এমন একটি পথিকৃৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা শিক্ষা, গবেষণা প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণের মতো বহুমাত্রিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাফল্য একেবারে গৌণ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারের মাধ্যমে কৃষি গবেষণায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার-১৪১৯’ লাভ আমাদের অন্যতম অর্জন। এ ছাড়া গত বছর টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) প্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং অনুযায়ী ‘লাইফ সায়েন্স’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। ৬৩ বছর পদার্পণের মুহূর্তে আমরা বিশ্বাস করি, যথাযথ পরিকল্পনা ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিকাশ অব্যাহত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে দক্ষ কৃষিবিদ তৈরি করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের কৃষি উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান আরও জোরালো হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাদিয়া আফরোজ ঋতু
শিক্ষার্থী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ
ছাত্রী হলে আসনসংকট নিরসন হোক দ্রুত সময়ে
ভর্তির প্রথম দিকে আবাসনের জন্য ছাত্রী হলগুলোতে সিট পাওয়া গেলেও বছরখানেক কাটাতে হয় গণরুমে। যে কারণে প্রায় সময়েই পড়াশোনার ক্ষতি হয় শিক্ষার্থীদের। কয়েক বছর আগেও এ সমস্যা এত বেশি দেখা না দিলেও এখন তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর কারণ হতে পারে মেয়েদের অগ্রসরতা। আগে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মেয়েদের সংখ্যা ছিল অতীব কম। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় মেধাতালিকায় সংযুক্তদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নিলে সিট সংকট সমস্যা আরও প্রকট হবে। শিক্ষার্থীরা পড়বে চরম ভোগান্তিতে। সুষ্ঠু শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলগুলোতে আসনসংকট নিরসন করতে হবে।
তাসকিয়া খাতুন
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
১৮ আগস্ট, ১৯৬১। দেশের তৃতীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে ও ময়মনসিংহ শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে সাড়ে ১২ শ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে এই সুবিশাল ক্যাম্পাস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পার করে ৬৩ বছরে পা দিয়েছে। দেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করা এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের অভিমত জানার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাবিবুর রনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরি
বাংলাদেশ আজ ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়। মাছ, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। এ ছাড়া কৃষিভিত্তিক ২২টি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষদশে আমাদের দেশ। এসব সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রধানতম হাতিয়ার হয়েছে কৃষি সেক্টর। আর এই সেক্টরকে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগণিত দক্ষ কৃষিবিদ গ্র্যাজুয়েট। প্রতিষ্ঠার পর বিগত ৬২ বছরে দেশ ও জাতিকে মুঠো ভরে সাফল্য এনে দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ৬৩ বছরে পদার্পণের মুহূর্তে সব থেকে বড় প্রত্যাশা হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছে, একইভাবে স্মার্ট ও দক্ষ কৃষিবিদ গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ জেড এম বর্নী
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিমা, ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটালাইজেশন
প্রকৃতিকন্যা খ্যাত চিরসবুজ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ বছরে পদার্পণে একজন কৃষিবিদ হিসেবে সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। অর্ধলক্ষাধিক মানসম্মত কৃষিবিদ উপহারের মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ৬৩ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু চাওয়া-পাওয়া এখনো রয়েই গেছে, যা পূরণ করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। আবাসিক হলগুলোতে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে প্রতিটি আবাসিক হলের পাঠাগারের মান উন্নয়ন এবং সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সহায়ক বইয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি ভোগান্তি নিরসনে সেশন ফি ও পরীক্ষার ফি প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের অন্য কার্যক্রমগুলো ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
এ এইচ এম হেলালুজ্জামান
শিক্ষার্থী, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
বিষয়ভিত্তিক দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে
৬২ বছরের পথ চলা শেষ হতে চলল। এখন সারা বিশ্ব চায় দক্ষ জনশক্তি ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পুকুর আছে। সেই পুকুরগুলোতে গ্রুপ করে মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তাঁদের বিষয়ভিত্তিক লব্ধ জ্ঞান দ্বারা মাছ চাষ করবেন, সেই সঙ্গে গবেষণাও করবেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে যদি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পান, তাহলে তাঁদেরও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে প্রতিটি অনুষদের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্ষেত্রে হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। তৈরি হবে বড় বড় কৃষি উদ্যোক্তা। ৬৩ বছরের পদার্পণে আশা রাখব, বিশ্ববিদ্যালয় এমন উদ্যোগ নেবে যেন শিক্ষার্থীরা নিজ বিষয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠেন।
তানিউল করিম জীম
শিক্ষার্থী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
বহিরাগতের অবাধ প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি
সবুজে ঘেরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) আঙিনা প্রকৃতিকন্যা হিসেবেই সমধিক পরিচিত। এর রূপের যেমন আছে মাধুর্য, তেমনই আছে তিক্ততা। সৌন্দর্যের আবার তিক্ততা কেমন? সেটি বোঝা যায় মূলত ছুটির দিনগুলোতে। আশপাশের এলাকার সবার অবসর সময় কাটানোর প্রধান স্থান হয়ে ওঠে এই বাকৃবি। বহিরাগতদের ফেলা ঝালমুড়ির ঠোঙা, আইসক্রিমের প্যাকেট, কফি কাপ, জুস কাপ, খাবারের প্যাকেটে ঢাকা পড়ে যায় বাকৃবির সবুজ ঘাস। বহিরাগতদের এই অবাধ চলাচল যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে হয়তো সবুজ চাদরেই ঢেকে থাকবে আমার ক্যাম্পাস। যত্রতত্র এই অবাঞ্ছিত ময়লা-আবর্জনা আর হয়তো দূষণ ঘটাবে না বাকৃবিতে। সুস্থ পরিবেশে সতেজ মনে সাবলীলভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
বিশ্ববিদ্যালয় হোক শিক্ষার্থীবান্ধব
কৃষি বিপ্লবের আঁতুড়ঘর বাকৃবি। বাংলাদেশে কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নিঃসন্দেহে অগ্রগণ্য। প্রতিবছর তিন হাজারেরও বেশি কৃষিবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে দেশের কৃষি সেক্টরগুলোতে অবদান রাখছেন। আগামী দিনগুলোতে আরও দক্ষ, চৌকস ও স্মার্ট কৃষিবিদ তৈরির প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে সব সময় আমি গর্ব বোধ করি। তবে প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পার হয়ে গেলেও এমন অনেক সাধারণ প্রয়োজনীয়তা আছে, যা এখনো অপূর্ণ রয়েছে। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের হোটেল খাবারের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ হলের ডাইনিং বন্ধ, যেগুলো চালু রয়েছে সেগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি খাবারের মান কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত হলগুলোতে ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু করা, সেই সঙ্গে খাবারের মূল্য হ্রাস এবং মান উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মো. রোকনুজ্জামান
শিক্ষার্থী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
দক্ষ কৃষিবিদ তৈরিতে প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ এমন একটি পথিকৃৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা শিক্ষা, গবেষণা প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণের মতো বহুমাত্রিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাফল্য একেবারে গৌণ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারের মাধ্যমে কৃষি গবেষণায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার-১৪১৯’ লাভ আমাদের অন্যতম অর্জন। এ ছাড়া গত বছর টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) প্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং অনুযায়ী ‘লাইফ সায়েন্স’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। ৬৩ বছর পদার্পণের মুহূর্তে আমরা বিশ্বাস করি, যথাযথ পরিকল্পনা ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিকাশ অব্যাহত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে দক্ষ কৃষিবিদ তৈরি করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের কৃষি উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান আরও জোরালো হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাদিয়া আফরোজ ঋতু
শিক্ষার্থী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ
ছাত্রী হলে আসনসংকট নিরসন হোক দ্রুত সময়ে
ভর্তির প্রথম দিকে আবাসনের জন্য ছাত্রী হলগুলোতে সিট পাওয়া গেলেও বছরখানেক কাটাতে হয় গণরুমে। যে কারণে প্রায় সময়েই পড়াশোনার ক্ষতি হয় শিক্ষার্থীদের। কয়েক বছর আগেও এ সমস্যা এত বেশি দেখা না দিলেও এখন তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর কারণ হতে পারে মেয়েদের অগ্রসরতা। আগে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মেয়েদের সংখ্যা ছিল অতীব কম। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় মেধাতালিকায় সংযুক্তদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নিলে সিট সংকট সমস্যা আরও প্রকট হবে। শিক্ষার্থীরা পড়বে চরম ভোগান্তিতে। সুষ্ঠু শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলগুলোতে আসনসংকট নিরসন করতে হবে।
তাসকিয়া খাতুন
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
২১ ঘণ্টা আগে