এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ
প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।
আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম
ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা...
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।
প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
প্রশ্ন: একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য আপনি, অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর: মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি আনন্দের ছিল। এই সুযোগ আমার জন্য একটা পরীক্ষা। সুযোগ তখনই আসে, যখন কারও ওপর আস্থা রাখা হয়। আমার ওপর বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন: এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
উত্তর: অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস পাওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চাঁদপুরে চারতলা-পাঁচতলা বিল্ডিংগুলোর রুম ছোট হওয়ায় ক্লাসরুম, কমনরুম, অফিস রুম করার উপযুক্ত ছিল না। আবার অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমার মনে হয়েছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হলে আমাদের যে ৯০টি আসন রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা থাকবে। ওই ৯০ জন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা বিশ্বজনীন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তাই দ্রুত এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ কী?
উত্তর: শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন একাডেমিক পরিবেশ। যেখানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম বাদ যাবে না, যেখানে কোনো পরীক্ষা বাদ যাবে না। এই নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ আমি নিশ্চিত করতে পেরেছি, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। আমি বলেছি, সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে যেন ৩৯টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকেরা তা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালোভাবে গড়ে উঠুক। নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস চলমান রাখতে আমরা একাডেমিক ভবন-১-এর পাশাপাশি আরও একটি ভবন ভাড়া নিয়েছি। একাডেমিক ভবন-২ হিসেবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি আছে, যেখানে পর্যাপ্ত বই রাখা হয়েছে। সব বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাব আছে।
আইসিটি, সিএসইর পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি রয়েছে রসায়ন ল্যাব, পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, প্রতিযোগিতায় যেতে চাইলে আমি তাদের যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইডিয়া কনটেস্টে সাফল্য এনেছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রশাসনের হাত ধরে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমে কতটা অগ্রগতি হয়েছে?
উত্তর: আমি নিজে গবেষণায় আছি এবং থাকব। গবেষণায় সাধারণত তিনটি ধাপ রয়েছে। আমাদের একদম নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমরা গবেষণা কার্যক্রমের প্রথম
ধাপে রয়েছি। অর্থাৎ সাহিত্য পর্যালোচনা ধাপে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ছে। তাতে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে। তখন তারা গবেষণার কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। বর্তমানে আমাদের কোনো শিক্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হলে এবং পেপার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রণোদনা চাইলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহায়তা করি। চাঁবিপ্রবি শিক্ষকেরা গবেষণাপত্র লিখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রকাশ করছেন।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে?
উত্তর: আমার টার্গেট বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করানো, যাতে শিক্ষার্থীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের যে তিনটি বিভাগ রয়েছে, সব স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন মানে দক্ষ মানবসম্পদ। এই দক্ষ মানবসম্পদ নেতৃত্ব দেবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হবে স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। ফলে বলতে পারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি অংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তর: দক্ষতা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামসহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসক হয়েও আপনার জীবনযাপন সাদামাটা...
উত্তর: বিলাসিতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই। যে দেশগুলো বিলাসী বেশি, সেই দেশগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি জমিতে কৃষিকাজ করে কায়িক পরিশ্রম করি। ফলে আমি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। কায়িক পরিশ্রম করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, শরীর রোগমুক্ত থাকে। এ জন্য আমি নিজে কৃষিকাজ করি। আর আমি বিলাসিতা পছন্দ করি না। মানুষের শরীর তৈরি হয়েছে পরিশ্রমের জন্য।
প্রশ্ন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছেন?
উত্তর: আমরা বেশির ভাগ জিনিস গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট মাধ্যমে কিনে থাকি। ফলে এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকে না। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। কারণ অনিয়মের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তি নিলে কখনো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিক্ষকতা হলো একটি মহান পেশা। আমি এই পেশাকে কলুষিত করতে চাই না। আর চাঁদপুর হলো আমার মাতৃভূমির একটা অংশ। তাই এই অংশটার সমস্যা হোক তা আমি মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারি না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াবেই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
উত্তর: মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যা করণীয় তার সর্বোচ্চ করব। আমার বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে যে প্রশাসন আসবে, সঠিকভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। আমার প্রত্যাশা, একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর: তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। মুঠোফোনে বন্দী হয়ে না থেকে তাদের মাঠে যেতে হবে, খেলাধুলা করে শারীরিকভাবে কার্যক্ষম হতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিক শক্তি আসবে, হতাশা কমবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
২০ ঘণ্টা আগে