অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। বিশেষত সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের ওপর করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এ অবস্থায় একেক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব পড়েছে একেক রকম। স্কুল পর্যায়ে থাকা শিশুদের ওপর দিয়ে মানসিক ধকলটাই বেশি যাচ্ছে। কিন্তু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে রয়েছে বাড়তি চাপ। আর তা অর্থ সংক্রান্ত। বিশেষত স্নাতক ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই মহামারির কারণে বিপাকে পড়েছে বেশি। শিক্ষা শেষে সনদ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের বিষয়টি আটকে গেছে শুধু করোনার কারণে। এতে ভয়াবহ সংকটে পড়েছেন শিক্ষাঋণ নিয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার উদাহরণ সৃষ্টি করল যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার স্টেট ইউনিভার্সিটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, সদ্য স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীদের মাথা থেকে ঋণের বোঝা নামাতে সম্প্রতি এই উদ্যোগ নিয়েছে ডেলাওয়্যার স্টেট ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষার্থীদের ৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৫ ডলারের শিক্ষাঋণ বাতিল করেছে। করোনাকালে তৈরি হওয়া আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির স্ট্র্যাটেজিক এনরোলমেন্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও বয়েল জানান, এই উদ্যোগের সুবিধা পাবে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে গড়ে ৩ হাজার ২৭৬ ডলার করে ঋণ মওকুফ পাবে, যা তাদের বার্ষিক টিউশন ফির এক–তৃতীয়াংশ।
এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বয়েল বলেন, ‘এ বছর বহু শিক্ষার্থী ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে স্নাতক পাস করছে। এতে কর্মজীবনের শুরুতেই তাদের বাসা ভাড়া নেওয়া, যাতায়াত খরচ ইত্যাদি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ফলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা অনেক বেশি দুরূহ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো সবার সব সংকট দূর করতে পারব না। কিন্তু আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারি।’
সিএনএন জানায়, শিক্ষার্থীদের এই ঋণ মওকুফের জন্য ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সহায়তা পাচ্ছে মার্কিন ফেডারেল সরকারের গৃহীত করোনা মোকাবিলা ও আর্থিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতাধীন আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান তহবিল থেকে।
এই পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট টনি অ্যালেন সিএনএনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু দারুণ একটি শিক্ষা পরিবেশ পাওয়ার জন্যই এখানে আসে না। অনেকেরই মূল লক্ষ্য থাকে পরিবার ও নিজের আর্থিক অবস্থা ও জীবনমানের উন্নয়ন। কিন্তু এই লক্ষ্য প্রথমেই ধাক্কা খায় ঋণের কারণে। শিক্ষাদানের সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজ নিজ লক্ষ্যে অবিচল থেকে সফল হওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। আর সে জন্যই আমরা এই ঋণ মওকুফের পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, ‘গত ছয় বছরে আমরা আমাদের টিউশন ফি বাড়াইনি। প্রতিটি নতুন শিক্ষার্থীর হাতে আমরা আইপ্যাড বা ম্যাকবুক তুলে দিই। শিক্ষাব্যয় কমাতে আমরা প্রচলিত বইয়ের ধারণা থেকে বেরিয়ে ই–বুকের ওপর জোর দিচ্ছি। এসব পদক্ষেপের কারণে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ব্যয় গড়ে ৫০ হাজার ডলার করে কমেছে।’
ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। বিশেষত সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের ওপর করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এ অবস্থায় একেক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব পড়েছে একেক রকম। স্কুল পর্যায়ে থাকা শিশুদের ওপর দিয়ে মানসিক ধকলটাই বেশি যাচ্ছে। কিন্তু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে রয়েছে বাড়তি চাপ। আর তা অর্থ সংক্রান্ত। বিশেষত স্নাতক ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই মহামারির কারণে বিপাকে পড়েছে বেশি। শিক্ষা শেষে সনদ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের বিষয়টি আটকে গেছে শুধু করোনার কারণে। এতে ভয়াবহ সংকটে পড়েছেন শিক্ষাঋণ নিয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার উদাহরণ সৃষ্টি করল যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার স্টেট ইউনিভার্সিটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, সদ্য স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীদের মাথা থেকে ঋণের বোঝা নামাতে সম্প্রতি এই উদ্যোগ নিয়েছে ডেলাওয়্যার স্টেট ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষার্থীদের ৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৫ ডলারের শিক্ষাঋণ বাতিল করেছে। করোনাকালে তৈরি হওয়া আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির স্ট্র্যাটেজিক এনরোলমেন্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও বয়েল জানান, এই উদ্যোগের সুবিধা পাবে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে গড়ে ৩ হাজার ২৭৬ ডলার করে ঋণ মওকুফ পাবে, যা তাদের বার্ষিক টিউশন ফির এক–তৃতীয়াংশ।
এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বয়েল বলেন, ‘এ বছর বহু শিক্ষার্থী ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে স্নাতক পাস করছে। এতে কর্মজীবনের শুরুতেই তাদের বাসা ভাড়া নেওয়া, যাতায়াত খরচ ইত্যাদি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ফলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা অনেক বেশি দুরূহ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো সবার সব সংকট দূর করতে পারব না। কিন্তু আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারি।’
সিএনএন জানায়, শিক্ষার্থীদের এই ঋণ মওকুফের জন্য ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সহায়তা পাচ্ছে মার্কিন ফেডারেল সরকারের গৃহীত করোনা মোকাবিলা ও আর্থিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতাধীন আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান তহবিল থেকে।
এই পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট টনি অ্যালেন সিএনএনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু দারুণ একটি শিক্ষা পরিবেশ পাওয়ার জন্যই এখানে আসে না। অনেকেরই মূল লক্ষ্য থাকে পরিবার ও নিজের আর্থিক অবস্থা ও জীবনমানের উন্নয়ন। কিন্তু এই লক্ষ্য প্রথমেই ধাক্কা খায় ঋণের কারণে। শিক্ষাদানের সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজ নিজ লক্ষ্যে অবিচল থেকে সফল হওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। আর সে জন্যই আমরা এই ঋণ মওকুফের পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, ‘গত ছয় বছরে আমরা আমাদের টিউশন ফি বাড়াইনি। প্রতিটি নতুন শিক্ষার্থীর হাতে আমরা আইপ্যাড বা ম্যাকবুক তুলে দিই। শিক্ষাব্যয় কমাতে আমরা প্রচলিত বইয়ের ধারণা থেকে বেরিয়ে ই–বুকের ওপর জোর দিচ্ছি। এসব পদক্ষেপের কারণে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ব্যয় গড়ে ৫০ হাজার ডলার করে কমেছে।’
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১২ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১২ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগে